ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয় - ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয়

বৃষ্টি হলে আমাদের মাঝে একটি আতঙ্ক ও সকলের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেটি হল ডেঙ্গু। ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয় আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে ডেঙ্গুর সম্পর্কে সকল তথ্য খুব সহজেই জানতে পারবেন।
ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয় - ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয়
পোস্ট সূচিপত্রঃআজকে আর্টিকেল নিয়ে যে বিষয়ে আলোচনা করা হবে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়, ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে কি যাবে না, ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধ, জর হলে কি ওষুধ খেতে হবে ইত্যাদি। আজকের বিষয়গুলো থেকে আপনি ডেঙ্গু রোগের সকল বিষয় জানতে পারবেন।

ভূমিকা

ডেঙ্গু রোগের সংখ্যা দিনে দিনে অনেকটাই বাড়ছে। হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গু পেসেন্ট এর সংখ্যা বর্ধমান। ডেঙ্গু জ্বর হলে আমরা বাসায় বসে থেকে কিভাবে চিকিৎসা নিতে পারি।। এবং কিভাবে বুঝব আমরা ডেঙ্গুজরে আক্রান্ত হয়েছে। এই আর্টিকেলে আপনার ডেঙ্গু সম্পর্কে খুব সহজেই বোঝানো হয়েছে আশা করি আপনি আমাদের সাথেই থাকবেন।

ডেঙ্গু জ্বর কী?

ডেঙ্গু জ্বরের কারণের জন্য দায়ী হলো ভাইরাস, যার নাম ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্ষেপে DNV ও বলা হয়। তবে মজার বিষয় হলো এই ভাইরাস কখনো নিজে থেকে কোন মানুষকে সংক্রমিত করে না। এ ভাইরাস শুধুমাত্র সংক্রমিত হয় বাহকের মাধ্যমে। আর এই বাহকের নাম আমাদের অতি পরিচিত আমাদের বন্ধু মশা।

তবে সব মশাকে দোষ দিলে হবে না কারণ সব মশার ডেঙ্গু রোগ ছড়ায় না, আর এই ডেঙ্গু রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী হলো এডিস মশক্তি মানে স্ত্রী এডিস মশা। এডিস মশা রক্ত খাওয়ার জন্য যদি কোন শরীরে কামড়ায় তাহলে মানুষের শরীরে ওই মশার লালা গ্রন্থি থেকে ভাইরাস প্রবেশ করে এবং যে মরন জ্বর সৃষ্টি হয় তাকে আমরা ডেঙ্গু জ্বর বলে থাকি।

ডেঙ্গুর জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি ?

আমাদের দেশে বৃষ্টি সময় বেশিরভাগ ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত বাড়ে। এবং এই ডেঙ্গু জ্বর আমাদের দেশে মহামারী আকার ধারণ করে। সেজন্য জ্বর হলে আমাদের খুব দ্রুত কোন ডক্টরের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো জেনে নি।

১। ডেঙ্গুর প্রথম শ্রেণীর জ্বর সমূহঃ প্রথম শ্রেণী ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত আমাদের পুরা শরীরে তীব্র জ্বর এবং প্রচন্ড ব্যথা হয়ে থাকে।ডেঙ্গু জ্বরে আমাদের তীব্র পেট ব্যথা ও হতে পারে।ডেঙ্গু জ্বরে আমাদের শরীরের সর্বোচ্চ ১০৪ ও ১০৫ ফারেনহাইট হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরে ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা যেমন কোমর, পিঠ, হার ও অস্থিসন্ধি এবং মাংসপেশীতে অনেক ব্যথা হয়।এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের মাথা ব্যথা ও চোখের পেছনে অনেক ব্যথা হয়।আরে ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি নাম রয়েছে সেটি হল ব্রেক বোন ফিভার।

ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের শরীরে চার বা পাঁচ দিন সময়ে লালচে দানার মত দেখা দিতে পারে। এবং যাকে আমরা বলে থাকি স্কিন র‌্যাশ এবং যা দেখতে অনেকটা ঘামাচি ও এলার্জির মত হয়।জ্বর হওয়ার কারণে আমাদের বমি বমি ভাব ও হতে পারে। 
এমনকি আপনার বমি ও হতে পারে।ডেঙ্গু জ্বরের কারণে আপনার ক্লান্তিবোধ এবং রুচি কমে যাবে।এবং জ্বর ৪ বা ৫ দিন থাকার পর এমনিতেই ভালো হয়ে যায় এবং আবার ২ থেকে ৩ দিন পর জ্বর হয়, একে আমরা বলে থাকি বাই ফেজিক ফিভার।

২। ডেঙ্গু জ্বরের অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণঃ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়তে পারে যেমন- কফের সাথে রক্তক্ষরণচামড়ার নিচে এবং নাক ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণপায়খানার সাথে আপনার তাদের রক্ত বা কালো পায়খানা হতে পারেদাঁত এবং মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

আমাদের চোখের ভেতর এবং চোখের বাহিরে এবং মেয়েদের বেলায় অসময়ে যদি রক্তক্ষরণ এবং ঋতুস্রাব হয় তাহলে অনেকদিন থেকে রক্ত পড়তে থাকবে ইত্যাদি।

এ সকল রোগের বেলায় আমাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে যেমন-আমাদের বুকে এবং পেটে পানি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারেআবার অনেক সময় আমাদের লিভারে আক্রান্তের কারণে জন্ডিস হয়।শরীরে কিডনিতে আক্রান্ত হলে জটিলতা দেখা দেয় যেমন- রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি।

৩। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমগুলোঃ বিষাক্ত শখ সিনড্রোম এটি ডেঙ্গু জ্বরের একটি ভয়াবহতা রূপ। হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরের সাথে সার্কুলেটরি ফেইলিউর হয় এবং ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম হয়। লক্ষণগুলো হলো- এর কারণে রক্তচাপ কমে যাবেশরীরে বিভিন্ন স্থান যেমন হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাবে।মেয়েদের স্পন্দন অনেক ক্ষীণ ও দ্রুত হয়প্রস্রাব কমে যায়হঠাৎ করে রোগীর জ্ঞান হারিয়ে যেতে পারে এবং এমনকি সে মৃত্যুবরণও করতে পারে।

ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়

ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়
আমরা সকলেই জানি যে ডেঙ্গু জ্বর হয় মূলত এডিস মশাতে কামড় দিলে। এদেশ মশা কামড়ের প্রায় ৫ থেকে ৭ দিন এর মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর চলে আসবে। আবার এই জ্বর ৭ দিন থাকবে এবং তারও বেশি থাকতে পারে।একজন মানুষের সারা জীবনে শুধুমাত্র চারবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে।

অর্থাৎ একবার জ্বরে আক্রান্ত হবার পরে সেরে গেলে তার শরীরের মধ্যে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সেই অ্যান্টিবডি সারা জীবনের জন্য কাজ করে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়

বাড়িতে যা করবেনঃ অবশ্যই আপনাকে পরিপূর্ণতা ভাবে বিশ্রাম নিতে হবে। প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যেমন লেবুর শরবত কলেজ ডাবের পানি ইত্যাদি এবং স্যালাইন পান করতে হবে। এডিস মশা যেন আপনার শরীর থেকে অন্য কারো শরীরে না কামড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

সেজন্য আপনাকে মশারি ব্যবহার করতে হবে এবং বাড়ি আশেপাশের সদস্যদের ও মশারি ব্যবহার করতে হবে। আর বাড়ি আশেপাশে অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।যেটা করা যাবে না এখন আর ডেঙ্গু জ্বরের জন্য প্লাতিলেট মূল বিষয় না সেজন্য প্লেয়ারটি লেট হিসাব নিয়ে কখনো আপনি উদ্বিগ্ন হবেন না।

যদি কোন সময় প্লাটিলেট ১০ হাজারের কাউন্ট এর নিচে নেমে যায় কিংবা শরীরের কোন স্থান থেকে রক্তপাত হলে ফ্রেশ রক্ত বা প্লাটিলেট দেওয়া যাবে। আমাদের এরকম পরিস্থিতি খুবই কম দেখতে পাওয়া যায়।আমাদের মাঝে অনেকেই বলে থাকে পেঁপের পাতা জুস খেলে প্লাটিলেট বেড়ে যায়। আসলে এসবের কোনই ভূমিকা নেই। 
আমাদের শরীরের জ্বর কমে যাওয়ার পরে সময়কাল চলে গেলে আপনি নিজে থেকেই প্লাটিলেট বৃদ্ধি হতে শুরু করে।এবং জ্বর ভালো হবার দিকে আমাদের শরীরে রক্তচাপ কমতে পারে অথবা নাক, মলদ্বার, বা মাড়ি দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হতে পারে। এ সমস্যাগুলো হলে আপনি প্রয়োজনে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। এমনটা হলে আপনাকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে
আপনাকে অনেক পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে এটি স্বাভাবিক খাবারের সাথে সাথে। কতটুকু পরিমাণে তরল খাবার খাবেন-আমরা বলি পূর্ণ বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ২ লিটার থেকে সাড়ে তিন লিটার পর্যন্ত তরল গ্রহণ করবে।এই তরল টা কি ধরনের তরল হবে-এটি হতে পারে ওরস্যালাইন, এটি হতে পারে ডাবের পানি, হতে পারে স্বাভাবিক পানি. এটি হতে পারে লেবু চিনির শরবত।

পূর্ণাঙ্গ বয়স্কঃ একজন পূর্ণাঙ্গ বয়স্ক মানুষ যার ওজন প্রায় 60 কেজি তাকে যদি আমি তিন লিটার তরল খাবার দেই তাহলে তিনি কতটুকু খাবেন। যদি দু প্যাকেট ওরস্যালাইন খান তাহলে এক এক প্যাকেটে ওর স্যালাইন মানে হচ্ছে ৫০০ এমএম তাহলে এখানে ওনার এক লিটার খাওয়া হয়ে যাবে। 

উনি যদি দুটি ডাব খান, একটি ডাব ধরে নিয়ে 300 ml পানি থাকে তাহলে তার 600ml পানি খাওয়া হয়ে গেল। বাকি যেগুলো রয়েছে তিনি যদি নরমাল পানি খান, অথবা দুই তিন গ্লাস শরবত করে খান, একটু ছুপ করে খান। এটুকু খেলে মোটামুটি দেখা যায় যে তিন লিটার পানি খাওয়া হয়ে গেছে।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রেঃ যার বয়স কম ২০ বছরের কম বা ১৫ বছরের কম তাদের গর শরীরের ওজন কম হবে। তাদের ক্ষেত্রে তিন লিটার পানি প্রযোজ্য হবে না। এদের ক্ষেত্রে পানির পরিমাণ একটু কম হবে। তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই তিন লিটার পানি প্রযোজ্য হবে না। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১৫০০ থেকে ২ লিটার তরল এই একইভাবে তারা গ্রহণ করতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয়

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয়
  • আমাদেরকে বাড়ির আশেপাশে যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • আমাদের প্রত্যেকের ঘরে আশেপাশে যেগুলো ফুলের টব প্লাস্টিকের বোতল ডাবের খোসা অথবা পলিথিন থাকলে তা আমাদের দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে এবং ফুলের টব বা বোতলের জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করতে হবে।
  • বাড়ির আশেপাশে মশা নিধনের জন্য এক সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার স্প্রে বা ফগিং করতে হবে।
  • সন্ধ্যার পর সকলেই বড় বা ছোট উভয়ই মশারি ব্যবহার করতে হবে।
  • আপনি বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের মশা নিধনের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
  • আপনার আশেপাশে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকা ও বৃষ্টির পানি জমে থাকা এগুলো খুব দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এখান থেকে এডিস মশার ডিম পারে, সেজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।
  • আপনি অন্যান্য মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারি বা তার পাশাপাশি ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
  • এডিস মশা দিনে কামড়ায় তাই আমাদের দিনের বেলা ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।
আপনাদের পরিবেশে আশেপাশে পরিষ্কার রাখলে ও ছোটখাটো কিছু বিষয়ে সচেতন থাকলে ডেঙ্গু জ্বরে হাত থেকে বাঁচতে পারবেন এবং আপনাদের আশেপাশে সকল মানুষরাও বাঁচতে পারবে এবং সুস্থ থাকতে পারবে রোগ বালাই এর প্রকোপ থেকে। 

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হবে

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হবে
ডেঙ্গু জ্বরের প্যারাসিটামল বাদে অন্য কোন এন্টিবায়োটিক বা কোন ধরনের ঔষধের প্রয়োজন নেই। সুতরাং প্যারাসিটামল গ্রহণ করবেন,বিশ্রামে থাকবেন। 
আমাদের ডেঙ্গুদের আক্রান্ত হলে আমাদের শরীরে ব্যথার জন্য বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে থাকি যেমন এসপিরিন, আইবুপ্রফেন, ক্লোফেনাক ইত্যাদি জাতীয় ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে

ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের গোসল করা উচিত কি উচিত না এটা আমাদের প্রশ্ন থেকেই যায়। আমরা সকলে জানি যে জ্বর হলে আমাদের দেহের তাপমাত্রা বাড়ে ও তার পাশাপাশি যন্ত্রণা, হয় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় অবশ্যই আপনাকে হালকা গরম পানি করে গোসল করতে হবে।

যদি আপনি হালকা গরম পানিতে গোসল করেন তাহলে আপনার জ্বর কমে যাবে এবং আপনার পেশী শিথিল হয়ে যাবে ও আপনার শরীরের ব্যথা কমে যাবে। আর জ্বর যদি খুব বেশি হয় তাহলে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিতে গোসল করা দরকার নেই। ঠান্ডা পানিতে গোসল করার আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি ডেঙ্গুর সম্পর্কে সকল ধারণা পেয়েছেন। আশা করি আপনাকে আমরা বুঝাতে পেরেছি ডেঙ্গু হলে যে সকল করণীয় আপনার জন্য। আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আর আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url