আমন ধান কখন চাষ করা হয়? - আমন ধানে কি কি সার দিতে হয়
আপনি কি আমন ধান চাষ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তথ্য খুঁজছেন কিন্তু সঠিক তথ্য কোথাও পাচ্ছেন না। আসুন আজকে এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানবেন, আমন ধান কখন চাষ করা হয় এবং আমন ধানে কি কি সার দিতে হয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃআজকের যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে আমন ধানের চাষ পদ্ধতি, আমাদের চাষের সমস্যা সমাধান, কিছু আমন ধানের নাম, আমন ধানে কি কি সার দিতে হবে, ইত্যাদি।
ভূমিকা
আপনি জমিতে ধানের চাষ করে থাকেন। কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে ধানের চাষ করলে উচ্চ ফলনশীল ধান পাবেন। এবং শুধু তাই নয় সঠিক নিয়মের কি কি ওষুধ দিতে হবে। আসুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি আমন ধানের সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন।
আমন ধান কখন চাষ করা হয়?
আমন ধানঃ এটি মুলত নিচু জমির ক্ষেত্রে জৈষ্ঠ্য মাসে ( মে থেকে জুন ) পর্যন্ত এবং উঁচু জমির ক্ষেত্রে আঢ় মাস (জুন থেকে জুলাই) পর্যন্ত।এ সময়ে চারা রোপন করে চাষাবাদ করার ফলে অনেক বেশি ফলন হয়। যদি আমরা বেশি বয়সে চারা রোপন করি তাহলে আমাদের এই ধানের যেটা বেশি হবে ফলন কম হবে।
আজও তোমাকে বলেছি তেরো রকম করি তাহলে কার্যকারী কুশির সংবাদ বৃদ্ধি পায়, এবং এ অল্প বয়সের যারা মাটির সঙ্গে অনেক তাড়াতাড়ি লেগে যায় এবং সময় বেশি থাকার কারণে কার্যকরী খুশির সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং ফলন বৃদ্ধি পায়।
বোরো মৌসুমঃ বোরো মৌসুমের জাত গুলোর মধ্যে কোন আলোক সংবিধিশীলতা নেই, বোরো মৌসুমের শুরু তখন দিন ছোট থাকে এবং সে সময় ঠান্ডা হয়। আর ধানের পরাগায়ন হয় গরমের শুরুতে এবং বড়দিনে। তাই আলোক সংবেদনশীলতা কোন জাত বড় মৌসুমে চাষাবাদ করা ঠিক নয়।
পরামর্শ মেনে যে সকল জাতির জীবনকাল ১৫০ দিন বা তার কম সেগুলো বীজ বপন করতে হবে অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে আর যে জাতগুলো জীবন কাল ১৫০ দিনের বেশি সেগুলো ১৫ কার্তিক থেকে বীজ বপন করা যাবে।
আমন ধান চাষ পদ্ধতি
এটি মুলত নিচু জমির ক্ষেত্রে জৈষ্ঠ্য মাসে ( মে থেকে জুন ) পর্যন্ত এবং উঁচু জমির ক্ষেত্রে আঢ় মাস (জুন থেকে জুলাই) পর্যন্ত।
বীজতলা তৈরিঃ প্রথমত আমাদেরকে বীজতলা তৈরি করার জন্য উঁচু জমি এবং উর্বরতা আছে কিনা এটা দেখে বেছে নিতে হবে। কারণ নিচে জমিতে যদি আপনি বীজ বপন করেন আপনার ধানের বীজ নষ্ট হয়ে যাবে। যার ফলে আপনি চাইলে ভাসমান বীজ তৈরি করতে পারবেন।
যদি বীজের মান দীর্ঘমেয়াদি বা স্বল্প মেয়াদী হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার কে বিভিন্ন স্থানে বপন করতে হবে। এবং জমিতে লাইন গুলো সমান এবং সারি করতে হবে। এবং জমিতে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাস পেতে পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রেখে চারা লাগাতে হবে। তার জন্য এটি উত্তর বা দক্ষিণ রেখা দিক অনুযায়ী চারা রপন করাই ভালো।
সাধারণত একটি লাইন হতে অন্য লাইনের দূরত্ব হবে ২৫ সেমি (৪ ইঞ্চি)। এবং এক গুচ্ছ থেকে আরেক গুচ্ছ দূরত্ব ১৫ সেমি (৬ ইঞ্চি) হলে আমাদের জমিতে ফসল অনেক ভালো হবে। তবে যদি আপনার জমি উর্বর হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সারি থেকে সারি দূরত্ব ২৫ সেমি (১০ ইঞ্চি) থাকতে হবে এবং গুচ্ছ থেকে গুচ্ছর দূরত্ব 15 সেমি (৬ ইঞ্চি ) করা যেতে পারে।
আমন ধান এর নাম
বিআর ধানঃ
- বিআর-১ চান্দিনা বোরো/আউশ ৪.0-৫.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-২ মালা বোরো/আউশ ৪.0-৫.0 টন/হেক্টর
- বিআর-৩ বিপ্লব বোরো/আউশ/আমন ৪.0-৬.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-৪ ব্রিশাইল আমন ৫.0 টন/হেক্টর
- বিআর-৫ দোলাভোগ আমন ৩.0 টন/হেক্টর
- বিআর-৬ বোরো/আউশ ৩.৫-৪.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-৭ ব্রি-বালাম বোরো/আউশ ৩.৫-৪.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-৮ আশা বোরো/আউশ ৫.0-৬.0 টন/হেক্টর
- বিআর-৯ সুফলা বোরো/আউশ ৫.0-৬.0 টন/হেক্টর
- বিআর-১০ প্রগতি আমন ৫.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-১১ মুক্তা আমন ৫.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-১২ ময়না আমন ৪.৫-৫.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-১৪ গাজী বোরো/আউশ ৫.0-৬.0 টন/হেক্টর
- বিআর-১৫ মোহিনী বোরো/আউশ ৫.0-৫.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-১৬ শাহী বালাম বোরো/আউশ ৫-৬টন/হেক্টর
- বিআর-১৭ হাসি বোরো ৬.0 টন/হেক্টর
- বিআর-১৮ শাহজালাল বোরো ৬.0 টন/হেক্টর
- বিআর-১৯ মঙ্গল বোরো ৬.0 টন/হেক্টর
- বিআর-২০ নিজামী আউশ ৩.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-২১ নিয়ামত আউশ ৩.0 টন/হেক্টর
- বিআর-২২ কিরণ আমন ৫.0 টন/হেক্টর
- বিআর-২৩ দিশারী আমন ৫.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-২৪ রহমত আউশ ৩.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-২৫ নয়াপাজাম আমন ৪.৫ টন/হেক্টর
- বিআর-২৬ শ্রাবণী আউশ ৪.0 টন/হেক্টর
ব্রি ধানঃ
- ব্রি ধান-২৭ আউশ ৪.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-২৮ বোরো ৬.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-২৯ বোরো ৭.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৩০ আমন ৫.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৩১ আমন ৫.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৩২ আমন ৫.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৩৩ আমন ৪.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৩৪ আমন ৫.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৩৫ বোরো ৫.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৩৬ বোরো ৫.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৩৭ আমন ৩.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৩৮ আমন ৩.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৩৯ আমন ৪.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৪০ আমন ৪.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৪১ আমন ৪.৫ টন/হেক্টর
- ৪২. ব্রি ধান-৪২ আউশ ৩.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৪৩ আউশ ৩.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৪৪ আমন ৫.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৪৫ বোরো ৬.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৪৬ আমন ৫.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৪৭ বোরো ৬.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৪৮ আউশ ৫.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৪৯ আমন ৫.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৫০ (বাংলামতি) বোরো ৬.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৫১ রোপা আমন ৪.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৫২ রোপা আমন ৫.0 টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৫৩ রোপা আমন ৪.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৫৪ রোপা আমন ৪.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৫৫ বোরো ৭.০ টন/হেক্টর, আউশ ৫.০ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৫৬ রোপা আমন ৫.০ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৫৭ রোপা আমন ৪.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৫৮ বোরো ৭.২ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৫৯ বোরো ৭.১ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৬০ বোরো ৭.৩ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৬১ বোরো ৬.৩ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৬২ রোপা আমন ৩.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৬৩ বোরো ৭.০ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৬৪ বোরো ৬.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৬৫ আউশ ৩.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৬৬ রোপা আমন ৪.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৬৭ বোরো ৬.০ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৬৮ বোরো ৭.৩ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৬৯ বোরো ৭.৩ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৭০ রোপা আমন ৪.৮ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৭১ রোপা আমন ৬.০ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৭২ রোপা আমন ৫.৭ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৭৩ রোপা আমন ৪.৫ টন/হেক্টর
- ব্রি ধান-৭৪ বোরো ৭.১ টন/হেক্টর
আমন ধানে কি কি সার দিতে হয়
বীজ তলাতে যে সার দিবেনঃ বীজ তলার জন্য উর্বর মাটিতে কখনোই স্যারের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যে সকল জমি নিচু এবং এটি অনর্বল সেক্ষেত্রে আমাদের আশে পাশের যে সকল জৈব সার বা গবর রয়েছে সেগুলো আমরা প্রতি শতকে ২ মুন হারে ব্যবহার করতে পারে।
এবং যখন বীজতলায় চারা বের হবে এবং যদি চারাটি হলুদ হয় তাহলে চারা বের হওয়ার দুই সপ্তাহ পর প্রতি শতকে জন্য ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার বীজ তলায় মাটিতে ছিটিয়ে দিতে হবে। তারপরও যদি যারা হলুদ হয়ে যায় তাহলে আমাদেরকে প্রতি শতকের জন্য ৪০০ গ্রাম জিপসাম ব্যবহার করতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যে চারা রোপনের পূর্বে আমাদের কে ভালো বীজের সন্ধান করতে হবে। ভালো চারা পেতে হলে আমাদেরকে ভালো বীজের প্রয়োজন।
ধান চাষের মূল জমিতে সার
আমন ধানের জন্য যদি আমরা অধিক ফলন পেতে চাই তাহলে শুধু ইউরিয়ার সার দিলেই হবে না। পাশাপাশি জৈব রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে।
এবং এই রাসায়নিক সারের মধ্য যেগুলো রয়েছে সেগুলো হলঃ জিপসাম,ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (ম্যাগ সার, অ্যাগ্রোমাগভিট), ট্রিপল সুপার ফসফেট,দ্রবনীয় বি বোরন (লিবারেল বোরন), ডাইয়ামোনিয়াম ফসফেট, মিউরেট অফ পটাশ, অ্যাগ্রো মাগভিট), জিংক সালফেট (মনো বা হেপটা) ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে বলা হয়েছে, অনেক ফলন পাবার জন্য প্রতি বিঘা (৩৩ শতকে) 7 - 10kgডিএপি? টিএসপি, 4 - 11kg জিপসাম, 21kg ইউরিয়া, 3.5 থেকে 13.5kg মিউরেট অফ পটাশ। এবং যদি অভিশে যাতে ধান হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে, 2kg জিংক সালফেট এবং 35 মন গোবর বা জৈব সার আমরা প্রয়োগ করতে পারি।
ধান রোপনে কতদিন পর সার দিতে হয়
চারা লাগানো পরে আমাদেরকে অবশ্যই নিয়ম মেনে সার প্রয়োগ করতে হবে। এবং এই ধান লাগানোর পরে ১২ থেকে ১৫ দিনের পর বেশি পরিমাণে ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হবে। প্রথম সার দেওয়ার পরে দ্বিতীয় বারের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ দিন পর এবং তৃতীয়বার এক্ষেত্রেও ১৫ থেকে ২০ দিন পর ইউরিয়া সার দিতে হবে
ধান চাষের সমস্যা ও সমাধান
সমস্যাঃ
- এখানে ধানের সকল সমস্যার কথা বলা হয়েছে এবং কিভাবে আপনি এই সকল সমস্যার সমাধান করবেন এটি নিচে সমাধানে দেওয়া রয়েছে।
- ধান লাগানোর পরে পানির কারণে ধান গাছ মারা যাওয়া
- বিভিন্ন পোকার আক্রমণের কারণ ধানের ফলন কম হয়ে যাওয়া
- ধানের ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ
- ধানের চারা লালচে বর্ণ ধারণ করা
- ধানের গাছে পচন ধরা
- ধানের গাছ লাল হয়ে শুকিয়ে যাওয়া (br29)
- ঠান্ডায় ধানের গাছের পাতা মরে যাওয়া
- মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়া
- ধানের মাথায় মাকড়সার জাল সৃষ্টি হওয়া
- পোকা আক্রমণের ধানের শীষ কাটা
- ধানের প্রকার আক্রমণে কারণে ধান কালো হয়ে যাওয়া
- ধান ক্ষেতে ইদুরে আক্রমণ করা
- ধানের পাতা কুঁকড়ে যাওয়া
- ধানের পাতা মুড়ে যাওয়া
সমাধানঃ
- জমিতে পানি জমার কারণে আমাদের অনেকের ধান মারা যায়। বন্যার প্রবল গ্রাম গুলিতে ব্রি ধান ৫১ ও ৫২ চাষ করতে হবে। কারণ এই ধান পানিতে 20 দিনের মত ডুবে থাকতে পারে এতে তেমন ক্ষতি হয় না। আর আমাদের অবশ্যই জমি থেকে পানি বের করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
- আমাদের জমিতে ভালো ফলনের জন্য ফ্লোরা সঠিক মাত্রা ব্যবহার করতে হবে। এবং ধানের প্রকার জন্য টিডো ২০ এস এল / গুলি ৩ জিআর সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।
- আমাদের জমিতে বেশিরভাগ সময় মাজরা পোকা ফসলে লেগে থাকে। এই মাজরা পোকার জন্য গুলি তিন গুলি ৩ জি এবং রাইসন ৬০ ইসি সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। এবং তার সাথে ধানের জমিতে পাতা রোগ হয় সেক্ষেত্রে আমাদের সঠিক মাত্রায় স্কোর 250 এর ইসি ব্যবহার করতে পারি।
- আমাদের জমিতে ধানের গাছ লালচে বর্ণ ধারণ করে সে ক্ষেত্রে আমরা স্কোর 250 ই সি, ও 1L পানিতে মিশ্রণ করে তাই স্প্রে করতে পারি। অথবা এমকো জিম 50 WP, 70-75 G / বিঘাতে (33 শতাংশ) ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই সাবধানতার কারণে মুখে রুমাল বা কাপড় বেঁধে নিবেন।
- ধানের গাছে পচন ঘটায় সেক্ষেত্রে আমরা স্কোর 250 ই সি, ও 1L পানিতে মিশ্রণ করে তাই স্প্রে করতে পারি। অথবা এমকো জিম 50 WP, 70-75 G / বিঘাতে (33 শতাংশ) ব্যবহার করতে হবে।
- আমাদের ধান গাছে লাল হয়ে শুকিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা ইউরেশার ৩ মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে, যদি জমিতে পানি শুকিয়ে যায় তাহলে সাত থেকে দশ দিনের পর আবার শেষ দিতে হবে। আমাদেরকে বিঘা অনুযায়ী জিপসাম স্যার ১ কেজি ৩৫০ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
- ঠান্ডার কারণে যখন ধানের পাতা গুলো মরে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা শীতের সময় জমিতে পানি ৭ থেকে ১০ দিনের মতো শুকিয়ে ফেলতে হবে এবং পটাশ সার অল্প পানিতে দেখতে হবে।
- আমাদের জমিতে যখন মাজরা পোকা আক্রমণ দেখা দেয় তখন আমাদের যা করণীয় হবে সেটি হলঃ বাসুডিন প্রতি ৩৫% এক কেজি হারে ব্যবহার করতে হবে। এবং কীটনাশক ব্যবহার না করাই ভালো।
- অনেক সময় ধানের আঘাতে মানুষের জাল হয়ে থাকে। আমাদেরকে যা করতে হবে সেখানে নোইন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশ্রণ করে জমিতে স্প্রে করতে হবে।
- প্রতিদিন আমাদের জমিতে ধানের শীষ পোকাতে কাটে সেক্ষেত্রে আমরা কারবারিল (85 পাউডার) প্রতি এককে ৭০০ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
- জমিতে পোকা আক্রমণের কারণে আমাদের ধান কালো হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা মেলাথিয়ন ৫৭ ই সি জমিতে স্প্রে করতে হবে।
- আমাদের জমিতে ধান ক্ষেতে অনেক সময় ইদুরে আক্রমণ করে থাকে। সেজন্য আমাদেরকে খুব ভালোভাবে ধান রোপনের 45 থেকে 50 দিনের ভেতরে ইদুর করার ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য আমাদের জিংক ফসফাইড অথবা বডিফেকাম বা ব্রমা ডিওলন অথবা ফ্লোকো মাফেন এগুলো দিয়ে আপনি ঈদের দমন করতে পারবেন। এবং আপনি ইঁদুরের গর্তে বিষাক্ত অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড এর বড়ি বানিয়ে গর্তের ভেতরে দিয়ে খুব ভালো করে মুখ বন্ধ করে দিলেই ইদুর মারা যাবে। আপনি চাইলে ন্যাপথন দিয়েও ইদুরের হাত থেকে ধানকে বাঁচাতে পারবেন।
- ধান চাষের পরে অনেক সময় পাতাগুলো কুঁকড়ে যায় সে ক্ষেত্রে করণীয়, জমিতে ইউরিয়া একবারেই ব্যবহার না করে দুই থেকে তিন বারের মত ব্যবহার করতে হবে।
- ধান চাষের সময় যখন ধানের পাতা মুড়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা ইউরিয়া সার ২ থেকে ৩ বারের মতো করে ব্যবহার করতে হবে এবং খেতে বিভিন্ন জায়গায় ডালপালা পুঁতে দিয়ে পাখির যেন বসতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ধান চাষের সমস্যা এবং সমাধান দুটোই আপনার জানা হয়েছে আশা করি আপনি উপকৃত হবেন এবং আরো সমস্যা সমাধান আমাদের এই ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পার্থ আশা করি আপনি আমার এই আর্টিকেল থেকে আমদান সম্পর্কে সকল বিস্তারিত জেনে উপকৃত হয়েছেন। আমরা সবাই ধান চাষ করতে চাই কিন্তু সঠিকভাবে ধান চাষ করতে পারি না তো এই আর্টিকেল থেকে আপনি অবশ্যই সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আর্টিকেল থেকে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url