কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে - দ্রুত দোয়া কবুলের আমল
কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে এবং কোন দোয়া দ্রুত কবুল হয় এমন সকল তথ্য জানতে আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগত। আজকে আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন দ্রুত দোয়া কবুলের আমল জাহান্নাম থেকে বাঁচার আমল ইত্যাদি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ টাকা ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় খুঁজে বেড়ায়। যে সকল দোয়া পড়লে আপনার কাছে খুব তাড়াতাড়ি টাকা চলে আসবে। এই দোয়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ইনকাম বেশি আয় করতে পারবেন। এই দোয়াগুলো পড়লে আপনার কাছে অটোমেটিক টাকা চলে আসবে। চলেন বেশি কথা না বলে এই দোয়া সম্পর্কে জানুন
দোয়া করার ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য
দোয়া শব্দের অর্থ হল আল্লাহকে আহ্বান করা, আল্লাহর কাছে কিছু কামনা করা, এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা অর্থাৎ নমনীয়তার সাথে মহান আল্লাহর কাছে সুখ সমৃদ্ধি ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং অনিষ্ট ও ক্ষতি থেকে বাচার জন্য প্রার্থনা করাই হল দোয়া।
এই দোয়াকে আল্লাহ তাআলা ইবাদত হিসেবে আত্মসাহায্য করেছেন এবং সহায়তা লাভের মাধ্যম বানিয়েছেন। সেজন্য কুরআন ও হাদীসে নবী (সাঃ) এর মাধ্যমে মানুষকে দোয়ার বিষয়ে উপদেশ তথা তাক্বীদ দিয়েছেন ৷
আল্লাহ বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব, যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হবে। (সুরা মু'মিন আয়াত-৬০) নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দোয়া-ই ইবাদত। (জামে আত তিরমিজি)
৭০ টি বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া
হযরত আবু নাঈম আর ইবনে আবি শায়বা রহ, একটি আমলের কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁরা বলেন, যে ব্যক্তি নিচের দোয়া একবার পাঠ করবে- শত শত বার পড়া লাগবে না মাত্র একটিবার পড়লে - আল্লাহ তায়ালা তার সওরটি বিপদ দূর করে দিবেন।
আর নিচের বিপদ হল দারিদ্রতা। আর বিভিন্ন বিপদ গুলোর চেয়ে অনেক বড় । যে ব্যাক্তি এই দয়ার আমল করবে, আল্লহ তাআলা তার এসব বিপদ দূর করে দিবেন।
দোয়াঃ -
বাংলা উচ্চারণঃ
লা হাউলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহি ওয়ালা মালাজাআ ওয়ালা মানজাআ মিনাল্লাহি ইল্লাহ ইলাইহি।
দআটি মুখস্থ থাকালে তো ভালো। না থাকলে মুখস্থ করে নিন। নিয়মিত পাঠ করুন। সব রকম সমস্যা থেকে নাজাত পাবেন, ইনশাআল্লাহ। দুঃশ্চিন্তাগ্রস্তদের জন্য সান্তনা।
কানযুল উম্মালে বর্ণিত আছে, যে ব্যাক্তি ইয়াকিন ও দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই আয়াতটি পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হৃদয়কে প্রশান্তি দান করবেন।
এখানে ইয়াকিন ও দৃঢ় বিশ্বাসের শর্তারোপ করা হয়েছে। কারো অন্তরে এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে সে সুফল পাবে না।
কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে
ছোট্ট একটি আমলের কথা বলব যেটি আপনার রিজিকের দরজা খুলবে এবং আপনার অর্থের মধ্যে এতটাই বরকত হবে যে আপনি এই অর্থ নিয়ে কুলাতে পারবেন না।
এ দোয়া পড়ার মাধ্যমে আপনার কাছে টাকা আর টাকা থাকবে। এই দোয়া আমলের ফলে আপনার কাছে অনেক টাকা চলে আসবে। সঠিকভাবে সঠিক উপায়ে এই দোয়া পড়তে হবে। অবশ্যই দোয়া গুলো আপনি বেশি বেশি করে পড়বেন তাহলে অনেক টাকা বেড়ে যাবে।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কাছে একজন সাহাবী এসে বলে, ”হে নবী দুনিয়া আমার থেকে বিমুখ হয়েছে, এতটাই অভাবে পড়েছি আর ভালো লাগে না আমাদের সচ্ছল হওয়ার জন্য কিছু আমল শিক্ষা দেন, রিজিক কমে গেছে রিজিক প্রশস্ত হওয়ার আমল শিক্ষা দেন, অর্থ কমে গেছে অর্থের মধ্যে বরকত হওয়ার মতো আমল শিক্ষা দেন”।
বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সাহাবীকে বললেন, তুমি কি ওই আমলের দোয়া ভুলে গেছো যা মানুষ এবং ফেরেশতাদের। সে দোয়া যদি তুমি পড়তে পারো দুনিয়া তোমার কাছে অবমানিত হয়ে ফিরে আসবে”।
দোয়াঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম আস্তাগফিরুল্লাহ ( আল-খাসায়েসুল কুবরা ৩ নাম্বার খন্ডে )
অর্থঃ মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য; মহাপবিত্র আল্লাহ, যিনি সমুচ্চ, মহান; এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
এই দোয়াটি পড়ার ফলে আপনার টাকার অভাব চলে যাবে, দুঃখ চলে যাবে, টাকায় বরকত হবে, রিজিকের দরজা খুলে যাবে। এই দোয়াটি আপনি সকল বেলা ১০০ বার পাঠ করবেন এবং বিকেল বেলা ১০০ বার পাঠ করবেন অর্থাৎ সকালে ফজরের পরে এবং আসরের নামাজের পরে পাঠ করতে হবে।
দোয়া কবুলের তাসবিহ
আপনার দুনিয়া আখিরাত সুন্দর হওয়ার জন্য, ভালো একটি চাকরি হওয়ার জন্য, ব্যবসার কাজে উন্নতি হওয়ার জন্য, শারীরিক সুস্থতার জন্য, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা মিল মহব্বত সৃষ্টি হওয়ার জন্য, পিতা মাতা ও সন্তান একে অপরের প্রতি ভালবাসা থাকার জন্য এবং নিজের সুখী জীবন যাপনের জন্য আল্লাহর কাছে এইভাবে চাইবেন-
ইয়া মুজিবু এই দোয়াটি প্রতিদিন বেশি বেশি করে পাঠ করবেন। ফজর নামাজের পর যতটুকু পারেন পাঠ করবেন এবং প্রতিটি ওয়াক্ত নামাজের পরে আপনি এটি পাঠ করবেন। ইনশাল্লাহ আপনার দোয়া আল্লাহ তায়ালার দরবারে খুব তাড়াতাড়ি কবুল হবে।
দ্রুত দোয়া কবুলের আমল
বুখারী শরীফের হাদিস রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, জুমার দিনে একটি সময় আছে যে সময় মমিন নামাজ পড়া অবস্থায় পায় এবং আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই সেই চাহিদা পূরণ করবেন, এবং তিনি তার হাত দিয়ে সেই সময়ের সংক্ষিপ্ততার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। অনেক ওলামায়ে কেরামগণ সে সময় কি জুমার দিন আছর নামাজ থেকে মাগরিব নামাজের মাঝে মাঝে সময়টাকে বুঝিয়েছেন।
- মুসলিম শরীফের হাদিস রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, রাতের শেষ সময় এবং ফরজ নামাজের পর দোয়া কবুল হয়।
- মুসলিম শরীফের হাদিস রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে সময়টাতে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছের চলে যায় তাহলে সেজদার সময় সুতরাং তখন তোমরা আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাও।
- আবু দাউদ শরীফের হাদিস রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, দুই সময়ের দোয়া ফেরানো হয় না, আযানের দোয়া এবং বৃষ্টি বর্ষণে সময়ের দোয়া। তাছাড়া আরাফাতের দিনের দোয়া, রোজাদার ইফতারের সময়কার দোয়া, জিলহজ মাসের ১০ তারিখের দোয়া, শবে কদরের রাতের দোয়া, মুসাফির অবস্থায় দোয়া। এই সময়গুলোতে আল্লাহ তা'আলা সবচেয়ে দ্রুত দেওয়া কবুল করেন।
দোয়াঃ এয়া রাজাআল মুমিনিনা লা তাকতাআ রাজাআন, এয়া গিয়াসাল মুমিনিনা আগিসনা, এয়া মুইনাল মুমিনিনা আইন্না, এয়া মুহিব্বাত তাওয়্যাবিনা তুব আলায়না,
অর্থঃ হে ঈমানদারদের আশা ভরসা, আমাদের আশা ভরসা ভঙ্গ করবেন না। হে ঈমানদারদের দোয়া শ্রবণকারী আমাদেরকে সাহায্য করুন। হে ঈমানদারদের সাহায্যকারী আমাদের সাহায্য করুন। হে তাওবা কারীদের মোহাব্বত কারী আমাদের উপর খাস বৃষ্টি দান করুন।
এ কলমাগুলো যদি আপনি দোয়াতে শামিল করেন। আর দোয়ার কবুল হওয়ার সময় যেগুলো বলেছি সেই ওয়াক্ত গুলোতে যদি আপনি দোয়া করেন ইনশাল্লাহ আল্লাহ তাআলার দরবারে আপনার দোয়া কবুল হয়ে যাবে।
রাতে যে দোয়া পড়লে আল্লাহ ফেরত দেন না
রাতের যে ইবাদত এবং দোয়া আল্লাহর কাছে অত্যন্ত মর্যাদা ও সম্মানের। যে ব্যক্তি গভীর রাতে আল্লাহর কাছে তাওহীদের সাথে দোয়া করলে সে দোয়া আল্লাহ তাআলা কখনো ফেরত দেয় না। এবং সকল বান্দার দোয়ায় আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ রাতে জেগে আল্লাহরকাছে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। আর যদি ওই ব্যক্তি ওজু করে এবং নামাজ আদায় করে তবে সে নামাজও কবুল করা হয়।' (বুখারি, মিশকাত)
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার; ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ ৷
অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই । তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই । তাঁর জন্যই সকল রাজত্ব ও তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা এবং তিনিই সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। মহা পবিত্র আল্লাহ ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন ক্ষমতা নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত'।
যে আমল রূপ মুক্তির শিফা
কুরআন মানুষের সুখ সমৃদ্ধি নাজিল হয়েছে। মানুষের জীবনে যা কিছু লাগে সকল কিছুই কুরআনের মধ্যে রয়েছে। এই কোরআনের মধ্যে অনেক আয়াত রয়েছে যেগুলো স্বরূপ জন্য শিফা স্বরূপ।
সে জন্য আল্লাহ তালার কাছ থেকে এই আয়াতের মাধ্যমে রোগ যদি মুক্তি চাওয়া সকল মানুষেরই উচিত।
রোগ থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই আল্লাহর সকল বিধান জানতে হবে এবং যথাযথভাবে আল্লাহর বিধানগুলো মেনে চলার পাশাপাশি তা বিশ্বাস রাখতে হবে। রোগ-ব্যাধি থেকে শিফা লাভে কয়েকটি আয়াত তুলে ধরা হলো-
ক. বিসমিল্লাহরসহ সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত
খ. সূরা তাওবার ১৪নং আয়াত
উচ্চারণ- ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু'মিনিন
অর্থ : এবং মু'মিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন।
গ. সুরা ইউনুসের ৫৭নং আয়াত
উচ্চারণ : ওয়া শিফাউ'ল লিমা- ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু'মিনিন।
অর্থ : এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।
ঘ. সুরা নহলের ৬৯ নং আয়াত
উচ্চারণ : ইয়াখরুঝু মিমবুতু-নিহা- শারা-বুম মুখতালিফুন, আলওয়ানুহু- ফি-হি শিফা-উ লিন্না-সি।
অর্থ : তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার
ঙ. সুরা শুআরার ৮০ নং আয়াত
উচ্চারণ : ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি।
অর্থ : যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।
চ. সুরা বনি ইসরাঈলের ৮২নং আয়াত
উচ্চারণঃ ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল কুরআ’নি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রাহমাতুিল লিলমু'মিনি-ন।
অর্থঃ আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।
ঙ. সুরা শুআরার ৮০ নং আয়াত
উচ্চারণঃ ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি।
অর্থঃ যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।
চ. সুরা বনি ইসরাঈলের ৮২নং আয়াত
উচ্চারণঃ ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল কুরআ’নি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রাহমাতুিল লিলমু'মিনি-ন।
অর্থঃ আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।
উপরে আয়াতগুলো আপনি যদি একবার তেলাওয়াত করে কোন একটি পানির পাত্রে দম ফেলে সেই পানি যদি পান করেন তাহলে আল্লাহ তা'আলা সকল জটিল ও কঠিন রোগ গুলো থেকে রক্ষা করবেন।আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কুরআনি আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাহান্নাম থেকে বাঁচার আমল
কবি বলেন, 'জন্মিলে মরিতে হবে, অমরকে কোথা ভবে' পৃথিবীতে সকল জীবনের মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। যারা ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে জাহান্নাম তাদের জন্য হারাম হবে।
সেজন্য মৃত্যুবরণ এর আগে অবশ্যই ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করা সকলের জন্য দরকার। তেমনি জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের আমল ও অত্যন্ত প্রয়োজন। উভয় কাজের আমলই এক সঙ্গে করা যায়। জাগো নিউজে এ আমলটি তুলে ধরা হলো- আমলটি হলো
উচ্চারণঃ রাব্বানা মা খালাক্বতা হা-যা বা-জ্বিলান, সুবহা-নাকা ফাক্বিনা 'আযাবাননা-র। রাব্বানা ইন্নাকা মান তুদখিলিননা-রা ফাক্বাদ্ আখঝাইতাহু, ওয়া মালিজজ্বা-লিমী-না মিন্ আনছা-র। রাব্বানা ইন্না-না সামি'না মুনা-দিআই ইউনা-দী লিলঈমা-নি আন আ-মিনু বিরাব্বিকুম ফা আ-মান্না, রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়্যেআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআ'ল আবরা-র।
অর্থঃ 'হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। পবিত্রতা তোমারই জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহানড়বামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে প্ৰতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহানড়বামে নিক্ষেপ কর তাকে অপমানিত কর।
আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান এনেছি।
হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সকল গোনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সকল দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও।' (সুরা আনআম : আয়াত ১৯১-১৯৩)
রাগ থেকে মুক্ত থাকার আমল
শয়তানের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলা তাঁরই নিকট আশ্রয় চাইতে বলেছেন। কারণ শয়তান মানুষের ক্ষতি ও বিনাশ করে আনন্দ পায়। শয়তানের যাবতীয় ষড়যন্ত্র মানুষ বিভিন্ন অন্যায় কাজে জড়িত হয়।
প্রচণ্ড রাগ বা ক্রোধ তার একটি। প্রচণ্ড রাগ বা ক্রোধের সময় করণীয় সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে উত্তম আমল রয়েছে। জাগো নিউজের পাঠকের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
উচ্চারণঃ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজিম
অর্থঃ 'আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।' (বুখারি, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
মুসনাদে আবি ইয়ালার মধ্যে উল্লেখ হয়েছে, রাসুল (সাঃ) সামনে দুটি লোকের ঝগড়া বেধে যায়। রাগে একজনের নাসারন্দ্র ফুলে ওঠে। তখন রাসুল (সাঃ) বললেন, 'যদি লোকটি এই কালিমা পড়ে তবে তার রাগ এখনই ঠাণ্ডা এবং স্তিমিত হয়ে যাবে। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
অল্পদিনে ধনবান হওয়া যায় কি আমল করলে
لا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلا بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ اَللّهُمَّ الْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَاغْنِنِي
بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكُ
উচ্চারণঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ হিল আলিয়ি্যল আজীম। আল্লাহুম্মাকফিনী বিহালালিকা আনহারা মিকা ওয়াআগনিনী বিফাদলিকা আমমান সিওয়াক।
ফজিলতঃ হুজুর পাক (সা:) ফরমান, যে ব্যক্তি উক্ত দোয়া দৈনিক ১০০০ হাজার বার পাঠ করে আল্লাহ চাহেতু অল্প দিনের মধ্যে ধনবান হইয়া যাইবে এবং জুমার পর ৭০ বার পাঠ করে তবে সপ্তাহ দিনের মধ্যেই আলন্টাই চাহেতু ধনবান হইয়া যাইবে (মিরকাত)।
নামাজ পরে গুরুত্বপূর্ণ দোয়া
سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، سُبْحَانَ اللَّهِ رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ عَرْشِهِ ، سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ
(সুবহানাল্লাহি আদাদা খালক্বিহী, সুবহানাল্লাহি রিদ্বা নাফসিহী, সুবহানাল্লাহি যিনাতা আরশিহী, সুবহানাল্লাহি মিদা-দা কালিমা-তিহী) (৩ বার)
অর্থঃ আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর সকল সৃষ্টির সংখ্যার সমপরিমাণ, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর সন্তুষ্টির সমপরিমাণ, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর আরশের ওজনের সমপরিমাণ, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর বাণীসমূহ বর্ণনা করার কালি সমপরিমাণ।
কোন দোয়া পাঠকারী আল্লাহ তায়ালার মুক্তি ঘোষণা দিয়েছেন?
سُبْحَانَ الَا بَدِي - سُبْحَانَ الْوَاحِدِ الْأَحَدِ سُبْحَانَ الْفَرْدِ الصَّمَدِ
سُبْحَانَ رَافِعِ السَّمَاءِ بِغَيْرِ عَمَدٍ - سُبْحَانَ مَنْ بَسَطَ الْأَرْضَ عَلَى مَاءٍ
جَمَدٍ سُبْحَانَ مَنْ خَلَقَ الْخَلْقَ فَأَحْصَاهُمْ عَدَدَ سُبْحَانَ مَنْ قَسَمِ
الرِّزْقَ وَلَمْ يَنْسَ أَحَدٌ سُبْحَانَ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذُ صَاحِبَةً وَلَا
وَلَنَّ اسْبْحَانَ الَّذِى لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণঃ সুবাহানাল আবাদিয়্যাল আবাদ, সুবহানাল ওয়াহিদিল আহাদ, সুবহানাল ফারদিস সামাদ, সুবহানা রাফিয়্যিলস সাম-ই-বিগাইর আমাদ, সুবহানা মাম বাসাতাল আরদা আলা মা-ইন জামাদ, সুবহানা মান, খালাকাল খালফা ফানোহছাহুম আদাদা সুবহানা মান কাস সামার রিযকা ওয়ালাম ইয়ানসা। আহাদুন সুবহা-নাল্লাজী লাম আত্তাখিজ সাহিবা তাউ ওয়ালা ওয়ালাদা, সুবহা নাল্লাজি লামইয়ালিদ ওয়ালাম ইয়ুলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহ কুফুয়ান আহাদ।
ফজিলতঃ ইমাম- আবু হানীফা (রহ.) বলেন, আমি আল্লাহ তা'য়ালাকে ৯৯ বার স্বপ্নে দেখে। মনে মনে ভাবলাম শত তম বার দেখলে জিজ্ঞেস করব কি কাজ করলে মানুষ কিয়ামতের দিন আপনার আজাব থেকে মুক্তি পাবে? অতঃপর ১০০ তম বার স্বপ্নে। দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, “হে প্রভু? কি আমল করলে কিয়ামতের দিন মুসলমান বান্দারা আজাব থেকে নাজাত পাবে?” “জবাবে আল্লাহ তা'য়ালা বললেন যে ব্যক্তি সকাল। বিকাল ঐ তাসবীহ পাঠ করবে সে আমার আজাব থেকে মুক্তি পাবে।” (সিরাতুন নোমান)
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় গ্রাহক এমন আরো নতুন গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটির ফলো করে রাখুন। এই আমলগুলো নিয়মিত পালন করার চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার কপাল খুলে যাবে।
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
masallah