স্যাটেলাইট এর সুবিধা ও অসুবিধা - ব্যবসা ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট এর ব্যবহার
স্যাটেলাইট এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আপনি জানতে ইচ্ছুক, কিন্তু সঠিক উত্তর কোথাও পাচ্ছেন না। আসুন আজকে এই আর্টিকেল থেকে ব্যবসা ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট এর ব্যবহার - স্যাটেলাইট কি? সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃবর্তমান সময়ে আমরা স্যাটেলাইট নিয়ে অনেক প্রশ্ন ভেবে থাকি। আজকে এই আর্টিকেল থেকে আপনি যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন- স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইটের ব্যবহার, স্যাটেলাইট কি বায়োলজি, স্যাটেলাইট ভাইরাস বলা হয় কেন, স্যাটেলাইটের সুবিধা ও অসুবিধা, স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশনের সুবিধা অসুবিধা।
ভূমিকা
আজকে স্যাটেলাইট নিয়ে যে কথাগুলো লেখা হয়েছে এগুলো আমার নিজের বানানো কথা নয়। এই লেখাগুলো যাবতীয় সকল তথ্যই সংগ্রহীত। আশা করি আজকে এই আর্টিকেল পড়ে আপনি স্যাটেলাইট সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন। আপনি আমাদের সাথেই থাকুন।
স্যাটেলাইট কি?
এক কথায় বলতে, স্যাটেলাইট হলো একটি বস্তু যেটি আরেকটি বস্তুকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে।হয়তো আপনি এখন ভাবছেন যে পৃথিবী কি একটি স্যাটেলাইট? উত্তর হলো হ্যাঁ পৃথিবী একটি স্যাটেলাইট। কারণ পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এবং চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে সেজন্য চাঁদ একটি স্যাটেলাইট।
এগুলোকে বলা হয় প্রাকৃতিক স্যাটেলাইট কিন্তু আমরা জেনে থাকি, যে স্যাটেলাইট হলো মানুষের তৈরি যেটি পৃথিবীতে প্রদক্ষিণ করে। আসলে এটি মানুষের তৈরি যন্ত্র।
অর্থাৎ সহজ করে বলা যায় স্যাটেলাইট হলো একটি কৃত্রিম বস্তু যার মাধ্যমে আমরা তথ্য সংগ্রহের করি এবং যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয় যেটি পৃথিবী, চাঁদ বা বিভিন্ন গ্রহতে এটি স্থাপন করে রাখা হয়।
স্যাটেলাইট ভাইরাস বলা হয় কেন?
আমরা অনেকেই জানি না যে স্যাটেলাইট একটি ভাইরাস, এটি সাব-ভাইরাল এজেন্ট। এইসব ভাইরাল এজেন্ট টি প্রতিলিপির কারণে সহায়তার ভাইরাস আর হোস্ট কোষের একত্রে মিশ্রণের ওপর নির্ভরশীল থাকে। এই স্যাটেলাইট কে দুই শ্রেণীতে ভাগে ভাগ করা হয়ঃ স্যাটেলাইট নিউক্লিক এসিডাে এবং স্যাটেলাইট ভাইরাস
- স্যাটেলাইট ভাইরাসটি মূলত উদ্ভিদের সাথে জড়িত, এটি স্তন্যপায়ী প্রাণী আবার ব্যাকটেরিয়াতেও পাওয়া যায়। স্যাটেলাইট ভাইরাস গুলি জেনেটি সকল উপাদান জড়িত থাকার জন্য যেগুলো ব্যবহৃত প্রোটিন গুলিকে এনকোড রাখে। সেজন্য তাদের ভাইরাস গুলির ব্যবহারিক প্রোটিন থেকে অন্যরকম।
- স্যাটেলাইট নিউক্লিক এসিড এদের নিজেদের গঠনে প্রোটিন এনকোড করবেন না, বরঞ্চ এদেরকে সহাহতা কারী ভাইরাসের Andom প্রোটিন দ্বারা Encapsulation করা হয়।
স্যাটেলাইট এর ব্যবহার
আমাদের সকলের জীবনে স্যাটেলাইট হলো এমন একটি প্রযুক্তি যার কারণে আমরা উঠতে বসতে এই স্যাটেলাইটের নিয়ে পড়ে থাকি শুধু যে আমরা মোবাইল বা টিভি নয়, স্যাটেলাইট ছাড়া আমাদের জীবনে অনেক কাজ সম্ভব হতো না।
ব্যক্তিগত কাজে স্যাটেলাইট এর ব্যবহারঃ আমাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য আমরা স্যাটেলাইট ব্যবহার করে থাকি। আসলে স্যাটেলাইট বিষয়টি হলো আমরা যে সকল নেটওয়ার্ক পাই এবং সে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমার নিজেদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত কাজ করে থাকি।
এ সকল কাজগুলি হলোঃ
- অনলাইনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন পণ্য কিনে থাকি। সেটি হতে পারে জামা কাপড় বা বিভিন্ন আসবাবপত্র
- মোবাইল ফোন দিয়ে আমরা যে ইন্টারনেট চালাই এবং তার মাধ্যমে আমরা গেম খেলে থাকি, ইউটিউব বা ফেসবুকে বিভিন্ন ভিডিও দেখে থাকি এবং আমরা ঘরে বসেই আমাদের বাসা বাড়ির বিল পরিশোধ করে থাকে
- এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করে আমরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কথা বলতে পারি
- স্যাটেলাইটের কারণে আমরা ঘরে বসে থেকে সকল খবরাখবর পাই
- আমাদের কোন জিনিস প্রয়োজন হওয়ার সাথে সাথে আমরা ফোনে সার্চ দিয়ে থাকি এগুলো সবই স্যাটেলাইট মাধ্যমে আমরা পেয়ে থাকি
- মূল কথার এক কথা হলো স্যাটেলাইট হলো ইন্টারনেট যোগাযোগ মাধ্যম। সেটেলাইটে বিভিন্ন কাজ রয়েছে শুধু ইন্টারনেট দেওয়া এটাই নয়।
ব্যবসা ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট এর ব্যবহার
সেটেলাইটের মাধ্যমে আমরা দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি আমরা ব্যবসা কাজে ব্যবহার করে থাকি। স্যাটেলাইট আমাদের ব্যবসার কাজে অনেক সাহায্য করে।
যে ব্যবসা গুলোর কাজে লাগায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেগুলো হলঃ মেন কথা হল অনলাইন জগতে যে সকল কাজ আমরা করে থাকি। যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা কাজ করে সে নেটওয়ার্ক মূল স্থান হল স্যাটেলাইট।
এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা সকল কিছু দেখতে পাই যার ফলে আমাদের জীবনধারণ করার অনেক সুবিধা হয় পড়েছে। যার ফলে আমরা ঘরে বসে অনেক কিছু অর্ডার দিয়ে এবং আরো বিভিন্ন কাজ করে থাকে।
স্যাটেলাইট এর সুবিধা ও অসুবিধা
স্যাটেলাইট ব্যবহার করার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাতে যেমন আমরা সুবিধা পাচ্ছি তেমন ভাবে কিছু অসুবিধা হয়েছে।
স্যাটেলাইট ব্যবহারের সুবিধাঃ
- স্যাটেলাইট ব্যবহার করে একজন টেন্ডার তার ডাটা কে অনেকগুলো রিসিভার এর কাছে পাঠাতে পারে। ডাটা পাঠানোর ওই সিস্টেমকে ব্রুডকাস্ট বলা হয় বলা হয়।
- স্যাটেলাইটের মাধ্যমে একজন মানুষ অল্প সময়ের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিভিন্ন তথ্য পাঠাতে পারে।
- আর এখানে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারের চেয়ে স্যাটেলাইট ব্যবহার করার সুবিধা অনেক। কারণ অপটিক্যাল ফাইবারের দাম অনেক বেশি।
- যেসব মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে যেমন- বাস, ট্রেন, বিমান ইত্যাদি থাকে তাদের সাথে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায়।
- পৃথিবীর এক প্রান্তে কোন প্রান্তে যোগাযোগ করা যায় শুধুমাত্র স্যাটেলাইটের মাধ্যমে
- পৃথিবীতে অনেক জায়গায় নেটওয়ার্কে কভার করা যায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে
- গ্রাম অঞ্চল বাদ যেসব জায়গায় যোগাযোগ করা কঠিন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সে সব জায়গায় যোগাযোগ করা যায়। ইত্যাদি।
স্যাটেলাইট ব্যবহারে অসুবিধাঃ
- স্যাটেলাইটের প্রধান সমস্যা হচ্ছে এর দাম। একটা স্যাটেলাইট কে মহাশূন্যে উঠাতে অনেক বেশি খরচের প্রয়োজন হয়।
- খারাপ আবহাওয়াতে স্যাটেলাইটের ঠিকমতো কাজ করে না। সিগন্যাল যখন স্যাটেলাইটের কাছে যায়, তখন খারাপ আবহাওয়া থাকা অবস্থায় স্যাটেলাইটের সিগনালের সাথে নয় যুক্ত হয় ফলে সিগনালে এমপুলুটুট কমে যায়।
- যখন কোন স্যাটেলাইট অকেজ হয়ে যায়, তখন সেটাকে আর ঠিক করা হয় না। কারণ স্যাটেলাইট কে ঠিক করার জন্য অনেক খরচ লাগে। তাই অকেজো স্যাটেলাইট কেউ মহাকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়।
- স্যাটেলাইট গুলো পৃথিবী থেকে অনেক দূরে থাকার ফলে এক জায়গাতে অন্য জায়গায় ডাটা পাঠাতে সময় লাগে।
- স্যাটেলাইটকে আকাশের নির্দিষ্ট অরবিটে ভিডিও উঠানোর পরে সেটাকে সে পক্ষ হতে স্থির রাখার জন্য অনেক জটিল মেকানিক এর কাজ এবং ক্যালকুলেশনে কাজ করতে হয়। প্রতি মুহূর্তে স্যাটেলাইট কে নিয়ে হিসাব নিকাশ করতে হয়, সেটা কতটুকু ঘুরছে কতটুকু জায়গা সরে যাচ্ছে।
- মহাকাশে স্যাটেলাইটের এনার্জি পাওয়ার জন্য সূর্য ছাড়া আর উপায় নেই। তাই স্যাটেলাইট সূর্যকে ব্যবহার করে সোলার প্যানেল দ্বারা ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি তৈরি করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। কিন্তু স্যাটেলাইটের সোলার প্যানেল সব সময় সূর্য থেকে মুখ ঘুরে থাকে না। এটি যখন পৃথিবীর কক্ষপথে অন্ধকার থেকে চলে আসে তখন স্যাটেলাইটে ব্যাটারি ব্যবহার করতে হয়। যতদিন ব্যাটারি ঠিক থাকবে ততদিন স্যাটেলাইট ঠিক থাকবে আর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে স্যাটেলাইট বাতিল।
স্যাটেলাইট কি biology
যে সকল কোষে প্রোটিন পরিমাণ সংযোজন, একাধিক সংখ্যা ক্ষেত্রে বিশেষ এবং nucleus আকৃতি বড়। সাধারণত একটি নির্দিষ্ট chromosome নির্দিষ্ট স্থানে নিউক্লিওলাস একত্র থাকে। নির্দিষ্ট chromosome ওই নির্দিষ্ট স্থানটির নাম STA বা স্যাটেলাইট। সে ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে স্যাটেলাইট একটি biology।
স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে?
স্যাটেলাইট কাজে ব্যবহৃত হয়। টেলিভিশন সম্প্রচার, জিপিএস সিস্টেম, স্যাটেলাইট ফোন কল, বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা তথ্য যোগাযোগ, নেভিগেশন সিস্টেম, স্যাটেলাইট ভিত্তিক যুদ্ধ পরিচালনা ইত্যাদি আরো অনেক কাজে। বিভিন্ন আয়তন প্রদানের জন্য স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়।
পৃথিবীর উপরে অবস্থান করার মাধ্যমে অতি সহজে তথ্যের আদান প্রধান পাওয়া যায়। রকেট এর মাধ্যমে স্যাটেলাইট কে প্রথমত মহাকাশে পাঠানো হয়। মহাকাশের নির্দিষ্ট স্থান এবং নির্দিষ্ট স্পিড অর্জন করার পর রকেট থেকে স্যাটেলাইটকে আলাদা করা হয়। এরপর পৃথিবীকে কেন্দ্র করে স্যাটেলাইট ঘুরতে থাকে।
যেহেতু ১৬০ কিলোমিটার এর উপরে কোন বায়ুমণ্ডল নেই সেহেতু কোন বাধা নেই। অতএব রকেট যে স্পিডে স্যাটেলাইট ছেড়ে দেয় সেই স্পিডে আজীবন ঘুরতে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
আজকের এয়ারটেল থেকে আপনাকে স্যাটেলাইট সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি। প্রিয় পাঠক আপনি অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনার মনের অজানা প্রশ্ন জানতে পেরে উপকৃত হয়েছে। আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই আমাদের কমেন্ট সেকশন নিয়ে একটি কমেন্ট করে যাবেন। আর আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url