পাতি লেবু খাওয়ার নিয়ম - পাতি লেবুর গুণাবলী - পাতি লেবুর অপকারিতা
আপনি হয়তো পাতি লেবুর গুণাবলী এবং পাতি লেবুর অপকারিতা সম্পর্কে খুঁজছেন কিন্তু সঠিক উত্তর পাচ্ছেন না। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে লেবু সম্পর্কিত সকল তথ্য খুব সহজে উল্লেখ করেছি।আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে লেবু খেলে কি কি উপকার হয় এবং লেবু আপনার জন্য কতটা উপকারী।
পোস্ট সূচিপত্রঃপ্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে পাতিলেবুর রস খেলে যেভাবে ওজন কমে। তেমন বিভিন্ন ধরনের রোগ মোকাবেলা তে সাহায্য করে। আজকের এই আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারবো লেবুর উপকারিতা ও অপকারিত এবং পাতিলেবু খাবার নিয়ম, পাতি লেবুর গুণাবলী বিশেষ করে পাতিলেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবো।
ভূমিকা
লেবু খাওয়া সম্পর্কে প্রায় ৯৯ জনের মতো মানুষেরই সঠিক ধারণা নেই। আমাদের মধ্যে অনেকে এটাও জানে না যে লেবু আসলে আমাদের শরীরের মধ্যে কি কাজে লাগে। লেবু খেলে কি উপকার হয় আসলে লেবুটা কিভাবে খেলে উপকার হয় আর কিভাবে খেলে ক্ষতি হয়।
আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল লেবুর দৈনিক কতটা পরিমাণ খাওয়া উচিত। কতটুকু খেলে ভালো কতটুকু খেলে মারাত্মক ক্ষতি হয়। আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন আপনি লেবুর সম্পর্কে সকল ধরণা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
পাতি লেবুর গুণাবলী
পাতিলেবু দেখতে আকারে ছোট হলেও বিশেষ Antibacterial, Antiviral ও Antifungal গুনাগুন থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ প্রতিরোধের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন পুষ্টি দ্রব্য ফ্রাইটো কেমিক্যালসের সমন্বয়ে ঘটায় পাতিলেবু কে Magic Fruit হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে।
এছাড়াও পাতি লেবুতে অনেক কিছু Phytonutrients যেমন, লিমনিন, সাইটোসটেরল. ফ্লাভোনয়েড ইত্যাদি থাকে। ঔষধি গুণাবলী Antioxidant ধর্মী বিভিন্ন ধরনের ফ্রাইটো কেমিক্যাল থাকায় পাতিলেবুর বিশেষ ধরনের ঔষধি গুনা গুন আছে।
যেমন, হজম শক্তি বাড়ায়, পেকটিন, ভিটামিন সি ও অন্যান্য পুষ্টি দ্রব্য পাতিলেবু বদহজম, অরুচি, বমি, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলো দূর করে।
পাতি লেবুর উপকারিতা
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ হাইপার টেনশনের রোগীরা প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে দু চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। লেবুর পটাশিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ রাখবে।
- ওবেসিটি কমায়ঃ ওবেসিটি প্রতিরোধের জন্য প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির মধ্যে পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খান। এবং এর সাথে নিন লো ক্যালোরি ব্যালেন্স ডায়েট। পাতিলেবুর খোসায় থাকে, ফাইবার, লিমনিনয়েড ও পেকটিন জাতীয় পলিফেনিক যৌগ। যা দেহের ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করেঃ পাতিলেবুতে সোডিয়াম খুব কম এবং পটাশিয়াম বেশি থাকায় উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া এন্টি অক্সিজেন এবং ফাইবার ধর্মী, বাইওফ্ল্যাবেনোটস এর উপস্থিতির কারণে, রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদরোগ ও বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, বি ভিটামিন, ডায়েটের ফাইবার, ভিটামিন সি এবং জিংক যুক্ত থাকায় সাইট্রাস এ ফলটিকে নিয়মিত ডায়েটের অন্তর্ভুক্ত করুন।
- অ্যানিমিয়া দূর করেঃ লেবুতে উল্লেখযোগ্য মাত্রা আয়রন না থাকলেও, ডাল ও শাক সবজির নমহীন আয়রন শোষণের সাহায্য করে লেবুর ভিটামিন সি ও সাইট্রিক এসিড। সেজন্য রক্ত শূন্যতার রোগীরা ডাল ভাত সালাত ও বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খাইলে অনেক উপকার পাবেন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ ক্ষতিকর Free Radicals সমূহ নিষ্ক্রিয় করে দেহের সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এনটি অক্সিজেন ও ফাইটো ক্যামিক্যালস সমৃদ্ধ পাতিলেবু।
- ডিহাইড্রেশন দূর করেঃ বি ভিটামিন, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি যুক্ত পাতিলেবুর শরবত, গরমের দিনে কোথাও বের হবার সময় থেকে ফিরে এসে লেবুর শরবত খেলে শরীরে ওয়াটার ইলেকট্রোলাইটস এর ব্যালেন্স ঠিক থাকে এবং ডিহাইড্রেশনের সমস্ত সম্ভাবনা এড়ানো যায়।
- ভাইরাল ইনফেকশন দূর করেঃ জ্বর, সর্দি কাশি, গলায় ঘা ও অন্যান্য ভাইরাস আক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে পাতিলেবুর রস।
- স্কার্ভি দূর করেঃ জিবে ও ঠোটে ঘা, নড়বড়ে দাঁত, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, খসখসে চামড়া মুখের দুর্গন্ধ ইত্যাদি অনেক সমস্যার সমাধানের সাহায্য করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পাতিলেবু। এছাড়াও পাতিলেবুর রস হলদেটে ও ছোপধরা দাঁতের সমস্যা মুক্তি ঘটাতে সাহায্য করে।
পাতি লেবু খাওয়ার নিয়ম
- পাতিলেবুর রস আপনি দুই ভাবে খেতে পারবেন।
- কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন ।
- সাধারণ ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন।
প্রতিদিন সকালে, এক গ্লাস পানি নিবেন এবং তার সাথে তিন থেকে চার চা চামচ লেবুর রস পানিতে খুব ভালোভাবে গুলিয়ে ওই পানি আপনারা পান করবেন এবং বসে অবশ্যই ধীরে ধীরে পান করতে হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে একবারে পানি না খেয়ে তিন বা তারও বেশি ঢোকে খেতে হবে।
অবশ্যই লেবুর পানি খাবার পরে কুলি করতে হবে বা সাধারণ পানি খেতে হবে। আপনি চাইলে পানি, লেবু ও তার সাথে মধু মিশ্রিত করেও প্রতিদিন নিয়মিত খেতে পারেন। আপনি রোদ্রে যাবার পূর্বে এবং রোদ্রে থেকে আসার পরেও এক গ্লাস মিশ্রিত লেবু পানি খেতে পারেন।
পাতি লেবুর অপকারিতা
- মুখমন্ডলের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ঃ দীর্ঘদিন থেকে যদি লেবু খান তাহলে মুখের ভেতরে থাকা নরম কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওখান থেকে মুখের মধ্যে ফোড়া বা ফুসকুনি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সাইট্রিক এসিড সমৃদ্ধ কোনো ফল খেলে এই সমস্যাগুলো হতে পারে।
- উৎসেচক ভেঙ্গে যায়ঃ আমরা খালি পেটে যদি মিশ্রিত লেবু পানি খায় তাহলে আমাদের শরীরের সকল উচ্ছেচক পেপসিন ভেঙে যাবে।
- আয়রনের মাত্রা বাড়ায়ঃ ভিটামিন সি আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় কিন্তু অতিরিক্ত ভিটামিন সি এর কারণে আয়রনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত কারণ হয়ে পরে এবং বিভিন্ন অভ্যন্তরীণের অঙ্গ পতঙ্গ ক্ষতি হয়।
- সাইটাচ মাইগ্রেন বাড়ায়ঃ যাদের আগে থেকে মাইগ্রেনের জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের লেবুর রস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
- সানবার্ন হয়ঃ আমাদের লেবুতে অনেকের এলার্জি রয়েছে , আমরা অনেকেই তা বুঝতে পারি না। লেবুর রস খেয়ে রোদ্রে বের হলে আমাদের অনেকের স্ক্রিনে লাল রেশ দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে কালো ছোপও দেখা যায়, যাকে আমরা সানবার্ন বলে ভুল করে থাকি। লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক এসিডের সঙ্গে সূর্য আলোর বিক্রিয়ায় এই সমস্যা দেখা যায় এছাড়াও অতিরিক্ত লেবুর রস স্কিন ক্যান্সার দেখে আনে।
- গ্যাস্ট্রিক ও পেপটিক আলসারঃ লেবুর পানি অতিরিক্ত পান করার ফলে আমাদের গ্যাস্ট্রিক ও পেপটিক আলসার এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমনকি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের প্রাচীরে ঘা হতে পারে। কারণ লেবু পানি পান করার ফলে পেটে অধিক এসিডিটি ও গ্যাস উৎপন্ন হয়।
- ঘন ঘন মূত্র ত্যাগের অভ্যাসঃ আমাদের শরীরের জন্য যদিও ভিটামিন সি অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান। তারপরেও আমরা যদি অধিক পরিমাণে লেবু পানি পান করি তাহলে আমাদের ঘনঘন মূত্রত্যাগের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এর ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে, কারণ লেবু প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
- কিডনিতে পাথরঃ আমরা যদি লেবুর খোসা রান্নায় ব্যবহার করি, তাহলে কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হতে পারে, কারণ খোসায় অক্সালেট থাকে। অক্সালেট আমাদের শরীরে ক্রিস্টালি পরিণত হয় বলে ক্যালসিয়ামের শোষণকে প্রতিহত করে এর ফলে কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে।
- পাকস্থলী সমস্যাঃ আমরা যদি অনেক লেবুর রস পান করি তাহলে আমাদের পাকস্থলী সমস্যা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আর আমাদের শরীরে মধ্য যতটুকু শোষণ করার ক্ষমতা রয়েছে, তার চেয়ে বেশি ভিটামিন সি আমাদের শরীরের মধ্য গেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন সি আমাদের শরীর থেকে বের করে দেয়ার জন্য পানির আধিক্য তৈরি হয় এবং যার কারণে ডায়রিয়া ও বমি হতে পারে।
যদি কোন সময় অধিক মাত্রায় লেবু খান এবং লেবু পানি খাবার পর সাথে সাথে যদি স্বাভাবিক পানি দিয়ে কুলি কুচি করে একটু পানি না খান তাহলে, আপনার দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যাবে। দাঁতের ওপরে সাদা অংশ ক্ষয় হয়ে গেলে, আপনার দাঁত বেশি সেনসিটিভ হয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেন্টাল রিসার্চ এর এক পত্রে বলা হয়েছে, কোল্ড ড্রিঙ্কস যেমন দাঁতের ক্ষতি করে, একইভাবে লেবু পানীয় দাঁতের কিছুটা ক্ষতি করে।
লেবু খাওয়ার আগে ও পরে যে খাবার খাওয়া যাবে না
লেবুর সাথে বা লেবু খাওয়ার অন্ততপক্ষে ১ থেকে ২ ঘন্টা আগে ও পরে এ খাবার গুলো খাবেন না।
প্রথমতঃ যে খাবারটি সম্পর্কে বলছি এটি লেবু এবং পেঁপে। কাঁচা ও পাকা পেঁপে একসঙ্গে লেবুর সঙ্গে খাবেন না। এটি আপনার হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য হীনতার কারণ হতে পারে। এর পাশাপাশি আপনি এনিমিয়ার শিকার হতে পারেন।
বড়দের জন্য এটি তাড়াতাড়ি প্রতিক্রিয়া না করলেও শিশুদের জন্য এটি তাড়াতাড়ি প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। লেবু এবং পেঁপে অনেকে সালাত বানিয়ে খান কিংবা সালাতের মধ্যে লেবুর রস দিয়ে খান। পেঁপে সালাতে অবশ্যই আপনি লেবুর রস দিতে যাবেন না এটি আপনার শরীরের খুব ক্ষতি করবে। এজন্য লেবু ও পেঁপে একসঙ্গে খাবারে আপনাকে অবশ্যই বাদ দিতে হবে।
দ্বিতীয়ঃ যে খাবারটির সম্পর্কে বলছি এটি লেবু এবং দুধ। এক টেবিলে অর্থাৎ যে খাবারের টেবিলে লেবু রয়েছে, সে টেবিলের দুধ না রাখাই ভালো। কারণ যদি লেবু ও দুধ আপনি একসঙ্গে খান তাহলে আপনার বদহজমের মত সমস্যায় পরতে হবে ।
অধিক পরিমাণে দুধের মধ্যে যদি আমরা সামান্য পরিমাণেও লেবুর রস ফেলি ফলে কি ঘটে তা আমরা সকলেই জানি। ঠিক একইভাবে যখন দুধ এবং লেবু আপনি একসাথে খাবেন এটি পেতে গিয়ে আপনার একই অবস্থা সৃষ্টি করবে। সাথে এসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক,পেট ব্যথা, বদহজম, ও ডাইরিয়ার মত সমস্যা হতে পারে।
তৃতীয়ঃ যে খাবারটি সম্পর্কে বলছি এটি হলো লেবু এবং টমেটো। সালাতে সাথে লেবু এবং টমেটো একসঙ্গে খাওয়া হয়। আবার অনেক সময় আমরা টমেটোর সালাতের সাথে লেবুর রস মিশ্রিত করে দেই। আয়ুর্বেদিকদের মতে আমাদের এ কাজটি কোনভাবেই করা যাবে না। খাবার টেবিলে যেখানে লেবু ব্যবহার করা হচ্ছে, কিংবা যেখানে টমেটো ব্যবহার হচ্ছে সেখানে লেবু সেখানে অবশ্যই টমেটো রাখা যাবে না।
চতুর্থঃ খাবার যেটা লেবুর সাথে পরিহার করতে হবে তা হচ্ছে ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধ। লেবু এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধ আমাদের একেবারেই না খাওয়াই ভালো। ধরুন যে বেলার খাবারে আপনি লেবু রেখেছেন তার পর পরি কোন ক্যালসিয়ামের ওষুধ কোনভাবেই খাওয়া যাবেনা। আপনার যদি ক্যালসিয়ামের ওষুধ খাওয়ার কোন কোর্স থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে লেবু পরিহার করতে হবে।
পঞ্চমঃ যে খাবারটি লেভের সাথে খাবেন না সেটি হল দই। আপনাদের অবশ্যই দই এবং লেবু একসাথে খাওয়া যাবে না। এর সাথে আমাদের শরীরে আরো বেশি টক্সিন উৎপাদিত হতে পারে। আর সাইট্রাস ফলের সাথে দুধের মিশ্রণে আমাদের শরীরে হজম সিস্টেমে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এবং সর্দি, ঠান্ডা বা এলার্জির মুখোমুখি হতে পারেন।
তাইলে লেবু ও দই একসঙ্গে মিশ্রিত করে কখনোই খাবেন না। অবশেষে আমরা বুঝতে পারি যে, লেবু আমাদের জীবনে উপকারী এবং অপকারী দুটোই ডেকে আনে। অতিরিক্ত কোন কিছুই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। সেজন্য লেবু খেলেও এটি আমাদের অভ্যাসে পরিণত করা যাবে না, কারণ লেবুর সাইট ইফেক্ট রয়েছে।
আজকের যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, পাতিলেবুর গুণাবলী, ঔষধি গুণাবলী, পাতি লেবুর উপকারিতা, পাতিলেবুর খাবার সঠিক নিয়ম, পাতি লেবুর উপকারিতা এবং লেবু খাওয়ার আগে ও পরে যে খাবার খাওয়া যাবে না।আশা করি আজকের বিষয়গুলো আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে আপনার ভালো লেগেছে। আপনার মতামতটি কমেন্টের মাধ্যমে জানান।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন লেবু খেলে কি কি হয় এবং লেবুতে কি কি রয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি আপনাকে খুব সহজেই লেবু সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার। আশা করি আপনি এই পোস্ট থেকে উপকৃত হয়েছেন। আর অন্যান্য পোস্ট জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। এবং আপনার মন্তব্যটি কমেন্টের মাধ্যমে জানান।
A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url