ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধের উপায় - ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব - ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে তথ্য
ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আপনি জানার চেষ্টা করতেছেন কিন্তু কোথাও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আপনি ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সকল তথ্য পাবেন এবং অজানা সকল কিছু আপনি আজকে এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃআজকে যে ঘূর্ণিঝড়ে যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে সেগুলো হল ঘূর্ণিঝড় কি ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে তথ্য খুনি ঝড়ের দশটি প্রভাব ইত্যাদি। আশা করি আর্টিকেল থেকে আপনাকে এই সকল বিষয়ে ধারণা দিতে পারব এবং খুব সহজে আপনি বুঝতে পারবেন।
ভূমিকা
আমাদের এই পৃথিবীতে প্রায় প্রতিটা বছরেই ৮০টি মতো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির হয়ে থাকে। প্রায় প্রতিটা বছর ২০ হাজারের মতো মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের প্রবলে পড়ে মারা যায়। ঘূর্ণিঝড় হলে আমরা কি করবো এটা আমরা জানি না। আজকের বিষয়ে আমরা বিশেষ করে জানব ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রতিরোধের উপায়। আশা করি আপনি আমাদের সাথে থাকবেন।
ঘূর্ণিঝড় কি?
পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সবচেয়ে বড় ধ্বংসাবশেষ ভৌগোলিক প্রক্রিয়া হল ঘূর্ণিঝড়। যে ঝরের কারণে বৃষ্টি ও বজ্র এবং বাতাস প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে এগিয়ে চলে তাকে ঘূর্ণিঝড় বলে।
- মৌসুমী ঘূর্ণিঝড়ঃ কোন ঝড় বাতাস যদি ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার কম বেগে ধাবিত হলে তাকে সাধারণ মৌসুমী ঝড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ঘূর্ণিঝড়ঃ যে সকল ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি অর্জন করে সেগুলোই মূলত ঘূর্ণিঝড়।
- তীব্র ঘূর্ণিঝড়ঃ এছাড়াও যদি ঘূর্ণিঝড়ের গতি ৮৮ থেকে ১৭০ কিলোমিটার গতি থাকে তাহলে তাকে বলে তীব্র ঘূর্ণিঝড়।
- প্রবল ঘূর্ণিঝড়ঃ এবং গতিবেগ যদি ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে তাহলে তাকে আমরা বলি প্রবল ঘূর্ণিঝড়
- সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড়ঃ ২২০ কিলোমিটার বা তার থেকে বেশি গতি প্রবাহিত ঘূর্ণিঝড় কে বলা হয় সুপার সাইক্লোন।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব
- আমাদের জমিতে যতগুলো আবাদ করা হয়ে থাকে সে সকল আবাদগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্টি প্রচন্ড ঝড় এবং বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে আবাদের ক্ষতি করে। এবং বন্যা হওয়ার কারণে সমুদ্রের নোনা পানি জমিতে আসার ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পাই। ফলে বন্যায় ডুবে যাওয়ার কারণে সে সকল জমিতে আবাদ বন্ধ হয়ে যায়।
- ঘূর্ণিঝড় এর ফলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। কারণ ঘূর্ণিঝড়ে প্রবল বাতাসে বৈদ্যুতিক খুঁটি, বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার, নেটওয়ার্কের টাওয়ার, ইত্যাদি যতগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সবগুলো ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলে।
- প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভূগর্ভস্থ এবং নলবাহী পানি দুটোই বন্যার দূষিত পানির সাথে মিশে গিয়ে ক্ষতি করে। সেজন্য বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দেয়।
- ঘূর্ণিঝড়ের ফলে আশেপাশের যে সকল বাড়িঘর রয়েছে সেগুলো অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং ঘূর্ণিঝড়ের সাথে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে উপকূল অঞ্চলের বড় বড় ঢিলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিভিন্ন ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ার ফলে বা কোন বস্তুর আঘাতের কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও বন্যা জড়িত এলাকায় অনেক রকম রোগ হয়ে থাকে যেমন-ডায়রিয়া কলেরাই ইত্যাদি। এবং এ সকল রোগ আস্তে আস্তে বৃদ্ধি হতে থাকে।
ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে তথ্য
ঘূর্ণিঝড় মূলত বেশিরভাগ সময় বিষুব রেখার বা গ্রীষ্মমন্ডলীয় সমুদ্রে সৃষ্টি হয়ে থাকে। সমুদ্রে যেসকল অঞ্চলে প্রায় ১৫০ ফিট বেশি গভীর পর্যন্ত তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যদি উপরে থাকে, তাহলে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে।
গ্রীষ্মকালে বিষুব অঞ্চলে অনেক উত্তাপের কারণে, বাতাস গরম হয়ে এটি উপরের দিকে উঠে যায়। ফলে সেখানে বায়ুর চাপ অনেক হারে কমে যায় একে আমরা বলে থাকি নিম্নচাপ। তখন বাতাসের শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য, মেরু অঞ্চলের শীতল বায়ু দ্রুত বেগে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে আসতে থাকে।
এই বায়ু প্রবাহর ফলে এই বায়ু থেকে ভয়ংকর কালো মেঘের জন্ম হয়। পৃথিবীর ঘূর্ণায়োনের প্রভাবে মেরু অঞ্চলে বাতাস সোজাসুজি প্রবাহিত না হয়ে দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে এবং উত্তর গোলার্ধের ডানদিকে বেকে যায়।
আরো পড়ুনঃ মৌসম ভিত্তিক বেশি বজ্রপাত প্রবন এলাকা
সেকারণের দক্ষিণ গোলার্ধের ঘূর্ণিঝড় ঘড়ির কাটার দিকে এবং উত্তর গুলাতের ঘূর্ণিঝড় ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুরে। প্রতিবছর যে সকল ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় তার কম সংখ্য কি প্রতিকূলে আঘাত কম হানে। অধিকাংশ ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্র উৎপন্ন হয়ে সমুদ্রে শেষ হয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড়ের ১০টি প্রভাব
- আইলা ঘূর্ণিঝড়ঃ আইলা ঘূর্ণিঝড়টি কারণে ভারত পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের অনেক লাখো লাখো মানুষের ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ঝরটি ২০০৯ সালে হয়েছিল। এই ঝড়ে প্রভাব পরবর্তীতেও ভারত এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে। ঝড়ের গতিসীমা ছিল ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
- ভোলা ঘূর্ণিঝড়ঃ এই ঝড়টি ১৯৭০ সালে হয়েছিল। এই ঝড়টি বাংলাদেশ এবং ভারতের উপর দিয়ে যাওয়া সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং সাইক্লোন এর মধ্য এটি একটি অন্যতম। এই ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলের যে সকল এলাকা রয়েছে সেই সকল এলাকায় অনেক ক্ষতি করে। আর এই ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিসীমা ছিল ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
- উড়িষ্যা সাইক্লোনঃ এই উড়িষ্যা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতে সুপার সাইক্লোন এ ভয়াবহ একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করে। এবং অনেকেই এটি আম্ফানের সাথে তুলনা করে থাকেন। এটি ১৯৯৯ সালে ঘূর্ণিঝড়টি হয়েছিল। আর এই গুনে ঝড়ের গতিসীমা ছিল ২৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
- ফিয়ান ঘূর্ণিঝড়ঃ এই ঘূর্ণিঝড়টি মূলত আরব সাগরে হয়েছিল। এবং ভারতীয় মহাদেশের এই ঘূর্ণিঝড় এটি একটি অন্যতম সাইক্লোন বলা হয়ে থাকে। কারণ এই আরব দেশে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উপকূলীয় যে সকল অঞ্চল রয়েছে যেমন- কর্ণাটক, তামিলনাডু, এবং গুজরাটে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এই ঘূর্ণিঝড়টি ২০০৯ সালে হয়েছিল। এবং এর গতি সীমা ছিল ৯০ কিলোমিটার পার ঘন্টা।
- নিলম ঘূর্ণিঝড়ঃ এই ঘূর্ণিঝড় টি ২০১২ সালে হয়েছিল। এই ঘূর্ণিঝড়টি মূলত ভারতে তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্র উপকূলে দেখা গিয়েছিল। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিসীমা ছিল ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
- পাইলিন ঘূর্ণিঝড়ঃ পাইলেন ঘূর্ণিঝড়টি ২০১৩ সালে ঘটেছিল। এবং পাইলিন ঘূর্ণিঝড়টি ১৯৯৯ সালে উড়িষ্যার সেই সুপার সাইক্লোনের পর এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভয়াবহ প্রভাব দেখা গিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ ও ঝাড়খন্ডে। এবং এর সর্বোচ্চ গতিসীমা ছিল ২২৬ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
- হুদহুদ ঘূর্ণিঝড়ঃ হুদহুদ ঘূর্ণিঝড়টি ২০১৪ সালে হয়েছিল। এই ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উড়িষ্যাই ভয়াবহ প্রভাব পড়েছিল। এবং এ ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিসীমা ছিল ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
- তিতলি ঘূর্ণিঝড়ঃ এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের উড়িষ্যা গোপালপুর ও অন্ধপ্রদেশের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় রূপ ধারণ করেছিল। ২০০০ এই ঘূর্ণিঝড় ২০১৮ সালে ঘটেছিল। এবং এর গতিসীমা ছিল এক প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার।
- ফনি ঘূর্ণিঝড়ঃ এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাতের ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এবং এই ঘূর্ণিঝড় ২০১৯ সালে হয়েছিল। এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিসীমা ছিল প্রতি ঘন্টা ২২০ কিলোমিটার।
- বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ঃ বুলবুল ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছিল। এবং এটি ২০১৯ সালে নভেম্বরের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় রূপে ধারণ করেছিল। এবং এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিসীমা ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধের উপায়
ঘূর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু কিছু কিছু উদ্দেশ্য আমাদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে। ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের অবশ্যই বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। এটা শুধু ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধই করে না এটি আপনার জীবন বাচায়।
প্রাকৃতিক সমাধান সাধারণত প্রাকৃতিক ও বাসস্থানকে ব্যবহার করে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। আর যে সকল এলাকায় ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস হতে পারে সে সময় এলাকায় উঁচু করে বাদ দিতে হবে। আর বাঁধের উচ্চতা হতে হবে ২৫ থেকে ৩০ ফুট। ঘূর্ণিঝড় বা জলসাস এলাকার আশেপাশের উঁচু জায়গা নিয়ে একটি আশ্রয় কেন্দ্র বানাতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
ঘূর্ণিঝড় বা জলেশ্বর এলাকাগুলোতে আপনাকে মজবুত করে বাড়ি ঘর তৈরি করতে হবে। এবং বাড়ি ঘরের দূরত্ব বজায় রেখে গাছ লাগাতে হবে। গাছ গাছালি ঘূর্ণিঝড়কে বাধা গ্রস্থ করে এবং ঘূর্ণিঝড়কে দমন করতে সাহায্য করে।
ঘূর্ণিঝড় হওয়ার কারণ কি?
ঘূর্ণিঝড় হরমোন কারণ হলো সমুদ্র এবং সাথে স্থলভাগ রয়েছে। আর রয়েছে সূর্যের বায়ুমণ্ডল, বায়ুমন্ডলের তারতম্য, বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব ইত্যাদি। গ্রীষ্মকালে সূর্যের তাপ সরাসরি পৃথিবীর বুকে পড়ে। ফলে সে সকল এলাকায় বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া বায়ু অন্য বায়ুর তুলনায় হালকা হয়ে যায়।
তুলনামূলকভাবে ভারী বায়ু গুলো নিচে রেখে হালকা বায়ু গুলো উপরে উঠে যায়। এক্ষেত্রে নিচের বায়ুর চাপ কমে যায়। আশেপাশে এলাকায় বায়ুর সঙ্গে দেখা দেয় চাপের তারতম্য। আরে দুই এলাকার চাপ সমান করতে সমুদ্র থেকে প্রবল বেগে ছুটে আসে বাতাস। আর সেই প্রবল জোরে ছুটে আসা বাতাসকে আমরা বলি ঘূর্ণিঝড়।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি
- আপনাদের ঘরগুলো প্রথমে মজবুত করতে হবে। মজবুত করার জন্য যতগুলো জিনিসপত্র প্রয়োজন সবগুলো দিয়ে ঘরটিকে মজবুত করে নিতে হবে।
- আবহাওয়া বাত্রার বিপদ সংকেত পাওয়া মাত্রই বাড়ির সকলকে নিয়ে নিরাপদ স্থানে বা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। এবং অপসারণ নির্দেশনার পরে আপনারা খুব তাড়াতাড়ি আশ্রয় কেন্দ্রে যান। আর অবশ্যই আশ্রয় কেন্দ্র যাওয়ার আগে বাড়িতে আগুন নিভিয়ে যাবেন।
- আপনার প্রয়োজনীয় যে সকল জিনিসপত্র রয়েছে যেমন-চাল, ডাল, শুকনো কাঠ, চিনি, ঔষধ, বইপত্র, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি পানি নিরোধন পলিথিনে খুব ভালোভাবে একটি গর্তে রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
- যদি আপনার গরু থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেগুলোকে উঁচু স্থানে নিয়ে যেতে হবে। যদি কোন উঁচু স্থান না থাকে গরুকে গোয়াল ঘরে আটকে রাখবেন না। প্রচুর জায়গা না থাকলে গরুগুলোকে ছেড়ে দিন তাদেরকে বাঁচার জন্য চেষ্টা করতে দিন।
- আপনার বাড়ির আশেপাশে গাছের ডালপালা গুলো ঝড় আছড়ে পড়ার আগে কেটে রাখুন। যেন ঝড়ে গাছগুলোর ভেঙে বা পড়ে না যায়। এবং যেকোনো বেতারে আপনি আবহাওয়া বার্তার খোঁজখবর নিতে থাকুন।
- দলিল পত্র ও টাকা পয়সা একটি পলিথিন এর মধ্যে রেখে আপনার সাথে রাখুন।
- টিউবলের মাথা খুলে আলাদা করে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে এবং টিউবয়েলের খোলা মুখটি পলিথিন দিয়ে ভালোভাবে আটকে রাখতে হবে। যেন নোংরা বা বিষাক্ত পানি কি বলে মধ্য প্রবেশ করতে না পারে।
- ঘূর্ণিঝড়ের পরে অবশ্যই বৃষ্টির পানি ধরে রাখা ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ এর পানি পুরোপুরি পরিষ্কার এবং বিশুদ্ধ। একটি বড় পাতিলে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এবং পাতিলে মুখটি ভালো হবে আটকে রাখতে হবে।
লেখকএর মন্তব্য
আজকের যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে। অবশ্যই আমাদের যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রেই সতর্কতা হতে হবে। এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য যে সকল নিয়মাবলী আছে সেগুলো মেনে চলতে হবে।
প্রিয় পাঠক আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো, আশা করি আপনার মনের অজানা তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনি এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হয়েছেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url