নাশপাতি ফলের পুষ্টিগুণ - নাশপাতি ফলের উপকারিতা
আপনি কি জানেন নাশপাতি ফলের পুষ্টিগুণ কতটুকু? এবং এই নাশপাতি ফলের উপকারিতা ও
নাশপাতি ফলের অপকারিতা কি কি? এই আর্টিকেল থেকে খুব সহজে আপনি সকল প্রশ্নের উত্তর
পেয়ে যাবেন। এই আর্টিকেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পূরণ এবং উপভোগ করুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
- নাশপাতি ফলের পুষ্টিগুণ
- নাশপাতি ফলের উপকারিতা
- নাশপাতি ফলের অপকারিতা
নাশপাতি ফলের পুষ্টিগুণ
- পানিঃ নাশপাতি ফলের রসালো প্রকৃতির উচ্চ পানি উপাদানের জন্য অনেক কৃতিত্ব রয়েছে। প্রায় ৮০% পানি দ্বারা গঠিত, নাশপাতি আপনাকে হাইড্রেটেড রাখে এবং সামগ্রিক শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
- কার্বোহাইড্রেঃ নাশপাতি কার্বোহাইড্রেটের একটি বড় উৎস, যা বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য শক্তি সরবরাহ করে। এই কার্বোহাইড্রেটগুলি প্রধানত প্রাকৃতিক শর্করার আকারে উপস্থিত হয়, যা নাশপাতিগুলিকে তাদের আনন্দদায়ক মিষ্টি দেয়।
- খাদ্যতালিকাগত ফাইবারঃ নাশপাতিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের নিয়মিততাকে উৎসাহিত করে। এই ফাইবার ফলের চামড়া এবং মাংসে উপস্থিত থাকে, যা এর সামগ্রিক স্বাস্থ্য উপকারে অবদান রাখে।
- ভিটামিনঃ নাশপাতি প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের প্রচার করে। অপরদিকে ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- খনিজঃ নাশপাতি ফল একটি চিত্তাকর্ষক খনিজ প্রোফাইল boasts. পটাসিয়াম, একটি ইলেক্ট্রোলাইট, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। অন্যান্য খনিজ, যেমন তামা এবং ম্যাঙ্গানিজ, শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রতিরক্ষা এবং এনজাইম ফাংশনে অবদান রাখে।
- ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসঃ নাশপাতিতে বিভিন্ন ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে, যা প্রাকৃতিক উদ্ভিদ যৌগ যা অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্ল্যাভোনয়েডগুলিতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। কিছু নাশপাতি জাতের মধ্যে পাওয়া ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের আরেকটি গ্রুপ অ্যান্থোসায়ানিন, প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব প্রদান করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসঃ নাশপাতিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা এমন যৌগ যা শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্থোসায়ানিন সহ এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি হৃদরোগ এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখে।
- পেকটিনঃ নাশপাতি বিশেষ করে পেকটিন সমৃদ্ধ, এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার। পেকটিন একটি প্রাকৃতিক ঘন করার এজেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, তৃপ্তি বাড়াতে এবং হজমের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে ভূমিকা পালন করে।
- এনজাইমঃ নাশপাতি ফলের মধ্যে বিভিন্ন এনজাইম রয়েছে যা হজমে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামাইলেজ কার্বোহাইড্রেট ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে, যখন সেলুলেজ সেলুলোজ ভাঙতে সাহায্য করে, উদ্ভিদ কোষের দেয়ালে পাওয়া একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট।
- জৈব অ্যাসিডঃ জৈব অ্যাসিড নাশপাতিগুলিকে তাদের স্বাক্ষর তেঁতুল দেয় এবং তাদের স্বাদ জটিলতায় অবদান রাখে। ম্যালিক অ্যাসিড, সাধারণত নাশপাতিতে পাওয়া যায়, একটি মনোরম টক ধার দেয়, যখন সাইট্রিক অ্যাসিড সামগ্রিক স্বাদে উজ্জ্বলতার ইঙ্গিত যোগ করে।
আরো পড়ুনঃ রামবুটান ফলে পুষ্টিগুণ
নাশপাতি ফলের উপকারিতা
নাশপাতি আমাদের অনেকের পছন্দের একটি ফল। শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদার জন্য
আপনি হয়তো বিভিন্ন মৌসুমী এবং বিভিন্ন সময়ে নানা রকম ফল খেয়ে থাকেন। তবে
বাকি ফলের থেকে নাশপাতি ফলের উপকারিতা কিন্তু মোটেও অগ্রাহ্য করার সম্ভব নয়।
তাহলে চলুন জেনে নিন নাশপাতির উপকারিতা-
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ নাশপাতি উদাই এবং এনজাইম সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। নাশপাতি ফল গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ নাশপাতির মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ফ্লাভোনয়েড এবং ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এবং এটি বিভিন্ন ক্যান্সার যেমন- ব্রেস্ট, রেক্টাম, ও কোলন ক্যান্সার রোধে নাশপাতির জুড়ি নেই।
- খাদ্য হজমঃ নাশপাতি দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার এর একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। এতে প্রায় ৭১ শতাংশ অদ্রবণীয় ফাইবার এবং ২৯ শতাংশ দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। নাশপাতি তে থাকা অদ্রবণীয় ফাইবার বা আস হলো-পলিশ্যাকারাইড যা হজমে ভূমিকা পালন।
- অন্ত্রের কার্যক্ষমতাঃ নাশপাতি অন্ত্রের কার্যক্ষমতা সঠিকভাবে সচ্ছল রাখে। অর্থাৎ আমাদের অন্তরে কিছু ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে। যে আমাদের জন্য উপকারী বলে স্বীকৃত। এই ব্যাকটেরাগুলো আমাদের শরীরের খাবার হজমের পরিবেশ সৃষ্টি করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যক্রমঃ ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদন থেকে দেখতে পায় যে নাশপাতিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ক্লোরোজেনিক এসিড আছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যেমন-ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ফ্লাভোনয়েড উপাদান যেমন- বিটা ক্যারোটিন, ফ্লুটিন ইত্যাদি উপাদান শরীর থেকে ফ্রি রেডিকেলস গুলো দূর করতে সাহায্য করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়াঃ খাবার খাওয়াতে একটু অন্যরকম হলেই কষ্ট কাটে নাও বা ডায়েরির সমস্যা হতে পারে। এবং অনেকেই এ সকল রোগে ভোগে থাকেন। সে সকল মানুষের জন্য একটি সহজ সমাধান হতে পারে নাশপাতি। নাশপাতি বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখে। বাওয়েল মুভমেন্ট হল-দেহের খাদ্য হজম প্রক্রিয়ার একদম শেষ সীমানা।
- হৃদপিন্ডের উন্নতিঃ কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতিতে নাশপাতির উপকারিত অনন্য। অন্যদিকে নাশপাতি পটাশিয়ামের একটি উত্তম উৎস। রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে পটাশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেটি সুস্থ হৃৎপিণ্ড তার একটি প্রধান শর্ত।
- রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধঃ নাশপাতি রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাধারণ আয়োডিনের স্বল্পতা বা বিভিন্ন জটিল রোগের কারণে লোহিত রক্ত কণিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন করতে পারে না। যার ফলের শরীরের রক্তের অভাব দেখা। নাশপাতি লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে কার্যকরী।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ আমাদের দেহের শেত রক্তকণিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার প্রধান সৈনিক। ভিটামিন সি এই শেত রক্তকণিকা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ফ্লু, সর্দি ও কাশি সাধারণত যে সকল রোগ আমাদের ঘিরে আছে সে সকল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে।
- প্রদাহ থেকে মুক্তিঃ নাশপাতি দেহের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাবনয়েড উপাদান এর উপস্থিতির কারণে এটি প্রদাহ কমাতে পারে। দীর্ঘকালীন প্রদাহ স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক যা অনেক রোগের সাথে জড়িত যেমন হৃদরোগ, টাইপ টু ডায়াবেটিস ইত্যাদি।
- হাড়ের মজবুতঃ নাশপাতিতে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের মত খনিজ লবণ বা মিনারেল যথেষ্ট পরিমাণে আছে। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস প্রভৃতি উপাদানের উপস্থিতি হাড় মজবুত করে এবং ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ নাশপাতি দেহের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে দীর্ঘ জীবন প্রাপ্তিতে সহায়তা করে। যে অন্তরের চর্বি শোষণ করতে সাহায্য করে।
- দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধঃ বিভিন্ন কারণে আমাদের দাঁতের মারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এ সমস্যা দিন দিন গুরুতর আকার ধারণ করে। নাশপাতি এই দাঁতের ক্ষয় কি প্রতিরোধ করে। নাশপাতি রসের সাথে অল্প কিছু ফিটকারি করে মিশিয়ে সারারাত রেখে দেয়ার পর সকালে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
- রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা কমায়ঃ নাশপাতিতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের কারনে রক্তের উপরে এর প্রভাব সুস্পষ্ট। রক্তে অ্যালকোহলের উপস্থিতি বিভিন্ন রোগের মূল কারণ। নাশপাতি এই অ্যালকোহলের মাত্রা কমিয়ে রক্তকে পরিশুদ্ধ করে।
- অতিরিক্ত ওজন রাস করেঃ নাশপাতিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুবই কম। এতে ফাইবার থাকার কারণে তা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের প্রতি আসক্ত কমায়।
- সঠিক উপায়ে রক্ত সঞ্চালনঃ নাশপাতি হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। রক্ত সঞ্চালনের জন্য কৌশির জালিকা, ধমনী এবং শিরা এই তিনটি নালিকার প্রয়োজন। নাশপাতি কৌশিক জালিকা শক্ত করতে সহায়তা। একই সাথে পুষ্টি উপাদান রক্তকে পরিশুদ্ধ করে ফলে শরীরের সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালিত হতে পারে।
- অবসাদ দূরীকরণঃ নাশপাতির এই উপকারিতা অনেকেকেই চমকে দেবে। তবে এটা সত্য এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। শারীরিক পরিশ্রমে আমাদের মাংস পেশি দুর্বলের কারণে আমরা তখন ক্লান্ত হয়ে। মাংস পেশি বিভিন্ন কারণে দুর্বল হতে পারে। দীর্ঘকালীন রোগ, ভিটামিনের অভাব অথবা পটাশিয়াম বা সোডিয়াম কম পরিমাণে গ্রহণ করা। নাশপাতির পুষ্টিবরণ থেকে জেনেছে যে এতে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আছে। এর জন্য নাশপাতি খেলে আমাদের শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়াম এর অভাব পূরণ হয়।
আরো পড়ুনঃ লটকন ফলের উপকারিতা
নাশপাতি ফলের অপকারিতা
- টেক্সচারঃ নাশপাতি ফলের দানাদার এবং তীক্ষ্ণ টেক্সচার সবার স্বাদ কুঁড়িকে আপীল নাও করতে পারে, কিছু ব্যক্তিকে অনাগ্রহী বা অসন্তুষ্ট রেখে যায়।
- অ্যালার্জিঃ যদিও খুব সাধারণ নয়, কিছু ব্যক্তির নাশপাতিতে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, চুলকানি, ফোলাভাব বা শ্বাস নিতে অসুবিধার মতো লক্ষণগুলি অনুভব করতে পারে।
- জারণঃ নাশপাতির মাংস বাতাসের সংস্পর্শে এলে সহজেই অক্সিডাইজ হয়, যার ফলে বিবর্ণতা এবং স্বাদে পরিবর্তন হয়, যা কারো কারো কাছে অপ্রীতিকর হতে পারে।
- সংক্ষিপ্ত শেলফ-লাইফঃ অন্যান্য ফলের তুলনায় নাশপাতিগুলির একটি অপেক্ষাকৃত কম তাক-জীবন রয়েছে, এটিকে নষ্ট না করে একটি বর্ধিত সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা এবং উপভোগ করা কঠিন করে তোলে।
- হজম সংক্রান্ত সমস্যাঃ নাশপাতিতে উচ্চ ফাইবার উপাদান একটি দ্বি-ধারী তলোয়ার হতে পারে; যদিও এটি বেশিরভাগ ব্যক্তির জন্য হজমে সহায়তা করে, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে কিছু লোকের মধ্যে অস্বস্তি, ফোলাভাব বা এমনকি ডায়রিয়া হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় গ্রাম আজকের আর্টিকেল থেকে নাশপাতি পুষ্টিগুণ থেকে নাশপাতির উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি আর্টিকেল থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আজকের এই আর্টিকেল থেকে যদি কোন কিছু বুঝতে না পেরে থাকেন বা কোন প্রশ্ন থেকে
থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো
করে রাখুন এমন নিত্যনতুন আর্টিকেল পড়তে। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য
ধন্যবাদ।
A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url