দোয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানুন

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় গ্রাহক আজকের আর্টিকেল থেকে দোয়া গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

দোয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানুন
পোস্ট সূচিপত্রঃ 

দোয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রতিটা মানুষ নিজের মনের আশা পূরণের জন্য আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে দোয়া করে। দোয়া যেহেতু প্রত্যেক বান্দার বাস্তবিক অবস্থান ফুটিয়ে তোলে এবং বান্দার অহংকৃত দূর করে এজন্য আল্লাহর কাছে বান্দার দোয়া অতি প্রিয়। 
বান্দাদের কল্যাণ অর্জন ও অকল্যাণ ব্যাহিত করার ক্ষেত্রে দোয়ার চেয়ে উপযোগী দ্বিতীয় আর কিছু নেই। আর দোয়া হল সকল ধরনের কল্যাণ মঙ্গল এবং বরকতের উৎস। কোরআন-হাদিসেও অসীম গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলত।

দোয়া সম্পর্কে কিছু হাদিস

  • রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, দোয়াই হলো ইবাদত। (তিরমিজি: ৮৭৪৬)
  • হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেন, যে আল্লাহর নিকট কিছু চায় না আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার ওপর রাগ করেন। -তিরমিজি
  • তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহর নিকট দোয়ার চাইতে অধিক মর্যাদাপূর্ণ বিষয় আর কিছু নেই। (মিশকাত হা/২২৩৬)
  • হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, সবচেয়ে দ্রুত যে দোয়া কবুল হয় তা হচ্ছে- কোনো ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করা। ’ –আবু দাউদ ও তিরমি
  • অন্য এক হাদিসে এসেছে, হুজুর (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দোয়া কবুলের ব্যপারে তাড়াহুড়া করলে দোয়া কবুল হয় না। -মুসলিম ও তিরমিজি
  • হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে বেশি সম্মানিত জিনিস আর কিছু নেই। -তিরমিজি ও ইবনে মাজা
  • অন্য এক হাদিসে হযরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, হুজুর (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো মুসলমান ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করলে সে দোয়া কবুল হয়। তার মাথার কাছে নিয়োজিত ফেরেশতা আমিন বলেন এবং বলেন, তোমার জন্যও অনুরুপ হোক। ’ -মুসলিম
  • হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিন দোয়া বিনা পর্দায় কবুল হয় এতে কোনো সন্দেহ নেই- ১. মাতা-পিতার দোয়া, ২. মজলুমের (অত্যাচারিতের) দোয়া এবং ৩. মুসাফিরের দোয়া। -আবু দাউদ ও তিরমিজি
  • হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দোয়া মুমিনের। হাতিয়ার, দ্বীনের খুঁটি এবং আসমান ও জমিনের আলো। ’ -হাকেম
  • হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে বিপদ নাজিল হয়েছে বা এখনো নাজিল হয়নি তার জন্য দোয়া উপকারী। হে আল্লাহর বান্দারা! তোমাদের দোয়া করা জরুরি। -হাকেম
  • হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকেই যেন আল্লাহর কাছে নিজ প্রয়োজন পূরণের জন্য দোয়া করে। এমনকি জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলেও আল্লাহর কাছে দোয়া করবে। -তিরমিজি
  • রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘দোয়া ছাড়া আর কিছুই আল্লাহর সিদ্ধান্তকে বদলাতে পারে না।’ -তিরমি

দোয়া সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

  • পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমার কাছে দোয়া করো। আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব’ (সূরা মুমিন, আয়াত ৬০।)
  • পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা নিজের প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে এবং সঙ্গোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদের পছন্দ করেন না’ (সূরা আরাফ, আয়াত ৫৫।)
  • পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। সুতরাং তোমরা তাঁকে সে নামেই ডাকবে।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৮০)
  • পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা ছিল সৎকাজে প্রতিযোগী, তারা আশা ও ভয় নিয়ে আমার প্রার্থনা করত। তারা ছিল আমার প্রতি বিনীত।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৯০)
  • পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমাদের প্রভু বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা : গাফির, আয়াত : ৬০)

দোয়ার ফজিলতঃ

হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘মুসলমান যখন অন্য কোন মুসলমানের জন্য দোয়া করে, যার মধ্যে কোনরূপ গোনাহ বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার কথা থাকে না, আল্লাহপাক উক্ত দোয়ার বিনিময়ে তাকে তিনটির যেকোন একটি দান করে থাকেন।
  • তার দোয়া দ্রুত কবুল করেন
  • তার প্রতিদান আখেরাতে প্রদান করার জন্য রেখে দেন
  • তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূর করে দেন।
একথা শুনে সাহাবিগণ (রা.) উৎসাহিত হয়ে বললেন, ‘তাহলে আমরা বেশি বেশি দোয়া করবো। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ তার চাইতে আরও বেশি দোয়া কবুলকারী। (মিশকাত হা/২২৫৯


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url