আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি - আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

প্রিয় গ্রাহক আজকের আর্টিকেল থেকে আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এবং আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমাশা রোগ আপনার শরীরে ভয়াবহ মহামারী ধারণ করতে পারে। এর জন্য আমাশয় রোগ হলে কি করবেন ও তার সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেল পুরোটা পড়ুন।
আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা | আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
পোষ্ট সূচিপত্রঃ আজকের আর্টিকেল থেকে মূলত জানতে পারবেন, আমাশয় রোগ কেন হয়, আমার সাথে রোগের প্রকারভেদ, আমাশায় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, এবং আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা।

আজকের বিষয়
  • আমাশয় রোগ কেন হয়?
  • আমাশয় রোগের প্রকারভেদ
  • আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
  • আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

ভূমিকা

আমাশয় একটি এমন রোগ যার পেছনে একটি জীবাণু দায়ী থাকে। যার নাম হল- এন্টামি বা হিস্ট্রোলাইটিকা। আর এই আমাশায় রোগটি খাদ্যবাহিত ও পানি বাহিত রোগ হয়ে থাকে। 
অর্থাৎ আমরা যখন বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকি বা পানি খাই সেই খাবার বা পানির মাধ্যমে এন্টামি বা হিস্ট্রোলাইটিকা নামক এমিবা জীবণুটি আমাদের শরীরে স্টোমাতে প্রবেশ করে তারপর সেটা অন্তরের মধ্যে যায়। এবং সে জীবাণু টি অন্তরের মধ্যে গিয়ে বাসা বাঁধে আর সে জায়গাটিতে ইনফেকশন তৈরি করে।

আমাশয় রোগ কেন হয়

এই রোগ মূলত Entamoeba histolytica প্রোটোজোয়ার আক্রমণ করার ফলে আমাশয় রোগ সৃষ্টি হয়। এবং বিভিন্ন প্রোটোজোয়া আমাশয় রোগ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। 

 যেমন - Entamoeba coli আমাশয় রোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। প্রধানত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে এ সকল প্রোটোজোয়া আমাদের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে থাকে।
  • দূষিত বা নোংরা পানি পান করলে
  • মলত্যাগ করার পরে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার না করলে
  • দূষিত পানিতে গোসল করলে
  • কোন নোংরা স্থান স্পর্শ করার ফলে
  • কোন ব্যক্তিকে স্পর্শ করার ফলে
  • বাহিরের খোলা খাবার খেলে

আমাশয় রোগের প্রকারভেদ

আমাশয় রোগে প্রকারভেদ মূলত দুই প্রকার যথা - 
  • অ্যামিবিক আমাশয় ( AMOBIC DYSENTERY) 
  • ব্যাসিলারি আমাশয় ( BACILLARY DYSENTERY)
আমাশয় কি?
আমাশয় হল পাচনতন্ত্রের একটি ব্যাধি যার ফলে পেটে মিউকয়েড এবং রক্তাক্ত মলের জন্য ব্যথা হয়। এটি প্রায়শই মলদ্বারে ব্যথার সাথে যুক্ত হয়। যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে আমাশয় মারাত্মক হতে পারে।

১। অ্যামিবিক আমাশয় ( AMOBIC DYSENTERY)
  • কার্যকারক এজেন্ট - এন্টামোয়েবা হিস্টোলাইটিকা (প্যারাসাইট)
  • প্রভাবিত গ্রুপ - প্রাপ্তবয়স্কদের
  • আক্রমণের মোড - ধীর, ঘটতে কয়েক মাস সময় নেয়
  • হালকা জ্বর
  • জলযুক্ত ডায়রিয়া যাতে রক্ত, শ্লেষ্মা বা পুঁজ থাকতে পারে
  • অবিরাম কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া
  • ক্লান্তি
  • পেটে ব্যথা
  • বমি বমি ভাব এবং বমি
২। ব্যাসিলারি আমাশয় ( BACILLARY DYSENTERY)
  • কার্যকারক এজেন্ট - বেশিরভাগ শিগেলডব্লিউ এসপি, অন্যান্য ই-কোলি, ভিব্রিও প্যারা হেমোলাইটিকাস এবং সি-জেজুনি
  • প্রভাবিত গ্রুপ - শিশু
  • আক্রমণের মোড - হঠাৎ, এক সপ্তাহের মধ্যে
দীর্ঘশ্বাস এবং উপসর্গ - 
  • উচ্চ ফেভা
  • পানি শূন্যতা
  • রক্তাক্ত+ পুঁজ মল
  • ক্ষুধামান্দ্য
  • পেট ফাঁপা
  • বেদনাদায়ক অন্ত্র আন্দোলন
  • পেটে ব্যথা
  • বমি বমি ভাব এবং বমি

আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
লক্ষণঃ আমাশয় রোগীদের আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগীদের শরীরে উল্লেখযোগ্য রোগ লক্ষণ গুলো দেখা যায়। বেশিরভাগ রোগীদের শরীরের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য রোগ লক্ষণ দেখা যায় না। চলুন কিছু লক্ষণ জেনে নেওয়া যাক-
  • দিনের ৫ থেকে ৬ বার অর্ধতরল মলত্যাগ করা
  • প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং দেহে জলের অভাব দেখা দেয়
  • পেটে ও পায়ে খিচুনি ধরতে পারে
  • বমি হয় বা বমি বমি ভাব দেখা দেয়
  • অন্তর বাসে পাতলা মল চলে যায় ও দাগ পড়ে যায়
  • চোখ মুখ শুকে যাওয়া, গলা বসে যাওয়া
  • শরীরে ১০০° থেকে বেশি তাপমাত্রা হওয়া
  • শরীর দুর্বল হয়ে যায়
  • ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়
এ সকল রোগের লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনি বুঝে নেবেন আপনার আমাশয় হয়েছে। আর এই লক্ষণগুলো এক থেকে দুই সপ্তাহ মতো থাকতে পারে। 

আর রোগীদের সুস্থ হতে দুই থেকে তিনদিনে লেগে যেতে পারে বা বেশি সমস্যা হলে এক থেকে দুই সপ্তাহের মতো লাগতে পারে। এজন্য এ সকল লক্ষণ দেখা দিলে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন। এবং ডাক্তারের পরামর্শের চিকিৎসা নেবেন।

প্রতিকারঃ আমাশয় একটি অত্যন্ত অস্বস্তিকর চিকিৎসা অবস্থা যা অন্ত্রের প্রদাহ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যার ফলে মারাত্মক ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা হয়। ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী সংক্রমণের কারণেই হোক না কেন, আমাশয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করতে পারে। 

যাইহোক, লক্ষণগুলি উপশম করতে এবং পুনরুদ্ধারের প্রচারের জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিকার পাওয়া যায়। আমাশয়ের জন্য এখানে দশটি প্রতিকার রয়েছে যা আপনি সহায়ক বলে মনে করতে পারেন

10 আমাশয় জন্য প্রতিকার-
  • হাইড্রেশনঃ আমাশয় পরিচালনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে একটি হল হাইড্রেটেড থাকা। জল, ভেষজ চা, পরিষ্কার স্যুপ এবং ইলেক্ট্রোলাইট দ্রবণ সহ সারা দিন প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। এটি হারানো তরল পুনরায় পূরণ করতে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে, যা অবস্থাকে আরও খারাপ করতে পারে।
  • প্রোবায়োটিকসঃ আপনার ডায়েটে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা আমাশয় ব্যবস্থাপনার জন্য উপকারী হতে পারে। দই, কেফির, স্যুরক্রট এবং অন্যান্য গাঁজনযুক্ত খাবারে পাওয়া প্রোবায়োটিকগুলি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলির একটি স্বাস্থ্যকর ভারসাম্যকে উন্নীত করে, যা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের প্রদাহ কমায়।
  • ব্র্যাট ডায়েটঃ আমাশয় মোকাবেলা করার সময়, সহজে হজমযোগ্য খাবার গ্রহণ করা অপরিহার্য যা ইতিমধ্যে স্ফীত অন্ত্রকে আরও জ্বালাতন করে না। কলা, ভাত, আপেল সস এবং টোস্ট সমন্বিত ব্র্যাট ডায়েট পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করতে পারে এবং উপসর্গগুলিকে বাড়িয়ে না দিয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে।
  • আদাঃ আদা দীর্ঘকাল ধরে তার হজমের সুবিধার জন্য স্বীকৃত, এটি আমাশয়ের জন্য একটি চমৎকার প্রতিকার করে তোলে। এটি অন্ত্রকে শান্ত করতে সাহায্য করে, প্রদাহ কমায়, বমি বমি ভাব দূর করে এবং পুষ্টির শোষণে সাহায্য করে। আদা চায়ে চুমুক দিন বা এর নিরাময় বৈশিষ্ট্যগুলিকে কাজে লাগাতে আপনার খাবারে এটি অন্তর্ভুক্ত করুন।
  • হলুদঃ এর প্রদাহ বিরোধী এবং জীবাণুরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, হলুদ আমাশয় পরিচালনায় একটি মূল্যবান সম্পদ হতে পারে। এই সোনালি মশলাটি আপনার খাবারে যোগ করুন বা উপসর্গগুলি উপশম করতে এবং নিরাময়কে উন্নীত করতে সাহায্য করার জন্য একটি প্রশান্তিদায়ক পানীয় হিসাবে উষ্ণ দুধের সাথে মিশ্রিত করুন।
  • রসুনঃ রসুনে প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাশয় সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। কাঁচা রসুন খাওয়া বা আপনার খাবারে এটি অন্তর্ভুক্ত করা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং উপসর্গগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ক্যামোমাইলঃ ক্যামোমাইল চা একটি স্ফীত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমকে প্রশমিত করার জন্য বিস্ময়কর কাজ করে। এটি ডায়রিয়া কমানোর সময় পেটে ব্যথা এবং ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে। আপনার পুনরুদ্ধারের সময় আরাম এবং স্বস্তি পেতে একটি উষ্ণ কাপ ক্যামোমাইল চায়ের স্বাদ নিন।
  • ট্রিগার খাবার এড়িয়ে চলুনঃ একটি আমাশয় পর্বের সময়, লক্ষণগুলি বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন খাবারগুলি সনাক্ত করা এবং এড়িয়ে চলা অপরিহার্য। মশলাদার, চর্বিযুক্ত এবং চর্বিযুক্ত খাবারের পাশাপাশি ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল ডায়রিয়াকে আরও খারাপ করতে পারে এবং পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। পরিবর্তে মসৃণ, সহজে হজমযোগ্য খাবার বেছে নিন।
  • বিশ্রামঃ অত্যধিক শারীরিক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত হওয়া আপনার শরীরের সংস্থানগুলিকে চাপ দিতে পারে, পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম আপনার শরীরের নিরাময় এবং শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার শরীরের কথা শুনছেন এবং ডিসেন্ট্রির সাথে লড়াই করার সময় পর্যাপ্ত বিশ্রামকে অগ্রাধিকার দিন।
  • মেডিক্যাল অ্যাটেনশন নিনঃ যদিও এই প্রতিকারগুলি আপনার পুনরুদ্ধারকে সমর্থন করতে পারে, তবে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা অত্যাবশ্যক, বিশেষ করে যদি আপনার লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকে বা খারাপ হয়। যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে আমাশয় গুরুতর হয়ে উঠতে পারে, তাই এটি একটি সঠিক রোগ নির্ণয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য।

আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি

আমাশয় রোগের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। যেহেতু এই রোগ বারেবারে ফিরে আসে তাই কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো আপনার আমাশয় রোধ করতে অনেক সাহায্য করবে। চলুন তাহলে জেনে নিন আমাশয় রোগের ঘরা পদ্ধতি-
আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

১। তরল পদার্থ বেশি গ্রহণ করা

বারবার পাতলা পায়খানা হলে বা এর সঙ্গে বমি হলে শরীরের পানির পরিমাণ কমে যায় এবং Dehydration হতে পারে। Dehydration থেকে বাঁচতে ও পৌষ্টিকতন্ত্রকে সুস্থ করতে বেশি পরিমাণে তরল পানিও করতে হবে।

তরল পানীও বেশি গ্রহণ করার ফলে আমাশয় জীবাণু কিছুটা হলেও দমন করা সম্ভব। দিনে 8 থেকে 10 গ্লাস পানি পান করা উচিত। এর সাথে ডাবের পানি. লাচ্ছি, ঘোল, বাটারমিল্ক, চা ইত্যাদি পান করতে হবে। এছাড়া নিয়মিত ORS পান করতে হবে।

২। ডাবের পানি

ডাবের পানির মধ্যে আমাশয় রোগের জন্য দায়ী প্রোটোজোয়াকে দমন করার ক্ষমতা আছে। এছাড়া ডাবের পানি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন ডাবের পানি খান কারণ এই ডাবের পানি আপনাকে Dehydration হাত থেকেও রক্ষা করে।

এছাড়াও ২ থেকে ৩ চামচ নারকেল তেল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলেও ভালো উপকার পাবেন। নারকেলের মধ্যে থাকা Triglyceride পরজীবী দূর করতে সাহায্য করে।

৩। রসুন ও লবঙ্গ

রসুনের মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী ধ্বংস করার ক্ষমতা। এছাড়াও রসুন আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কুয়া রসুন এবং তার সাথে ২-১ টি লবঙ্গ খালি পেটে কয়েক সপ্তাহ গ্রহণ করলে আমাশয় সমস্যার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৪। বেল

পরজীবী প্রোটোজোয়া ও জীবাণু ধ্বংস করতে অনেক উপযোগী। বেলের মধ্যে থাকা জৈবিক এসিড(Organic Acids) প্রোটোজোয়া ও জীবাণু ধ্বংস করে। 

এবং পাকা বেল থেকে কাঁচা বেলের এই এসিডের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে প্রোটোজোয়া দূর করতে কাঁচা বেল বেশি কার্যকরী।
  • কাঁচা বেলকে প্রথমে আগুনে পুড়িয়ে নিন
  • এবং সুসিদ্ধ করে নেওয়া হলে বেলের আঠা গুলি ভালোভাবে পরিষ্কার করে বাদ দিন
  • একটি গ্লাসের মধ্যে পরিবেশ করে ঢালুন
  • এবার এর মধ্যে অল্প পরিমাণ চিনি বা মধু মিশিয়ে দিন
  • এবার আপনি দিনে দুই থেকে তিনবার এই পদ্ধতিতে বেল সেবন করুন
এভাবে খুব সহজে বেলের মাধ্যমে আমাশয় রোগ দূর করতে পারবেন এবং এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আমাশয় রোগ দূর হয়ে যাবে। আর বর্তমানে আয়ুর্বেদিক ঔষধের দোকানে বেলের ডাস্ট পাওয়া যায়। বেলের ডাস্ট পানিতে গুলে খেলে একই রকম উপকার পাবেন।


আমাশয় রোগ সৃষ্টি কারি প্রোটোজোয়া দূর করতে নিমপাতা খুব ভালো কাজ করে। নিম পাতা আমাদের দেহে থাকা বিষাক্ত Toxin দূর করতে সাহায্য করে থাকে। 

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৫ থেকে ৬টি নিমপাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। আপনি চাইলে প্রতিদিন এক চামচ নিমের জুস খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকানের নিমের ক্যাপসুল পাবেন।

৬। থানকুনি পাতা

প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে থানকুনি পাতার বিভিন্ন উপকারিতার কথা বলা আছে। তবে আমাশয় দূর করতে থানকুনি পাতা অনেক কার্যকরী। যারা অনেকদিন ধরে আমাশায় সমস্যা নিয়ে ভুগছেন এবং এলোপ্যাথিক ওষুধ খেয়েও তেমন কাজ হচ্ছে না? তাদের ক্ষেত্রে থানকুনি পাতার রস খুবই উপকার।

আমাশয় থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৪ থেকে ৫ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খান। বা আপনি চাইলে থানকুনি পাতার রস করেও নিয়মিত প্রতিদিন সকালে খেতে পারবে।


পেয়ারা পাতার রস খুবই এসিডিক হওয়ার কারণে প্রোটোজোয়া ধ্বংস করতে অনেক ভালো কাজ করে।
  • আপনি প্রথমে পরিষ্কার পানিতে পেয়ারার পাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিন
  • এবং পেয়ারা পাতাগুলো শুকিয়ে নিন
  • পেয়ার পাতা শুকিয়ে গেলে এবার ব্লেন্ডারের বা যে কোন যন্ত্রের মাধ্যমে গুড়ো করে নিন
  • এবার এক গ্লাস পানিতে এক চামচ সেগুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন
  • এবার সে মিশ্রণ পানি ২ দুই থেকে ৩ বার সেবন করুন
  • এ নিয়মে যদি আপনি পেয়ারা পাতা সেবন করেন তাহলে ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফলাফল পাবেন
৮। আপেল সিডার ভিনেগার

আমার সাথে দূর করতে আপেল সিডার ভিনেগার অনেক উল্লেখযোগ্য। আপেল সিডার ভিনেগার সেবন করলে পৌষ্টিক নালীতে পরজীবী প্রোটোজোয়ার বসবাসের পরিবেশ অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। ফলে প্রোটোজোয়া দূর হয়।

এছাড়াও আপেল সিডার ভিনেগার পর্যাপ্ত পরিমাণে Vitamins ও Minerals থাকে যার কারণে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নতি ঘটে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে তার মধ্য সামান্য পরিমাণে মধু মিশিয়ে দিনে দুই বার সেবন করুন।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় গ্রাহক আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমাশয় রোগের সকল ধরনের চিকিৎসা এবং লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আজকের এই আর্টিকেল থেকে যদি কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আর্টিকেল পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করে রাখবেন।

আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না। আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url