সঠিক পদ্ধতিতে আঙ্গুর চাষ করুন - টবে আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি
প্রিয় গ্রাহক আজকের এই আর্টিকেল থেকে কিভাবে সঠিক প্রন্থা অবলম্বন করে আঙ্গুর চাষ করবেন এবং আঙ্গুরের বীজ থেকে চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে আঙ্গুর গাছে পরিচর্যা করবেন এ সকল বিষয়ে সকল বিষয়ে এখানে ধাপ ধাপে উল্লেখ করা রয়েছে। তাহলে আপনি এই আর্টিকেল থেকে সঠিক তথ্য জেনে সঠিক পদ্ধতিতে আঙ্গুর চাষ করুন
পোস্ট সূচীপত্রঃ আজকের এই আর্টিকেল থেকে বিশেষভাবে কিভাবে আঙ্গুর বীজ থেকে চারা রোপন করবেন, আঙ্গুর গাছের পরিচর্যা কিভাবে করবেন, এবং টবে কিভাবে আঙ্গুল চাষ করবেন
সঠিক পদ্ধতিতে আঙ্গুর চাষ করুন
ভূমিকাঃ একটি ভাল আঙ্গুর ফসল পেতে, সঠিক উপায়ে আঙ্গুর জন্মাতে হবে। মাটি, জলবায়ু এবং আঙ্গুরের ধরন আঙ্গুর চাষ করার সময় বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাটি অবশ্যই সুনিষ্কাশিত এবং পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হতে হবে।
জলবায়ু রৌদ্রোজ্জ্বল হওয়া উচিত এবং খুব গরম বা খুব ঠান্ডা নয়। আঙুরের ধরনও নির্ধারণ করবে কীভাবে আঙুর চাষ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, টেবিল আঙ্গুর সাধারণত বড়, খোলা মাঠে জন্মে, যখন ওয়াইন আঙ্গুরগুলি ছোট, শক্তভাবে ফাঁকা সারিতে জন্মায়।
আরো পড়ুনঃ সঠিক পদ্ধতিতে স্ট্রবেরি চাষ করুন
একটি ভাল আঙ্গুরের ফসল নিশ্চিত করার জন্য, চাষীদের অবশ্যই মাটি, জলবায়ু এবং তারা যে আঙ্গুর চাষ করছে তার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এটি করার মাধ্যমে, তারা আঙ্গুরের উন্নতির জন্য আদর্শ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে সঠিক উপায়ে এবং সঠিক পদ্ধতিতে আঙ্গুর চাষ করবেন-
আঙ্গুর বীজ থেকে চারা উৎপাদন পদ্ধতি
প্রিয় গ্রাহক কিভাবে আপনি সঠিক উপায়ে আঙ্গুরের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে পারবেন এই আর্টিকেলে বিস্তারিত দেওয়া রয়েছে।
অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন তাহলে আপনি আঙ্গুর বীজ থেকে চারা উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং একই নিয়মে চারা উৎপাদন করতে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক-
- প্রথমে আঙ্গুর বীজ থেকে চারা উৎপাদন করার জন্য আপনি কয়েকটি আঙ্গুর বেছে নিন। এবং মনে রাখবেন আঙ্গুরটি বীজ পাকা হতে হবে। আঙ্গুরের বীজ যদি বাদামি বা কালো কালার হয়ে থাকে তাহলে সে বীজ চারা রোপণ করার জন্য প্রস্তুত।
- এবার আঙ্গুর গুলো মধ্য দিয়ে কেটে ব্রিজ গুলো বের করে নিন
- এবং বীজগুলো রোদ্রে প্রায় আট ঘন্টার মত শুকিয়ে নিন
- এবার কোকোপিট এবং ভার্মিকম্পোস্ট উপাদান দিয়ে তৈরি করা মাটিগুলো একটি টবে ভালোভাবে ভরাট করে নিন। টবটি ছয় ইঞ্চির টব নিতে পারেন বা তারও বেশি নিতে পারেন
- এবং আপনি প্রতিটা বীজের মাথার অংশটুকু ভেঙ্গে ফেলুন। অবশ্যই বৃষ্টি পরিপক্ক হতে হবে। আর মাথার অংশটা ভেঙে দিলে খুব দ্রুত বীজটি জারমিনেশন হবে। ভালোভাবে দেখলে মাথার উপর একটি বিন্দু আছে সেই বিন্দুটুকু ভেঙে দিতে হবে।
- এবার সেই বীজ তৈরি করা মাটিতে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন। এবং বীজ মাটির বেশি গভীরে রোপন করবেন না হাতের আঙ্গুলের এক ইঞ্চি মাটির মধ্যে রোপন করবেন।
- বীজটি রোপন করার পরে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিন
- এবার বীজ রোপণ করার পাত্রটি রৌদ্রে রেখে দিবেন যেখানে সরাসরি ২ থেকে ৩ ঘন্টা রোদ পরে এবং বাদবাকি সময় ছায়া থাকে এবং সূর্য আলো টা পৌঁছায় এমন স্থানে রেখে দেবেন
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফল গাছের চারা তৈরি
এভাবে আপনি খুব সহজে বীজ রোপন করতে পারবেন। এই প্রান্ত অবলম্বন করে খুব সহজে আপনি ছাড়া রোপন করতে পারবেন।
- এবার চলুন বীজ রোপন করার ১৫ দিন পর ফিরে আসা যাক- ১৫ দিন পর ফিরে আসার পর আপনি দেখতে পারবেন বীজটি জার্মিনেশন হয়ে গেছে। এবং এইটা একটি চারায় রূপান্তরিত হয়ে গেছে।
- এ সময় এক্সট্রা কোন পরিচর্যা করার দরকার নেই। শুধুমাত্র প্রয়োজন মত পানি প্রয়োগ করবেন। আবার বেশি পানি প্রয়োগ করার ফলে পচে যেতে পারে, এজন্য অল্প অল্প করে পানি ব্যবহার করবেন যেন মাটি ভিজে থাকে।
- এবার চলুন চারা রূপান্তরিত হওয়ার 1 মাস পর ফিরে আসা যাক- যারা রূপান্তরিত হওয়ার এক মাস পরে অবস্থা আপনার সামনে ফলাফল দেখতে পাচ্ছেন, চারাটি অনেকটাই বড় হয়ে গেছে। এবং এই গাছটি এখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকবে। এখন এই সময় আপনি সামান্য পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে পারেন।
- আমাদের সমান রেশিও যে এনপিকে সার আছে যেমন- ১৯,১৫ এন পি কে সার ব্যবহার করা যেতে পারে। এবং এটির প্রয়োগ মাত্রা ২ থেকে ৩ ডানা বেশি দেওয়া যাবে না। এবং ধীরে ধীরে গাছটি বড় হতে থাকলে সার এর পরিমাণ সংখ্যা বাড়াতে হবে। এবং একটি সাপোর্ট দিয়ে দেবেন যেন আঙ্গুর গাছটি দ্রুত সে সাপোর্ট দিয়ে উপরে উঠতে পারে।
প্রিয় গ্রাহক আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনি খুব স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আঙ্গুর বীজ থেকে চারা রোপণ করবেন। তারপরও যদি আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
আঙ্গুর গাছের কাটিং
আজকের এই বিষয় থেকে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে সঠিক উপায়ে আঙ্গুর গাছের কাটিং বা প্রুনিং করবেন এবং এই শীতকাল হচ্ছে আঙুর গাছের প্রুনিং বা কাটিং এর জন্য আদর্শ সময়।
আপনার কিভাবে আঙ্গুর গাছের কাটিং করলে আপনি আঙ্গুর গাছের প্রচুর পরিমাণে ফলন পাবেন সেই সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য এখন আপনার সাথে শেয়ার করব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
আঙ্গুর গাছের কাটিং করার সঠিক সময়- আঙ্গুর গাছের প্রুনিং বা কাটিং করার সঠিক এবং আদর্শ সময় হলো শীতকাল। আপনি শুধুমাত্র শীতকালে আঙ্গুর গাছের কাটিং করবেন। এ ছাড়া অন্য কোন সময় কিন্তু কাটিং করবেন না।
আপনার এই আঙ্গুর কাছে শীতের সময় ধীরে ধীরে পাতা ঝরে পড়ে যাবে। এবং তারপরে কিন্তু আপনি আঙ্গুর গাছের কাটিং করবেন। আঙ্গুর গাছের কিভাবে কাটিং করবেন আদর্শ কাটিং করার উপরে হবে আপনার আঙ্গুর গাছের ফলন।
কিভাবে আঙ্গুর গাছের প্রুনিং বা কাটিং করবেনঃ
- প্রথমে আপনার একটি কাটিং মেশিন লাগবে
- এবার আঙ্গুর গাছের মেন ডাল মানে মোটা ডালটা রেখে তার সাইট দিয়ে যে ডালপালা বের হয়েছে ডালটা ধরুন
- এবার সেই ডালের দুইটা চোখ রেখে উপরে চোখের মাঝে মাঝে কেটে ফেলুন
- এবার আপনার কাজ কমপ্লিট এভাবে খুব সহজেই আঙ্গুর গাছের কাটিং করতে পারবেন
আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আঙ্গুর কাছে কাটিং করবেন এবং খুব সহজে। এই প্রন্থা অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে ভালো ফলাফল পাবেন। এবং অবশ্যই স্টেপ বাই স্টেপ পড়েই কাজ করবেন তাছাড়া আপনার আঙ্গুর ফল গাছ উন্নত হবে না। যদি কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না।
আঙ্গুর গাছের পরিচর্যা
আঙ্গুর গাছের সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে আঙ্গুরের ফলন অনেক বেশি হবে। তাই চলুন জেনে নিন কিভাবে আঙ্গুর গাছের পরিচর্যা করবেন এবং আঙ্গুর গাছের ফুল আসার পরে এবং গুটি আসার পরে কিভাবে সঠিকভাবে পরিচর্যা করবেন তার সম্পর্কে নিচে দেয়া হল-
আরো পড়ুনঃ শীতকালে কোন সবজি চাষ করা ভালো
১। প্রথমে আপনার জেনে নেয়া দরকার, আঙ্গুর চাষ ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খুব ভালো হয়। এবং যখন নতুন ডালপাড়া বের হতে দেখবেন সেসব ডাল পালায় আঙ্গুর আসে। এ সময় আঙ্গুর কাছে পাতা খাওয়ার এক রকমের পোকার আগমন হয়। এ সময় আপনি কি করবেন চলুন জেনে নিন-
- এ সময় আপনাকে বিভিন্ন কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। যার ফলে আপনার আঙ্গুল গাছে পাতা খাওয়া বা আঙ্গুরের যে দাগ পরে সেটা কিন্তু আর হবে না।
২। অনেক সময় দেখবেন যে ফল ধরার পরে ফল কিন্তু পড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে আপনি কিভাবে রক্ষা পাবেন চলুন জেনে নেন-
- অনেক মানুষের দেখবেন যে আঙ্গুর গাছে এই সকল সমস্যা হয়ে থাকে। আঙ্গুর ফল ধরার পরে কিন্তু গুটি ঝরতে থাকে। এই সমস্যা দূর করতে আপনি যে কাজ করবেন- ফুল ফোটার আগে প্রতি লিটার পানিতে ৫ ফোটা প্লেনোফিক্স একটা হরমোন জাতীয় ওষুধ, আপনি যদি এই ওষুধটি পানিতে গুলে স্প্রে করেন তাহলে এ সকল সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে।
- আপনি আরেকটি কথায় খেয়াল রাখবেন যে আঙ্গুর গাছে গুটি আসার পরে, আপনি কি ব্যবহার করবেন সেটি হল মিরাকুলান। এই ওষুধটি গুটিয়ে আসার পরে ব্যবহার করবেন। এই মিরাকুলান ব্যবহার করার ফলে আপনার আঙ্গুর কাছে ফলের সাইজটা দেখতে ভালো হবে এবং মোটা হবে। এজন্য আপনি মিরাকুলান টা ব্যবহার করবেন গুটি আসার পর।
৩। যতদিন যাবে গরম বাড়তে থাকবে যদি এ সময় বৃষ্টি হয় তাহলে দেখবেন আপনার আঙ্গুর গাছের পাতায় সাদা রঙের মাসি আক্রমণ করবে। এর ফলে আঙ্গুর গাছের পাতা কিন্তু শুকিয়ে যাবে। তাহলে আপনি এই ধরনের রোগ কিভাবে ঠিক করবেন চলুন জেনে নিন-
- কপার অক্সিফ্লোরাইড ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে গুলিয়ে যদি এই সময় আঙ্গুর গাছের পাতাই স্প্রে করেন তাহলে কিন্তু পাতা খাওয়া রোগ বা এ সময় যে রোগগুলো হয়ে থাকে সেই রোগ গুলো হবে না। এবং আপনাকে প্রতি ১৫ দিন পর পর এই ধরনের স্প্রে করতে হবে তাহলে এ সকল রোগ রোগ হবে না।
৪। আঙ্গুর গাছে ভালো ফলন পেতে গেলে কিন্তু আপনাকে প্রত্যেক গাছে সঠিকভাবে ডাল ছাটাই করতে হবে। এবং কিভাবে ডাল ছাটাই করবেন তা সম্পর্কে উপরে বিস্তারে দেওয়া রয়েছে। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই উপরে গিয়ে আঙ্গুর গাছের কাটিং সম্পর্কে জেনে নিবেন। আর যদি বুঝতে সমস্যা হয় অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
৫। আঙ্গুর কাছে যখন ফুল থেকে গুটি আসবে সেই সময় আপনি কি করবেন জেনে নিন-
- গোবর সারের সঙ্গে সাধারণ মাঠে মিশিয়ে আপনি কিন্তু গাছের গোড়া করে মাটি অবশ্যই দিবেন। এতে আপনার আঙ্গুল ফলের গাছ ভালো কাজ করবে। এছাড়া যদি পারেন তাহলে খোল পচার পানি , দেড়শ গ্রাম খোল ১০ লিটার জলের সঙ্গে সাত দিন পচানোর পর গাছে দিলে কিন্তু খুব উপকার হবে। অবশ্যই এভাবে আপনি গাছের পরিচর্যা নিবেন।
৬। আর আঙ্গুলের মিষ্টি বাড়াতে যে উপায় অবলম্বন করবেন সেটি হল-
- আঙ্গুরের মিষ্টি বাড়াতে আপনি পটাশ ব্যবহার করতে পারেন। যদি বড় হয় তাহলে দুই চামচ পটাশ দিয়ে ১০ সেন্টিমিটার দূর দিয়ে পটাশ দিয়ে দিবেন। এতে কিন্তু খুব ভালো কাজ হয়।
৭। আর একটা সমস্যা হল, যে পোঁকা মারাত্মকভাবে গাছের ক্ষতি করে সেই পোঁকার নাম হল লেদা পোকা। এই লেদা পোঁকা থেকে বাঁচতে কি করবেন জেনে নিন-
- লেদা পোকার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য 5ml নিম অয়েল প্রতি লিটার পানিতে গুলি স্প্রে করতে হবে। এবং এই স্প্রেটি প্রতি সপ্তাহে করতে হবে তাহলে লাদাপকে আক্রমণ থেকে আপনার আঙ্গুরের গাছ রক্ষা পাবে।
আর অবশ্যই মনে রাখবেন আঙ্গুর গাছ সূর্যের আলো অনেক পছন্দ করে। এর জন্য দিনে যেখানে সাত থেকে আট ঘণ্টা মতো সূর্যের আলো পাবে কেমন জায়গায় গাছটি রাখবেন। তাহলে আপনার আঙ্গুর গাছের ফলন এবং ডালপালা প্রচুর বের হবে।
এ সকল তথ্য থেকে আপনি খুব ভালো করে জানতে পেরেছেন, যে কিভাবে আপনি আঙ্গুর ফল আসার আগে এবং পরে সঠিক উপায় পরিচর্যা করবেন। এবং এই পরিচর্যা আপনার উচ্চ ফলনশীল আঙ্গুর পাবেন। অবশ্যই কোন কিছু বুঝতে না পারলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
টবে আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি
আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার ঘরের সাদে একটি সুন্দর আঙ্গুর ফলের বাগান তৈরি করতে পারেন। এবং এটি হবে অনেক সুস্বাদু পুষ্টিগুণে ভরপুর। চলুন আজকের এই বিষয় থেকে আপনি কিভাবে টবে আঙ্গুর ফল চাষ করবেন তার সম্পর্কে জানুন এবং আপনার ঘরের ছাদের চাষ করুন।
মাটি তৈরিঃ প্রথমে আপনাকে অবশ্যই খুব ভালোভাবে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। কারণ এই মাটি ভালো তৈরি না করলে আঙ্গুরের গাছ সঠিক পরিমাণে উপাদান পাবে না যার ফলে গাছ মারা যেতে পারে। চলুন কিভাবে মাটি তৈরি করবেন জেনে নিন-
আরো পড়ুনঃ টবে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি
- ৪০% বাগানের মাটি
- ৪০% জৈব/কম্পোস্ট সার
- ১০% কোকোপি
- ১০% বালি/ইটের গুড়া
- এই অনুপাতে মাটি গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন
এখন প্রতি এক বস্তা মিশ্রিত মাটির সাথে-
- ২৫০ গ্রাম হারের গুড়া
- ১০ গ্রাম ফুরাডান কীটনাশক
- ১০ গ্রাম ছত্রাকনাশ
এগুলো মাটির সাথে মিশিয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ রেখে দিতে হবে, তাহলে আপনার মাটিতে চারা রোপন করার জন্য তৈরি হয়ে গেছে।
আপনি কেমন ধরনের টপ ব্যবহার করবেন-
প্রথমে আপনাকে আঙ্গুরের জন্য একটি টব নির্বাচন করতে হবে। এই টব হবে ১০ সেন্টিমিটার বা তারও বেশি। আপনি চাইলে ছোট টব ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু বড় টবে ব্যবহার করলে আপনার আঙ্গুর ফলের গাছটি খুব ভালো বৃদ্ধি পাবে।
- প্রথমে আপনার টপ নির্বাচন করা হয়ে গেলে টবের পেছনে একটি ছিদ্র করুন। কারণ যেহেতু আপনি টবে পানি দেবেন। পানি বের হওয়ার জন্য একটি জায়গা তৈরি করে নিতে হবে। পানি বের না হলে চারা পচে যাবে।
- ছিদ্র করা হয়ে গেলে এবার ছেলের উপরে একটি পাতলা কিছু দিয়ে দিন
- এবার প্রস্তুত করা মাটি টবের মধ্যে ভালোভাবে দিন
খুব সহজেই আঙ্গুর ফলের চারা লাগানোর একটি টপ তৈরি হয়ে গেল। এবার নিচের স্টেপ ফলো করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ টবে শীতকালীন সবজি চাষ
আঙ্গুরের চারা রোপন -
- প্রথমে আপনাকে কোন এক নার্সারি থেকে ভালো মানের চারা বাছাই করে আনতে হবে
- ভালো মানের চারা বাছাই করে আনা হয়ে গেলে এবার চারার প্যাকেটটি খুলুন এবং ভুলেও যেন মাটি খসে না পড়ে যায়
- এবার আপনি টবের মাটির মধ্যে ৪ ইঞ্চি গর্ত করুন
- এবার চারাটি সুন্দরভাবে গর্তের মধ্যেই রাখুন
- চারাটি রাখার পরে চারার ঘোড়ার দিকে মাটি গুলো ভালোভাবে দিয়ে দিন
- এবার পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিন
- মনে রাখতে হবে চারাটি সূর্যের আলোতে রাখতে হবে
এভাবে আপনি খুব সহজেই সুস্বাদু আঙ্গুর ফলের গাছ তৈরি করতে পারবেন। এবং আঙ্গুর ফল গাছ কিভাবে কাটিং করবেন এবং আপনি যদি চান চারা কিভাবে রোপন করবেন সকল তথ্যই উপরে দেওয়া রয়েছে যদি না পড়ে থাকেন অবশ্যই পড়ে নেবেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় গ্রাহক আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমি আপনাদের সঠিক পদ্ধতিতে আঙ্গুর চাষ কিভাবে করবেন এবং আঙ্গুরফুরের বিষ থেকে শুরু করে পরিচর্যা পর্যন্ত বলেছে। এবং এই ধাপে ধাপে যদি আঙ্গুর ফল চাষ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই উচ্চ ফলনশীল একটি আঙ্গুর ফল পাবেন।
আর যদি আপনি কোন বিষয় বুঝতে না পেরে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আর যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আর আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন যেন যেকোনো সময় আর্টিকেল পাবলিশ করার সাথে সাথে আপনার কাছে নোটিফিকেশন যাই। আমাদের সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url