রেবিস ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় - রেবিস ভাইরাসের চিকিৎসা

রেবিস ভাইরাস বা গলাতঙ্ক রোগ একটি মরণঘাতী রোগ। আপনি কি জানেন রেবিস ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় এবং রেবিস ভাইরাসের চিকিৎসা কি? কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। এই আর্টিকেল থেকে রেবিস ভাইরাসের লক্ষণ জেনে অবশ্যই আপনি সতর্ক অবলম্বন করতে পারবেন। এছাড়াও জেনে নিন কুকুরের কামড়ে কতদিন পর রেবিস ভাইরাস ছড়ায়।
রেবিস ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় - রেবিস ভাইরাসের চিকিৎসা
পোস্ট সূচিপত্রঃ বর্ষাকালের শেষ মৌসুমে বিশেষ করে আগস্ট থেকে অক্টোবর কুকুরের প্রজনন কাল। এ সময় কুকুরের আচরণ অন্যান্য সময়ের ক্ষেত্রে এ সময় অনেকাংশই ভিন্ন হয়। যার কারনে এ সময় কুকুর বেশিরভাগ মানুষকে কামড়ায়। আপনার যদি না জেনে থাকে যে রেবিস ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় এছাড়াও কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় এ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।

রেবিস ভাইরাস

রেবিস ভাইরাস হল RNA Virus যা লিসা ভাইরাস গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। যার কারণে রেবিস বা জলাতঙ্ক রোগ হয়। রেবিস বা জলাতঙ্ক রোগটি হলো একটি zoonotic রোগ অর্থাৎ এই রোগটি প্রাণীদের মধ্য থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়।

রোগ তত্ত্ব ও গবেষণার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের তথ্য মতে, প্রতিদিন গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ মানুষ কুকুরে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এজন্য রেবিস বা জলাতাঙ্ক রোগ নিয়ে আমাদের মধ্যে আতঙ্ক শেষ নেই।
জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক ভাইরাস। যা শতাব্দী থেকে শতাধিক পর্যন্ত মানুষের মনে একটি ভয় লেগে আছে। এই রোগের ভয়াবহতা লক্ষণগুলো এবং মৃত্যুর হাড়ের জন্য এটি পরিচিত। জলাতঙ্ক বা রেবিস ভাইরাস এটি একটি জুনোটিক রোগ যা মানুষের সহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের প্রভাবিত করে।

আর এই রেবিস ভাইরাস বা জলাতঙ্ক রোগ ১৯ শতকের শেষের দিকে বিজ্ঞানীরা যুগান্তকারী অগ্রগতি করেছিলেন এবং অবশেষে জলাতঙ্ক ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করেছিলেন।

রেবিস ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়

রেবিস ভাইরাসে একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত। জেনে নিন রেবিস ভাইরাস মানুষ কিভাবে আক্রান্ত হয় এবং কিভাবে ছড়ায়।
রেবিস ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়
মূলত আক্রান্ত কারীর রেবিস Salivary Gland মিশ্রিত রস ও স্নায়ুতে এই ভাইরাস অবস্থান নেই। পরবর্তীতে যেকোনো ভাবে ভাইরাস সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করলে ভাইরাসটি আক্রান্ত স্থানের Nervous Syatem প্রবেশ করে এবং প্রতিদিন ১২ থেকে ২৪ মিলিমিটার করে ব্রেন এবং স্পাইনাল কর্ডের দিকে আগাতে থাকে। রেবিস ভাইরাস একবার ব্রেন টিস্যুতে প্রবেশ করলে মৃত্যু নির্ধারিত।
  • কিসের মাধ্যমে রেবিস ছড়ায়ঃ শতকরা ৯৩% কুকুরের কামড়ে এবং বাকি ৭% বেড়াল, শেয়াল, বানর, বাদুর ইত্যাদি মাধ্যমে ছড়ায়। তবে এখানে কি কথা জেনে রাখা প্রয়োজন সে সুস্থ ও কুকুর বা কোন প্রাণী কামড়ালে রেবিস ভাইরাস হয় না। রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুর বা পাগলা কুকুর কামড়ালে বা ক্ষতস্থানে চেটে দিলে রেবিস ভাইরাস হয়।
  • আক্রান্ত কুকুর কিভাবে চিনবেনঃ কুকুরের মুখে অতিরিক্ত লালা ঝরবে এবং কুকুরটি নিস্তেজ বা আড়াল স্থান নিয়ে থাকতে চাইবে। এছাড়াও যদি নিশ্চিত ভাবে বুঝতে না পারেন তাহলে যদি কুকুরটি ১০ দিনের মধ্য মারা না যায় তাহলে বিবেচনা করা হয় কুকুরটি রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। যদি কুকুরটিকে কেউ মেরে ফেলে তাহলে অবশ্যই তাকে ভ্যাকসিন নিতে হবে।

রেবিস ভাইরাসের লক্ষণ

কুকুরের কামড়ানো দশ দিন পরে সাধারণত জলাতঙ্ক প্রথম লক্ষণগুলো দেখা যায়। এর জন্য অবশ্যই যেকোন ভাবে লক্ষণ প্রকাশের শুরুতেই চিকিৎসা নিতে হবে। লক্ষণ নির্ধারণ করে কুকুরের কামড়ের ধরন ও স্থানের উপর।
রেবিস ভাইরাসের লক্ষণ
সাধারণত ২০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ৮১% প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। এবং জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত রোগী কুকুরের কামড় এর দিন হতে ৫৯ দিনের মধ্যে ৭০% রোগী মারা যায়।
প্রথমত দুই থেকে ১০ দিনে সাধারণত
  • জ্বর
  • মাথা ব্যথা
  • বমি ভাব
  • অবসাদ
  • এছাড়াও রোগী আলো দেখলে ভয় পায়
  • এরপরে দেখা যায় মারাত্মক লক্ষণ তার নাম হলো জলাতাঙ্ক রোগ। কারণ রোগী পানি দেখলে ভয় পাবে অর্থাৎ রোগীর গলার মাংসপেশির সংকোচনের কারণে পানি খেতে পারে না।

রেবিস ভাইরাসের চিকিৎসা

রেবিস ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে গেলে এর কোন চিকিৎসা আর নেই। তবে কুকুর কামড়ের সাথে সাথে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে জলাতাঙ্ক রোগীকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়।
রেবিস ভাইরাসের চিকিৎসা
  • ক্যাটেগরি ১ঃ অনেকে বলে থেকে কুকুরে পাড়া দিয়েছে, চেটেছে, লেজের বাড়ি লেগেছে, অথবা নখের খোঁচা লেগে রক্ত পরে না বা জ্বালা করে না। এ সমস্ত লক্ষণগুলো ক্যাটেগরি ১ এর অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কোন অ্যান্টিসেপটি দিয়ে পরিষ্কার করুন অথবা সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • ক্যাটাগোরি ২ঃ যদি পশুর আঁচড়ে দাগ দেখা যায় এবং রক্তপাত না হয় তাহলে এটি ক্যাটাগরি দুই অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থান ক্ষার যুক্ত সাবান দিয়ে কমপক্ষে ১৫ মিনিট ধরে ধুতে হবে। কারণ সাবানের ক্ষার ভাইরাসকে ধ্বংস করে। এর পরে আপনাকে রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হবে। ভ্যাকসিনের নিয়ম নিচে দেওয়া রয়েছে ওখান থেকে পড়ে নিন।
  • ক্যাটাগরি ৩ঃ কামড়ের যদি দাগ বসে যায় এবং রক্ত বের হয় এমনকি মাংস নিয়ে যায় এটি ক্যাটাগরির তিন এর মধ্যে পড়ে। এবং ক্যাটাগরির ২ এর যদি মাথা, গলা, বুক, কাঁদে হয় তবে সেটিও কিন্তু ক্যাটাগরির দিনের মধ্যে পড়ে। ক্যাটেগরি ৩ হলে প্রথমে আক্রান্ত স্থান ক্ষার যুক্ত সাবান দ্বারা ১৫ মিনিট ভালোভাবে ধুতে হবে। এবং পূর্বের রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হবে এবং তার সাথে রেবিস Immunoglobiulin ও দিতে হবে। নিম্নলিখিত রেবিস ভ্যাকসিনের নিয়ম দেওয়া রয়েছে

রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম

আমরা সকলের জানি কুকুরে কামড়ালে রেবিস বা জলাতাঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। এজন্য জলাতাঙ্ক রোগ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই সঠিক সময় ভ্যাকসিন যেতে হবে। নিম্নলিখিত রেবিস ভাইরাসের ভ্যাকসিনের নিয়ম দেওয়া রয়েছে।
রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম
রেবিস ভাইরাসের দ্বিতীয় ক্যাটাগরি ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়মঃ একটি রোগের ভ্যাকসিন দিতে হবে পাঁচটি কিন্তু অবশ্যই হাতের মাংস পেশীতে দিতে হবে এবং দুই বছরে কম শিশুদের ক্ষেত্রে পায়ের উরুতে দিতে হবে। কোনভাবে বাটোকে দেওয়া যাবে না।

ডোজঃ মাংসপেশির ক্ষেত্রে পাঁচটি ডোজ দিতে হবে যেমন- শূন ০,৩, ৭, ১৪ ও ২৮ তম দিনে। বর্তমান সময়ের চারটি ডোজ দেওয়া হয় যেমন- ০, ৩, ৭ ও ২৮ দিনে। এটি অবশ্য চামড়ার নিচে দিতে হয়।
রেবিস ভাইরাসের তৃতীয় ক্যাটাগরির ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়মঃ কার যুক্ত সাবান দিয়ে ১৫ মিনিট ধরতে হবে এবং করবেন নাই রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হবে। এবং র‍্যাপিস ভ্যাকসিন এর সাথে রেবিস Immunoglobiulin ও দিতে হবে। আর ক্ষত শুকানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হবে। প্রয়োজনে রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

সতর্কতাঃ অবশ্যই এর ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু সতর্ক অবলম্বন করতে হবে। কারণ আপনি যদি সতর্ক অবলম্বন না করে বিভিন্ন চিকিৎসা করতে চান তাহলে আপনার সে চিকিৎসা জীবন নিয়ে নিতে পারে। কিছু সতর্কবার্তা রয়েছে সেগুলো অবশ্যই মেনে চলবেন-

ক্ষতস্থানে কোনভাবে সেলাই দেওয়া যাবে না- কারোন ক্ষতস্থানে ধনুষ্টংকারের জীবাণু থাকতে পারে। আর ক্ষতস্থানে বাতাস পেলে ধনুষ্টংকার ভাড়াটিটি নাসের এর জীবাণু মারা যায়। শুধুমাত্র অতিরিক্ত রক্তপাত হলে ক্ষতস্থান রক্তপাত বন্ধ ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • ক্ষতস্থানে কোন ভাবে এন্টিবায়োটিক বা মলম ব্যবহার করা যাবে না
  • এছাড়াও কোন কবিরাজ বা ঝাড়ফোক আলাদের থেকে চিকিৎসা নেওয়া যাবে না।
  • রেবিস ভাইরাস মানুষের অবশিষ্ট খাবার খাওয়া যাবেনা

রেবিস ভ্যাকসিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

যেকোনো চিকিৎসার মত রেবিস ভ্যাকসিনও কিছু ব্যক্তির মধ্যে নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আপনি যদি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন বা আপনার পোষা প্রাণীদের জন্য এটি বিবেচনা করেছেন।

তাহলে আপনাকে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত এবং কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা বোঝার জন্য এটি অপরিহার্য। এখানে রেবিস ভ্যাকসিন দশটি প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা সম্পর্কে আপনার জানা উচিত।
  • ইনজেকশন সাইটে ব্যথাঃ জলাতঙ্ক ভ্যাকসিনের সাধারণ প্রতিক্রিয়া হলো এটি ইঞ্জেকশন সাইটে হালকা ব্যথা হয়। এ ব্যাথা সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যেও কমে যায় এবং প্রয়োজনে ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথা উপশমকারী দিয়ে উপশম করা যেতে পারে।
  • লালভাব এবং ফোলাঃ জলাতঙ্ক ভ্যাকসিনের ফলে ইনজেকশনের স্থানে লালভাব এবং ফোলা অনুভব করতে পারেন। এই লক্ষণগুলি সাধারণত স্ব-সীমিত এবং আরও হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাধান হয়।
  • চুলকানি বা ত্বকের জ্বালাঃ জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে ইনজেকশনের চারপাশে চুলকানি বা জলাভাব অনুভব করতে পারেন। তবে এটি বিরক্ত কর হতে পারে এবং এটি সাধারণত নির্দিষ্ট চিকিৎসা ছাড়াই সমাধান করে।
  • জ্বরঃ জলাতঙ্ক ভ্যাকসিনের দেওয়ার ফলে কোন ব্যক্তির নিম্নগ্রেডের জ্বর হতে পারে। এই জ্বর স্বল্প স্থায়ী হয় এবং প্রয়োজনে বিশ্রাম, হাইড্রেশন এবং ওভার-দ্য-কাউন্টার জ্বর কমানোর সাহায্যে পরিচালনা করা যেতে পারে।
  • ক্লান্তি এবং হালকা শরীর ব্যথাঃ জলাতঙ্ক ভ্যাকসিনের ফলে শরীরে ক্লান্ত বোধ বা হালকা অনুভব করা, যা সাধারনত সর্দি বা ফ্লুর সাথে সম্পর্কিত, এবং জলাতঙ্কের টিকা দেওয়ার ফলে অল্প সময়ে সকল সমস্যা হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব বা পেট খারাপঃ জলাতঙ্ক ভ্যাকসিনের ফলে কিছু কিছু ব্যক্তির বহুবামী ভাব অনুভব করতে পারে বা পেট খারাপ হতে পারে। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে, অস্বস্তি কম না হওয়া পর্যন্ত হাইড্রেটেড থাকার এবং ভারী বা মশলাদার খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়
  • মাথাব্যথাঃ জলাতঙ্ক ভ্যাকসিনের ফলে কিছু ব্যক্তির মাথাব্যথা হতে পারে কিন্তু এটি কিছু সংখ্যক লোকের ক্ষেত্রে হতে পারে। ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথা উপশমকারী, বিশ্রাম, এবং শিথিলকরণ কৌশলগুলি স্বস্তি প্রদান করতে পারে।
  • এলার্জি প্রতিক্রিয়াঃ জলাতঙ্ক ভ্যাকসিনের ফলে কিছুসংখ্যক লোকের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। এছাড়াও ফুসকুড়ি, শ্বাস নিতে অসুবিধা বা মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা বা গলা ফুলে যাওয়ার মত লক্ষণ গুলি দেখা দিতে পারে এবং এটি সন্ধান করুন। এ সকল সমস্যা যেকোনো একটি দেখা গেলে চিকিৎসা সহায়তা নিন।
  • স্নায়বিক প্রতিক্রিয়াঃ জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন দেওয়ার কারণে মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি বা বেশি দুর্বলতার মত স্নায়বিক বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার অনুভব করতে পারেন। তবে এই সকল উপসর্গের মধ্যে যেকোনো একটি দেখা দিলে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • গুইলেন-বারে সিনড্রোমঃ জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে গুইলেন-বারে সিন্ড্রোমের বিরল রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এই সিন্ড্রোম একটি গুরুতর স্নায়বিক ব্যাধি যা সন্দেহ হলে অবিলম্বে চিকিৎসা মূল্যায়ন প্রয়োজন।

বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ

কুকুরের মত বিড়ালের ও জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। জলাতঙ্ক রোগ একটি প্রাণঘাতী রোগ। এই রোগের ভাইরাস ইঁদুর, শেয়াল, রেকুন ও বাদুর বহন করে থাকে। এই প্রাণীগুলোর আসরে বা কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ বিড়ালের ছড়ায়। 

আবার যদি জলাতঙ্ক বিড়ালের আসর বা কামড়ে মানুষের এবং অন্যান্য প্রাণীর রোগ হতে পারে। এ ভাইরাসটির শরীরে প্রবেশ করার পরে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে।
বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ
জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণঃ
  • জ্বর আসা কিংবা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া
  • হঠাৎ আচরণে পরিবর্তন হওয়া বা অস্বাভাবিক পাগলের মত আচরণ করা
  • হঠাৎ হিংস্র হয়ে ওঠা বা কামোর বা আসর দিতে চাওয়া
  • অন্যরকম ভাবে দাকা
  • মুখ দিয়ে লালা ঝরা
  • ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া
  • ভয় পাওয়া এবং পানি পান করা বন্ধ করে দেওয়া
বিড়ালের ক্ষেত্রে দুই থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এবং আস্তে আস্তে এ সকল লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। আর এ সকল লক্ষণ দেখলে অবশ্যই বিড়ালকে পশু ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে হবে। এবং আপনার আচর বা কাম লাগলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে গিয়ে ভ্যাকসিন দিয়ে নেবেন।

এ রোগের আক্রান্ত বিড়াল বেঁচে থাকতে পারে না। এর জন্য এ সকল লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্য বিড়ালকে পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। বিড়ালকে প্রতিষেধক দেওয়ার মাধ্যমে এ রোগ থেকে বাঁচানো যায়।

লেখকের মন্তব্য

গলাতঙ্ক রোগ বা রেবিস ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই উপরে নিয়মাবলী গুলো ভালোভাবে পড়ে নেবেন। কারণ এটি একটি মরণঘাতী রোগ আর এই রোগটি সচরাচর কুকুরের মাধ্যমে বেশি ছড়ায়। এজন্য কুকুরকে ভ্যাকসিন দিয়ে নেবেন এবং আপনাকে যদি কামড় বাছুর দিয়ে রক্ত বের হয় অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভ্যাকসিন নিবেন।

প্রিয় গ্রাহক আশা করি আর্টিকেল থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন। যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে বা কোন কিছু বুঝতে না পারলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন যেন নতুন কোন আর্টিকেল পাবলিশ করলে আপনার কাছে নোটিফিকেশন যায়। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url