মিথ্যা ভালোবাসা চেনার উপায় - কিভাবে বুঝব মেয়েটি আমাকে ভালোবাসে না
প্রেম বা ভালবাসা আমরা যেটাই বলি না কেন প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন মিথ্যা ভালোবাসা চেনার উপায় কিভাবে আপনি চিনবেন মিথ্যা ভালোবাসা। আর আপনি আপনার মনের মানুষের কিভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ আচ্ছা বলতো ভালোবাসা আসলে কি? এদেশে প্রতিটি মানুষের ভালোবাসা আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা রয়েছে। আরে সকল ভালবাসার মধ্যেও কিভাবে বুঝব মেয়েটি আমাকে ভালোবাসে না। আজকের এই আর্টিকেলে বিশেষ করে জানতে পারবেন মেয়েদের সত্যিকারের ভালোবাসা চেনার উপায় এছাড়াও মেয়েদের ভালবাসার ইশারা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
মিথ্যা ভালোবাসা চেনার উপায়
আপনারা নিজের অজান্তে অনেক সময় মিথ্যা ভালোবাসার জালে ফেঁসে থাকেন। মাঝে মাঝে সামনের মানুষটার আচার - ব্যবহারে সন্দেহ হয় যে, সে আপনাকে হয়তো ভালোবাসেনা।
ভালোবাসার নামে নাটক করছে। কিন্তু তবুও আপনি নিশ্চিত হতে পারেন্না যে সত্যিই সে ভালোবাসে না। আর কিছুদিন পর যখন ছেড়ে চলে যায় তখন বুঝতে পারেন যে তার ভালোবাসা মিথ্যে ছিলো।আসল কথা বলতে, আমাদের জিবনে এমন কিছু মানুষ আসেই শুথুমাএ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য।
নিজের স্বার্থের জন্য ভালোবাসার নামে নাটক করে আর স্বার্থপূর্ণ হলেই ছেড়ে চলে যায়। তখন আমার শুথুই কষ্ট পায়, আর নিজেকে দোষারোপ করি যে এতদিন কেন বুঝতে পারলামনা তার ভালোবাসাটা মিথ্যে ছিলো।
চলুন তাহলে জেনে নিন মিথ্যা ভালোবাসা চেনার উপায়ঃ
- অসম্মান করাঃ তোমার পার্টনার সেটি ছেলে হোক বা মেয়ে, যদি তোমাদের কোন বন্ধুর সামনে বা আত্মীয় স্বজনের সামনে অপমান করে বা অসম্মান করে এছাড়াও কথায় কথায় যদি নিচু দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে বুঝে নিবে যে, সে তোমাকে ভালোবাসে না। কারণ যে তোমাকে সত্যিকারের ভালবাসবে সে কখনো তোমাকে কোথাও অসম্মান বা ছোট করবে না। এবং তার জীবনে তোমার জন্য মর্যাদা থাকবে অনেক উপরে।
- গুরুত্ব না দেওয়াঃ ছেলে বা মেয়ের ক্ষেত্রে যদি তোমার পার্টনার তোমাকে গুরুত্ব না দেয়, আর তোমার যদি এমনটি মনে হয় যে, সে তোমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছে না। তোমার কাছে বা পাশে থাকলে কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে যায় বা ভাব দেখায়, তাহলে ভেবে নিও যে, সে তোমাকে ভালোবাসে না। সে আপনার সাথে হয়তো টাইম পাস করছে বা বিশেষ কোনো স্বার্থের জন্য ঘুরছে। আর অবশ্যই যে সত্যিই ভালোবাসে সে তোমার প্রতিটা কথার গুরুত্ব দিবে। এবং অবশ্যই তোমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনবে।
- কথা দিয়ে কথা না রাখোঃ ছেলে হোক বা মেয়ে, ক্ষেত্রে যে তোমার পার্টনার তোমাকে কোন কথা দিয়ে সে কথা রাখতে পারেনি, অথচ তার মধ্যে কোন অনুশোচনা বোধ কাজ করছে না, তুমি যে কষ্ট পেয়েছ এটা বুঝেও সে তোমার কষ্ট পাওয়াতে খারাপ না লাগে বা সে তার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে তোমাকে বোঝানোর চেষ্টা না করে, তাহলে বুঝবেন যে, সে আপনার প্রতি ভালোবাসা আর নেই। আর যদি কেউ তোমাকে মন থেকে ভালোবাসে তাহলে তার কোন ভুলের জন্য তোমার খারাপ লাগলে তাহলে তার মধ্যে অনুশোচনা বোধ কাজ করবে। সে তার কোনো রকম অসুবিধার কারণে যদি কথা না রাখতে পারে তাহলে অবশ্যই সে অসুবিধার কথা তোমার সাথে শেয়ার করবে। এবং তোমার কাছে তার ভুলের জন্য মাফ চাবে।
- শরীরকে বেশি প্রাধান্য দেওয়াঃ এটা বেশিরভাগ মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে যে, তোমার ভালোবাসার মানুষটা তোমার মন নাকি শরীর? কোনটাকে বেশি প্রাধান্য দেয় এগুলো খেয়াল করবে। যদি তোমার শরীরকে বেশি প্রাধান্য দেয় তাহলে সে তোমাকে একটুকুও ভালোবাসে না। আর অবশ্যই মনে রাখবে যে ভালোবাসা মন দিয়ে হয় শরীর দিয়ে নয়। যে তোমাকে সত্যিই ভালবাসবে সে পুরোপুরি পাওয়ার জন্য অবধী অপেক্ষা করবে। যে ভালবাসতে জানে সে অপেক্ষা করতেও জানে।
- ভবিষ্যতের পরিকল্পনা না করাঃ ছেলে বা মেয়ের ক্ষেত্রে, যদি তোমার পার্টনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা না করে, ‘‘অথবা যদি বলে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি কিন্তু হয়তো সারা জীবন তোমাকে নিয়ে থাকতে পারবো না, আমার পরিবার আমাদের সম্পর্ক মেনে নেবে না” তাহলে ভাববেন তোমার প্রতি তার ভালোবাসা নেই। কেননা পরিবারের চাপ, জাতপাত বা স্ট্যাটাস এসব অজুহাত মাত্র।
যত তাড়াতাড়ি পারো এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসো যেখানে ভালোবাসা আড়ালে নাটক চলছে। একটা ভুল সম্পর্ক থেকে নিজেই বেরিয়ে আসলে নিজেকে সামলে নেওয়া যায়। কিন্তু কেউ ধোকা দিয়ে ছেড়ে গেলে নিজেকে সামলানো অনেক কঠিন হয়ে উঠে।
কিভাবে বুঝব মেয়েটি আমাকে ভালোবাসে না
আমাদের সকলের জীবনে ভালোবাসা এসে থাকে কিন্তু আমরা বুঝি না যে মেয়েটি আসলে কি আমাকে ভালোবাসে কিনা। এই ভালোবাসা না বোঝার কারণে হয়তো অনেকে ঠকে থাকি বা অনেকে কষ্ট পেয়ে থাকে। সেজন্য আর কষ্ট না পেয়ে অবশ্যই আর্টিকেল পুরোটাই পড়ুন তাহলে বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন যে আসলেই সে মেয়ে আপনাকে ভালোবাসে কিনা।
- একসাথে সময় কাটানোর আগ্রহের অভাবঃ তুমি যদি বুঝতে পারো যে, সে মেয়ে তোমার সাথে সময় কাটাতে চাচ্ছে না। তুমি সময় কাটাতে চাচ্ছ কিন্তু সে বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে বা তার বন্ধুদের সাথে থাকতে পছন্দ করে বা তোমার সাথে সময় কাটানো পরিবর্তে অন্যান্য বিষয়ে জড়িয়ে থাকে তাহলে বুঝে নিবে সে মেয়েটি তোমাকে ভালোবাসে না।
- ন্যূনতম বা কোন যোগাযোগ নেইঃ তুমি যে মেয়েকে ভালোবাসো সে মেয়ে যদি তোমার সাথে কথা বলতে পারো কথোপকথন বলে রাখার জন্য চেষ্টা না করে, যখনই তুমি কথা বলতে যাও তখনই কিছু না কিছু বাহানা দিয়ে এড়িয়ে চলে। তোমার এমন লাগবে যে সে মেয়েটি তোমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে না। তাহলে বুঝে নেবে সে মেয়েটি তোমাকে ভালোবাসে না।
- মানসিক সমর্থনের অভাবঃ তুমি যদি কোন বিপদের মধ্যে পড়ে যাও বা এমন কোন বিপদজনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ো তাহলে যদি তোমার সে মেয়েটি তোমার পাশে না দাঁড়ায় এবং মানসিক সাপোর্ট না দেয় তাহলে বুঝবেন যে সে মেয়েটি আপনাকে ভালোবাসে না। এছাড়া তোমাকে যদি সেই সময় সান্ত্বনা না দেয় তাহলে বুঝে নেবেন সেই মেয়েটি তোমাকে ভালোবাসে না।
- অন্যদের প্রতি আগ্রহ দেখানোঃ তোমার পছন্দের মেয়েটি যদি অন্য কোন ছেলের সাথে বেশি কথা বলে এবং রোমান্টিক ভাবেও কথা বলে, এছাড়াও তোমার থেকে যদি বেশি সময় অন্য ছেলেদের দেয়, তাহলে বুঝে নিও যে সে মেয়েটি তোমাকে ভালোবাসে না।
- শারীরিক স্পর্শ বা ঘনিষ্ঠতা এড়ানোঃ তোমার পছন্দের মেয়েটি যদি তোমার থেকে দূরে থাকতে চায়। আর তুমি যদি তার হাত ধরতে চাও সেটিও যদি এড়িয়ে চলতে চায় এছাড়াও তুমি সেই মেয়েটির কাছে যেতে চাইলে সে মেয়েটি তোমার কাছ থেকে দূরে চলে যায় তাহলে বুঝে নিও সে মেয়েটি তোমাকে ভালোবাসে না।
- সম্পর্কের মধ্যে প্রচেষ্টার অভাবঃ প্রতিটা সম্পর্কের মধ্যে প্রচেষ্টা এবং আফসোস প্রয়োজন। যদি মেয়েটি সম্পর্ককে লালন-পালন এবং বজায় রাখার কোন প্রচেষ্টা না করে বা ব্যর্থ হয়। তাহলে তোমার প্রতি তার অনুভূতি ততটা দীর্ঘ বা প্রকৃত নয়।
- একসাথে ভবিষ্যৎ কল্পনা করতে না পারাঃ একটি সম্পর্কের মধ্য ভবিষ্যৎ কল্পনা করা অত্যন্ত জরুরী। যদি তুমি ভবিষ্যত কল্পনা করতে চাও এবং সে মেয়েটি যদি কল্পনা করতে না চায় এবং পরিকল্পনা বালক লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী না হয় তাহলে বুঝে নিও সে মেয়েটি তোমাকে ভালবাসেনি। হয়তো শুধুমাত্র টাইম পাস করার জন্যই তোমার সাথে আছে।
- আপনার অনুভূতির প্রতি অবহেলাঃ তোমার কোন অনুভূতি থাকলে, সেই মেয়েটির কাছে অনুভূতি প্রকাশ করলে, সে মেয়েটি তোমার কোন অনুভূতির গুরুত্ব দেয় না। এছাড়াও তোমার আবেগ বা উদ্বেগকে অপেক্ষা করে ছোট করে, এবং তোমার প্রতি অবহেলা করে তাহলে বুঝে নেবে সে মেয়েটি তোমাকে মন থেকে ভালোবাসে না।
- উত্তেজনা বা উত্সাহের অভাবঃ তোমার সাথে যোগাযোগ করার সময় সেই মেয়েটির যে উত্তেজনা এবং উদ্দিনের প্রদর্শন করে তার দিকে মনোযোগ দাও। সে যদি তোমার উপস্থিতিতে আগ্রহী না হয় উদাসীন বা বিচ্ছিন্ন দেখায় এদের সম্পর্কের মধ্যে প্রেম বা আবেগের অভাব নির্দেশ করতে পারে।
- অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ এবং মিশ্র সংকেতঃ তুমি সেই মেয়েদের সাথে কথা বলতে লাগলে সেই মেয়েটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করে এবং যদি মিশ্র সংকেত পাঠায়, তাহলে তোমার প্রতি তার আবেগ বোঝার অবিশ্বাস্যভাবে চ্যালেঞ্জিং করে তুলতে পারে। আপনার প্রতিটা কথায় সে রেগে যাবে এবং এমন কিছু আচরণ করবে যেটা আপনার ভালো লাগবে তাহলে বুঝে নেবেন সেই মেয়েটি আপনাকে তেমন ভালোবাসে না।
কিভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করব
আপনি কিভাবে আপনার প্রিয় মানুষের কাছে ভালোবাসা প্রকাশ করবেন এটা নিয়ে ভাবছেন। আপনার হয়তো অনেকেই ভালোবাসায় প্রকাশ করতে পারেন না বা কিভাবে করবেন সেগুলো জানেন না। নিচে দশটি পয়েন্ট দেওয়া রয়েছে সেগুলো জানা থাকলে আপনার প্রিয় মানুষদের সামনে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারবেন খুব সহজে। তার দেরি না করে নিম্নলিখিত দশটি পয়েন্ট গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
১। সিদ্ধান্ত নিতে শিখুনঃ একটি কথা মনে রাখবেন যে কখনো কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পারাপারি করবেন না। অবশ্যই কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিবেন। আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ভয় পেলে চলবে না। আপনি কি চাচ্ছেন বা আপনার মনের মাঝে কি রয়েছে এ সকল প্রশ্ন আপনি না বলা পর্যন্ত আপনার প্রিয় মানুষের কাছে পৌঁছাবে না। এজন্য অবশ্যই ভালোবাসার প্রধান উপায় হলো ভয় না পেয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
২। মনের মানুষ টির কি পছন্দঃ মনের মানুষটি কী পছন্দ করে, এটা নিশ্চয়ই এতদিনে বুঝে গেছেন? আর যদি না বুঝে থাকেন তাহলে অবশ্যই আজই খুঁজে বের করুন সে কী ভালোবাসে। এরা কোন জিনিস হতে পারে বা কোন খাবার হতে পারে। খুব তাড়াতাড়ি সেগুলো খুঁজে বের করুন এবং কোন পছন্দের খাবার রান্না করে তাকে দিন। খামোটি হয়তো তেমন স্বাদ হবে না কিন্তু এটি ভালোবাসার মানুষ অনেক খুশি হয়ে যাবে।
৩। নতুন কোন উপহার কিনে আনুনঃ উপহার এমন একটি মাধ্যম যেটি ভালোবাসা প্রকাশ করার একটি অন্যতম উপায়। ছোট হোক কিংবা বড় সকল ধরনের উপহারে সেই মনের মানুষের কাছে অনেক বড় একটি উপহার। অবশ্যই এমন সুযোগ কখনো হাতছাড়া করবেন না।
৪। প্রিয় মানুষের প্রশংসাঃ অবশ্যই প্রিয় মানুষের প্রশংসা কখনোই ভোলা যাবে না। হতে পারে সেটি সৌন্দর্য দিক দিয়ে হোক কিংবা গুনাগুন বা বিভিন্ন বিষয়। আর আপনি যেভাবে সকল কিছু বলতে পারবেন আর কেউ বলতে পারবেনা। কারণ আপনি তাকে পছন্দ করেন। আর তার সকল সৌন্দর্য বিষয়গুলো আপনার চোখে ধরা পড়বে। তাই সুযোগ কখনো হাতছাড়া করবেন না।
৫। ভালোবাসার মানুষের প্রতিটি কাজে উৎসাহ দিনঃ আপনার প্রিয় মানুষটির প্রতিটি কাজে উৎসাহ দিন যেন সে সব কাজের সাহস পায়। যদি সব বিষয়ে উৎসাহ দেন তাহলে সে আপনার কাছে এক অন্যরকম স্বস্তির অনুভব করবে। আর আপনার ভালোবাসা আপনার প্রিয় মানুষের কাছে ধরা পড়বে।
৬। ভালোবাসা বোঝানোর জন্য কিছু এতটা করুনঃ ভালোবাসার সঙ্গী সবার জীবনেই আসে কিন্তু আপনি যাকে বেশি ভালবাসেন বা কাছের মানুষ মনে করেন সে আপনার জীবনসঙ্গী হয় সেক্ষেত্রে আপনার সারা জীবন এবং সকল দিন উপভোগ করতে পারবেন। এজন্য মনের মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য সামান্য কিছু করার চেষ্টা করুন যেন আপনার ভালবাসার প্রকাশ পায়।
৭। আপনি কি চান, তাকে বলার চেষ্টা করুনঃ আপনার মনের যে সকল কথা আসছে সে সকল কথা বলার চেষ্টা করুন। এমন পরিস্থিতি পড়ছেন যে আপনি বলতে চাচ্ছেন কিন্তু বলতেছেন না, কিন্তু সে বুঝতে পারছে, আর আপনি না বলা পর্যন্ত সে কখনো জোর করবে না। তবে এতে আপনারই ক্ষতি কারণ আপনার মনের কথা লুকিয়ে রাখা অনুভূতিগুলো সে আন্দাজ করে সেগুলো অনুরোধ করবে না।
৮। মনের মানুষের অনুভূতি বোঝার চেষ্টাঃ আপনার মনের মানুষের অনুভূতি সেটি বোঝার চেষ্টা করতে হবে। আপনার ভালবাসার মানুষটিকে বলার সুযোগ দিন। এবং তার সকল কথা বলার পরেও যদি আপনি নিজেকে গুটি রাখেন তাহলে ভবিষ্যতেও আপনাকে আফসোস করতে হবে।
৯। সৎ থাকুনঃ আপনি কেমন তা থাকে জানতে দিন এবং নিজেকে প্রকাশ করুন আর সত্যিকারের আপনাকে যখন খুঁজে পাবে তখন সে আপনার ভালবাসা অনুভব করতে পারবে। আর অবশ্যই মনে রাখবেন যে কোন মানুষ যখন নিজের পুরোপুরি প্রকাশ করে তখনই তাকে ভালোবাসে।
১০। ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগঃ আর অবশ্যই ফোনে যদি কথা বলেন বা মেসেজ করেন এগুলো মনের কথা প্রকাশে একটি অন্যতম মাধ্যম। তবে অনুভূতির ক্ষেত্রে সামনাসামনি কথা বলায় উচিত। কারণ আপনার প্রিয় মানুষের চোখে থেকে তাকিয়ে কখনোই মিথ্যা কথা বলতে পারবেন না। আর আপনার সত্যিটা খুব সহজে সে বুঝতে পারবে।
মেয়েদের ভালোবাসার ইশারা
ছেলে বা মেয়ে যে হোক না কেন সবাই প্রেমে পড়ে থাকে। কিন্তু ছেলেরা সেই প্রেম সহজেই প্রকাশ করলেও মেয়েরা সহজে প্রকাশ করতে চায় না। এখানে ছেলেদের আচরণ দেখে খুব সহজে বুঝা যায় যে সে প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।
আবার মেয়েরা যদি ভালোবাসা কথা মুখেও বলে কিন্তু তাদের আচরণ দেখে আপনি দ্বিধাদ্বন্দ্বের ভুগবেন যে আসলে কি সেই মেয়ে তোমাকে ভালোবাসে কিনা। তবে ছোট ছোট কিছু ইশারা রয়েছে যেগুলো দেখে তুমি বুঝতে পারবেন যে মেয়েটি আপনাকে ভালোবাসে বা প্রেমে পড়ে গেছে। তাহলে আর কথা না বলে চলো দেখে নাও সেই ইশারা গুলো কি কি-
- আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে তোমার শত্রু মানে তারও শত্রু। যখন কোন কারন ছাড়াই তোমার শত্রুকে মেয়েটিও অপছন্দ করে এবং দেখবে তোমার যাকে পছন্দ করেন না সেও তাকে ঘৃণা করতে শুরু করছে তখন বুঝে নেবে তোমার প্রেমে পড়ছে।
- তুমি খুব সাধারন কিছু একটা করলে মেয়েটি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। এমনকি সে নিজে থেকে তার আবেগগুলো তোমার সাথে প্রকাশ করে, যাতে তুমি বুঝতে পারো যে, তোমার প্রতি সে কতটা দুর্বল।
- প্রথম কবে দেখা হয়েছে, প্রথমবারে তোমারা দুজন যেদিন দেখা করেছ সেদিনের কথাগুলো তার সবগুলোই মনে আছে এবং সেগুলোই বারবার তোমার সামনে বলতে থাকে। এমনকি তোমার দেয়া প্রথম উপহার এখনো সে যত্ন করে রেখেছে। এগুলো থেকে বোঝা যায় মেয়েটি আপনাকে কতটা ভালোবাসে।
- তোমার সঙ্গে দেখা হওয়ার কোনো সুযোগওই মেয়েটি হাতছাড়া করতে চায় না। যত রকম সমস্যা হোক না কেন ঠিক সময় বের করে তোমার সাথে দেখা করার উপায় খুঁজে নেই। আর মেয়েটি চাই যে তুমি এমনটাই কর।
- যতই সমস্যা হোক না কেন সবার আগে মেয়েটি তোমাকে বলার চেষ্টা করবে। যদিও তুমি কোন সমস্যার সমাধান না করতে পারলেও তবুও সে তোমাকে বলে শান্তি পাবে।
- তুমি যদি ফোন ধরতে দেরি করো, কিংবা মেসেজ করতে দেরি করো, তাহলে মেয়েটি অস্থির হয়ে সে নিজে থেকে ফোন দিবে, কিংবা একের পরে এসএমএস দিতে থাকবে। তাহলে তুমি অবশ্যই বুঝে নেবে সে মেয়েটি তোমার প্রতি ভালোবাসা হাবুডুবু খাচ্ছে।
- মেয়েটি কেমন জীবন সঙ্গীত চাই সে সকল বিষয়গুলি যদি বারবার তোমার সাথে প্রকাশ করে এবং তোমার কাছ থেকে কোন উত্তর সে যদি আশা করে, তাহলে বুঝে নেবে তার তোমার মত সঙ্গী প্রয়োজন।
- অন্য কোন মেয়ের সঙ্গে কথা বললে কিংবা কোন মেয়ের বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করলে মেয়েটি খুব বিরক্ত হয়। আর সে চায় যে তুমি এ বিষয়গুলো বুঝতে পারো যে সেই কথাগুলো পছন্দ করছে না।
- তুমি অনেক আনন্দ থাকলেও মেয়েটি বুঝতে পারে আবার খুব কষ্টে থাকলেও সেই মেয়েটি বুঝতে পারে। তোমার সকল আচরণ যখন মেয়েটি আয়ত্ত করে ফেলেছে, আর তুমি তার কাছে কিছু লুকিয়ে রাখতে পারছো না বুঝবে সে মেয়ে তোমার প্রেমে পড়েছে।
- মেয়েটি তোমার সম্পর্কে সবকিছুই জানে অর্থাৎ তোমার কি ভালো লাগে আর কি পছন্দ, কোন খাবার তোমার পছন্দ, কিসে বিরক্ত হও সব সে জানে। এটাই প্রেমে পড়া অনেক বড় একটি ইশারা।
- তো তুমি বুঝতে পারছ যে কোন ইশারা গুলো জানলে বুঝতে পারবে যে মেয়েটি তোমার প্রেমে পড়েছে। যেত এই আলোচনা থেকে আমি সব কিছুই খোলার সব হবে তুলে ধরেছি, অবশ্যই যদি ভালো লেগে থাকে তোমার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবে।
ভালোবাসা কিভাবে হয়
আপনি হয়তো এটা জানেন যে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসা হয়। কারণ হৃদয় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করলেও ভালোবাসা তৈরি করতে পারে না। তাহলে তোমার নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে হচ্ছে যে ভালবাসা কিভাবে তৈরি হয়? তাহলে চলুন জেনে নিন ভালোবাসা কিভাবে তৈরি হয়-
ভালোবাসা তৈরিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে মস্তিষ্ক/ব্রেন। মূলত ভালোবাসা রয়েছে তিনটি পর্যায়ে।
- প্রথম পর্যায়েঃ প্রথম পর্যায়ে হলো যেদিন প্রথমবার তুমি তাকে দেখেছিলে বা প্রথম ভালোবাসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলে। তখন তোমার ব্রেন দুটি হরমোন নিঃসরণ করে। সেটি হল সেক্স হরমোন: অ্যাস্ট্রোজেন, টেস্টেস্টেরন। এ দুটি হরমোন তোমাকে তার প্রতি আকর্ষণ করাতে ভূমিকা পালন করে।
- দ্বিতীয় পর্যায়েঃ দ্বিতীয় পর্যায়ে তোমার ব্রেন দুইটা নিরো ট্রান্স মিটার নিঃসরণ করে সেগুলো হলো: নরএড্রেনালিন, ডোটামিন। এগুলো তোমার ভালোবাসা চিন্তা শক্তিকে সাহায্য করে। এবং এই পর্যায়ে তুমি প্রেমে পড়ে যাও।
- তৃতীয় পর্যায়েঃ তৃতীয় পর্যায়ে তুমি তোমার ভালোবাসার কাছে যেতে চাইবে। এবং এ পর্যায়ে আপনার ব্রেন অক্সিটোসিন নামক হরমন সৃষ্টি করবে। যার ফলে এই পর্যায়ে আসবে।
মেয়েদের সত্যিকারের ভালোবাসা চেনার উপায়
কিভাবে বুঝবেন যে, তোমার মনের মানুষ তোমাকে ভালোবাসে। সত্যিকারে ভালোবাসা চিনার উপায় নিচে সাতটি লক্ষণ দেওয়া হল। এই লক্ষণগুলো সে মেয়ের থাকলে অবশ্যই সে মেয়েটা আপনাকে ভালোবাসে।
- সে মেয়েটি কখনো তোমার কাছে দামি দামি উপহার চাইবে না। সে মেয়ে এক জোড়া কানের দুল, এক পাতা টিপ, কিংবা কাঁচের রেশমি চুড়ি পেলেই সে খুশি হবে। সে মেয়ে তোমাকে সত্যিকারের ভালোবাসে।
- সে মেয়ে কখনো তোমাকে ব্যস্ততা দেখাবে না। সে সব সময় তোমার সাথে কথা বলতে চাইবে। তুমি যদি একদিন ফোন না দাও তাহলে সে রাগ অভিমান করবে, এবং বিভিন্ন কথা বলবে।
- তোমার সামান্য শরীরের অসুস্থতা যদি মাত্রাতিরক্ত বিচলিত হয়ে পড়ে তাহলে বুঝবে মেয়েটি তোমাকে সত্যি কারের ভালোবাসে।
- মেয়েটি কখনোই তোমাকে ছোট করে বা কষ্ট দিয়ে কোন কথা বলবে না। তোমার মন খারাপ যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে এবং তোমার মন খারাপ হলে সে ভালো করার চেষ্টা করবে।
- তোমার খারাপ সময়ে তোমার পাশে থেকে সমর্থন দেবে, তোমার বিভিন্ন বিপদ-আপদে সময় পাশে থাকবে। তাহলে বুঝবে সে মেয়ে তোমাকে সত্যিকারের ভালবাসে।
- সে মেয়ে কখনোই তোমাকে অবহেলা করবে না, তোমার মেসেজ দেওয়ার পর পরে সে রিপ্লাই দেবে, এছাড়া তুমি একটা এসএমএস দিবে এবং তার অনেকগুলা রিপ্লাই দিবে, এবং তোমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল হয়ে থাকবে।
- অসময়ে তোমাকে ফেসবুকে দেখলে সে বকাবকি করবে, তোমার সাথে ঝগড়া করবে, কারণ সে সব সময় তোমার ভালো চাইবে। এমন কিছু হলে অবশ্যই মনে রাখবে সে তোমাকে গভীরভাবে ভালোবাসে।
যে তোমাকে এড়িয়ে চলে বা যে তোমাকে অবহেলা করে যে তোমাকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেয় না, তাকে কখনো ভালবাসবে না। যে তোমাকে অবহেলা করবে তার কাছ থেকে চলে আসো। কেন বারবার নিজের হাতে সময় বিসর্জন দিয়ে তাকে এসএমএস দিবে, ফোন দিবেন যে তোমাকে দুই পয়সার মূল্য দেয় না। তাকে তোমার এক পয়সার মূল্য না দেওয়া উচিত।
ভালোবাসার কোন ভুল না কিন্তু ভালোবাসাতে যদি তোমাকে বরাবর অবহেলা করতে হয়, তার কাছে তোমার কোন গুরুত্ব নেই, সে তোমাকে বুঝতে চায় না।
কথা বলার সময় ব্যস্ত দেখায় আর যাই হোক যেখানে তুমি ভালোবাসা বলতে কিছু পাবে না শুধু পাবে অবহেলা। সে তোমাকে অবহেলা করে তার কাছে থেকে ফিরে আসো। যে তোমাকে গুরুত্ব দেবে তাকে গুরুত্ব দিতে শেখো।
লেখক এর মন্তব্য
ভালোবাসার প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে আছে। হয়তো কেউ কেউ সে ভালোবাসা বুঝতে পারে না বা কাউকে বোঝাতে পারে না। আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি খুব সহজেই ভালোবাসার সম্পর্কিত সকল প্রশ্ন উত্তর পেয়েছেন।
অবশ্য আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আর ভালো লেগে থাকলে, অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url