রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি দোয়া

প্রিয় গ্রাহক আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি রমজান মাসে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি দোয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই দোয়াগুলো রমজান মাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোজা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই দোয়াগুলো আপনার প্রয়োজন।
রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি দোয়া
আল্লাহর কাছে ক্ষমা এবং সুস্থভাবে রোজাগুলো পালন করার জন্য চাওয়ার একমাত্র পথ হলো দোয়া। রোজা পালনের ক্ষেত্রে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে, আল্লাহর কাছে দোয়ার মাধ্যমে মাফ চাইলে আপনাকে মাফ করে দেবে। আজকে মূলত সেহেরির দোয়া, ইফতারের দোয়া, তারাবি নামাজের দোয়া, শবে কদরের দোয়া এবং বিশেষ করে তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে আলোচনা করব।
পোস্ট সূচিপত্রঃ   
আল্লাহতালা যেন আমাদের সবাইকে রমজান মাসের সুস্থ ভাবে রোজা পালনের তৌফিক দান করুক। আপনি যেন সুন্দর সুস্থ ভাবে ফেরত পালন করতে পারেন এবং সঠিকভাবে দোয়া করতে পারেন, এর জন্য আমি নিয়ে চলে এসেছি রমজান মাসের সেরা ৫ টি দোয়া সেগুলো আপনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সেই পাঁচটি দেওয়া সম্পর্কে জেনে নিন।

রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি দোয়া
  • রমজান মাসের সেহরির দোয়া
  • রমজান মাসের ইফতারের দোয়া
  • তারাবির নামাজের দোয়া
  • শবে কদরের দোয়া
  • তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া

রমজান মাসের সেহরির দোয়া

রমজান মাসের রোজা শুরু প্রথম ধাপ হল সেহরি খাওয়া। আর সেহেরি খাওয়ার জন্য অবশ্যই আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। এই রমজান মাসের মত আর কোন মাসে এত সওয়াব নেই। এজন্য এ মাসে রোজা রাখার জন্য সেহরি খাওয়া প্রতিটা মুসলিমের জন্য প্রযোজ্য।
এই সেহরি খাওয়ার ফলে মূলত রোজা শুরু হয়। আর এই সময় যদি আল্লাহর কাছে আপনি সঠিকভাবে দোয়া চাইতে পারেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আপনার সকল মনের আশা পূরণ করবে। চলুন তাহলে জেনে নিন সেহরি খাওয়ার সময় কোন দোয়া আপনি পড়বেন।

দোয়াঃ
الْحَمْدُ للهِ اللَّهُمَّ إِنِّي أسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلِّ شَيْئِ أَنْ تَغْفِرَ لِي

উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিআত কুলালা শাইয়িন।

অর্থঃ ঈশ্বরের প্রশংসা হে ঈশ্বর, আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, তোমার রহমত যা সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে আমাকে ক্ষমা করে দাও।

নিয়তঃ
نَوَيْتُ أَنْ أَصُومَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمَضَانَ الْمُبَارَكِ فَرُضَّالَّكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّلْ مِنّى إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

উচ্চারণঃ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম, বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,“নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রামাদানাল মুবারাকি, ফারদ্বাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাস সামীউল আলীম”

অর্থঃ আমি রমজানের বরকতময় মাসে আগামীকাল রোজা রাখার মনস্থ করেছি। হে আল্লাহ, আমার পক্ষ থেকে তোমার দোয়া কবুল করুন, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

রমজান মাসের ইফতারের দোয়া

রমজানের একটি বড় অনুষঙ্গ হলো ইফতার। একজন রোজাদার ব্যক্তি সারাদিন না খেয়ে রোজা থাকেন এবং প্রতিদিন একইভাবে ইফতার করে থাকেন। আর অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে ইফতারের আগে দোয়া করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ইফতারি করার আগে আপনাকে ভালোভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।
আল্লাহতালার কাছে যে ব্যক্তি চাই আল্লাহ তাআলা কখনো তাকে ফিরিয়ে দেয় না। আর আপনি যদি ইফতারের আগে সঠিকভাবে আল্লাহর কাছে চাইতে পারেন তাহলে আল্লাহ তাআলা অবশ্য আপনার মনের আশা পূর্ণ করবে। নিম্নলিখিত সেই দোয়াটি রয়েছে আশা করি আপনি প্রতিদিন ইফতার আগেই দোয়াটি একবার করে হলেও পড়বেন।

এই দোয়াটি নবী রাসুল শিখিয়ে গেছেন আশা করি এই দোয়াটি প্রতিদিন ইফতারের আগে অবশ্যই একবার কাজ করে পাঠ করবেন।

দোয়াঃ
ذَهَبَ الظُّمَأُ ، وَابْتَلَتِ الْعُرُوقْ وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ

উচ্চারণঃ যাহাবায যামাউ, ওয়াবতাল্লাতিল উরূকু ‍ওয়া সাবাতাল আজরু, ইনশাআল্লাহ।

অর্থঃ তৃষ্ণা মিটে গেছে, শিরাগুলো ভিজে গেছে, আর পুরষ্কার নিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ।
-----
কষ্ট এবং পরিশ্রম যেটা আমি করেছি রোজার জন্য সেটি তো চলে গেল এবং আমার যে ঘাম বেরিয়েছে পিপাসা থাকার কারণে সেটিও শুকিয়ে গেছে এবং আল্লাহর কাছে বিনিময় খারা হয়ে গেছে।

দোয়াঃ
اللَّهُمَّ صُمْت لَكَ وَتَوَكَّلْتُ عَلَى رِزْقِكَ وَافْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা ওয়া তাওয়াক্কালতু আলা রিযকিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।

অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি, তোমার রিজিকের উপর ভরসা করেছি এবং তোমার রহমতে আমার রোজা ভেঙ্গেছি, হে পরম করুণাময়।

তারাবির নামাজের দোয়া

আমরা যে তারাবি নামাজের মধ্য যে দোয়া গুলো পড়ি বা মোনাজাত গুলো করে আসলে এগুলো কোন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। কিন্তু আমাদের মাঝে এখনো বিভ্রান্তিকর অনেক ঘটনা ঘটতেছে যা আমরা বুঝতে পারতেছি না। সেগুলো হাদিস এবং কোরআন দ্বারা প্রমাণিত নয় অবশ্যই সেগুলো থেকে বিরত থাকুন।
তারাবি মূলত রেস্ট একটি নামাজ। যেখানে মুমিনদের কোন কষ্ট হবে না শুধু আরামে নামাজ পড়বে। কিন্তু এখানে আমরা ঠিক চার রাকাত পরে আমরা এই দোয়াগুলো এবং মোনাজাত করে থাকে আসলে এগুলো ঠিক না। কারণ এখন পর্যন্ত হাদিস এবং কুরআনের দ্বারা এগুলো প্রমাণিত নয়।

তবে আপনি যদি সে দোয়াটি সম্পর্কে খুজে থাকেন তাহলে এই দোয়া নিম্নলিখিত দেয়া হলো। এবং দোয়ার মানে ও অর্থসহ দেয়া হলো-

দোয়াঃ
سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحَانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرَياءِ وَالْجَبَرُوتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِي لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوتُ أَبَدًا أَبَدًا سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّنَا وَرَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ

উচ্চারণঃ সুবহানা যিলমুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা যিল ইজ্জাতি ওয়াল আযমাতি ওয়াল হােইবাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়াল জাবারুতি, সুবহানাল মালিকিল হাইয়িল্লাযী লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদান, সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বানা ওয়া রাব্বুল মালইকাতি ওয়ার রুহ।

অর্থঃ মহিমান্বিত তিনি, রাজা এবং রাজ্য, মহিমা, মহিমা, মহিমা, মহিমা, শক্তি, অহংকার এবং পরাক্রম, মহিমান্বিত সেই জীবন্ত রাজা যিনি কখনই ঘুমান না। মহিমা আমাদের পালনকর্তা, ফেরেশতাদের পালনকর্তার জন্য। এবং আত্মা, এবং তিনি কখনও মরবেন না, কখনও এবং কখনও৷

শবে কদরের দোয়া

লাইলাতুল কদরের রাতে গুরুত্বপূর্ণ রাত। শবে কদরের রাত প্রত্যেকটি রাতের থেকে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাত। শবে কদরের রাতের বেশি বেশি করে দোয়া করতে হবে। আর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বেজোর রাত যেমন, ২১-২৫-২৭-২৯ এই রাতগুলোকে শবে কদরের রাত তালাশ করতে বলেছে।

অবশ্যই এই সময় গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি শবে কদর এর রাত। কারণ শবে কদরের রাত কখন এটা কোথাও সঠিকভাবে তথ্য নেই তবে নবী বলেছেন বিজোড়া গুলোতে শবে কদরের তালাশ করতে। এর জন্য এই সকল রাতে আপনারা বেশি বেশি করে নামাজ আদায়ের সাথে সাথে আল্লাহর কাছে মন, প্রাণ দিয়ে দোয়া করবেন।

দোয়া একমাত্র পথ যে আপনাকে সকল পাপ থেকে মুক্তি দেবে। শবে কদরের দিনে অবশ্যই আপনি আল্লাহর কাছে সঠিকভাবে দোয়া করবেন যেন আপনার সমস্ত পাপ এবং সামনের দিনগুলো চলার জন্য তৌফিক দান করেন। আম্মাজান আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বিশ্বনবী যে গুরুত্বপূর্ণ দোয়া শিখিয়েছিলেন সেই দোয়াটি হল-

দোয়াঃ
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নাকা 'আফুউউন তুহিব্বুল 'আফওয়া ফা'ফু 'আন্নী

অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল এবং আপনি ক্ষমা পছন্দ করেন, তাই আমাকে ক্ষমা করুন

তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া

তাহাজ্জুদ নামাজে দোয়া এমন একটি দোয়া যা একটি পীরের লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে পারে কিন্তু এই দোয়ার কখন লক্ষ্য ভষ্ট হয় না। আল্লাহর কাছে এতটাই প্রিয় যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে এই সময় নামাজ পড়ে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা কখনো তাকে ফেরত দেয় না।

তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। এটি এমন একটি নামাজ যে নামাজে আল্লাহর কাছাকাছি পৌঁছানো যায়। এবং এই সময় যে দোয়া করবেন সে দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। তো চলুন আর দেরি না করে তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া মুখস্ত করুন।

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্ন৷ ওয়া লাকালহামদু। লাকা মুলকুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না। ওয়া লাকাল হামদু আংতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়া লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু।

ওয়া ওয়া’দুকাল হাক্কু। ওয়া লিক্বাউকা হাক্কু। ওয়াল ঝান্নাতু হাক্কু। ওয়ান নারু হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্কু। ওয়া মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হাক্কু। ওয়াস সাআতু হাক্কু। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু। ওয়াবিকা আমাংতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু।

ওয়া ইলাইকা আনাবতু। ওয়া বিকা খাসামতু। ওয়া ইলাইকা হাকামতু। ফাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয়া মা আখারতু। ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ'লাংতু। আংতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখিরু। লা ইলাহা ইল্লা আংতা। লা ইলাহা গাইরুকা। (বুখারি)

অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! সব প্রশংসা আপনারই, আপনিই আসমান-জমিন ও উভয়ের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর নিয়ামক এবং আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আসমান-জমিন এবং এর মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনি আসমান-জমিনের নুর।

আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনি আসমান-জমিনের মালিক, আপনারই জন্য সব প্রশংসা।আপনিই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চির সত্য। (পরকালে) আপনার সাক্ষাৎ সত্য। আপনার বাণী সত্য। আপনার জান্নাত সত্য আপনার জাহান্নাম সত্য। আপনার (প্রেরিত) নবিগণ সত্য। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য, কেয়ামত সত্য।

হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আমি আত্মসমর্পণ করলাম, আপনার ওপর ঈমান আনলাম, আপনার ওপরই ভরসা করলাম, আপনার দিকেই রুজু করলাম, আপনার (সন্তুষ্টির জন্যই) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার আগের- পরের প্রকাশ্য ও গোপন সব পাপ/অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনিই শুরু এবং আপনিই শেষ মালিক। আপনি ব্যতিত সত্য কোনো প্রকৃত ইলাহ নেই অথবা আপনি ব্যতিত (ইবাদতের উপযুক্ত) অন্য কেউ নেই।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় গ্রাহক আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে রমজান মাসে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি দোয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখানে মূল্যবান রমজান মাসের সেহরি খাওয়া দোয়া, রমজান মাসে ইফতারের দোয়া, তারাবির দোয়া, শবে কদরের দোয়া এবং তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

অবশ্যই এই সকল দোয়াগুলো আপনি মুখস্থ করবেন এবং নামাজের সঠিকভাবে আমল করবেন। যদি আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না। নতুন তথ্য জানতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url