হস্তমৈথুন করলে কি হয় - হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়

যৌবন বয়সে হস্তমৈথুন বা মাস্টারবেশন করাটা আমাদের কাছে মনে হয় একটি চাকরি। আসলেই হস্তমৈথুন করলে কি হয় আপনি কি ভেবে দেখেছেন। হস্তমৈথুনের ফলে আপনার শরীরে কি কি পরিবর্তন আসতে পারে, হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিকগুলো কি এবং হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিকগুলো পূরণ কিভাবে করবেন।
হস্তমৈথুন করলে কি হয় - হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়
আজকের এই আর্টিকেলে যে বিষয়ে আলোচনা করেছি এ বিষয়গুলো আপনার জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যৌবনের সময় অনেকে একটি কাজ করে থাকে, সেটা হলো হস্তমৈথুন। এই হস্তমৈথুন যে আপনার শরীরে কতটা ক্ষতি হতে পারে হয়তো আপনি জানেন না।

পোস্ট সূচিপত্রঃ এই আর্টিকেলে হস্তমৈথুন করলে কি হয়, হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়, এবং হস্তমৈথুনের ফলে যে ক্ষতি হয় সেই ক্ষতিপূরণের উপায় এবং নানা ধরনের প্রশ্নের উত্তর এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন। আশা করি আর্টিকেল থেকে হস্তমৈথুন করার ফলে আপনার শরীরে কথাটা পরিবর্তন বা ক্ষতি হতে পারে তার সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন।

হস্তমৈথুন করলে কি হয়

আমাদের মনে যে সমস্ত প্রশ্ন আসে, হস্তমৈথুন করলে কি হয়? হস্তমৈথুন করলে কি আমাদের শরীরের কোন ক্ষতি হয়? ইসলামে দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন কে কি বলে? এমন নানা ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। প্রথমে আমরা হস্তমৈথুনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানব।

কেউ যখন যৌন তৃপ্তির জন্য হস্তমৈথুন করে সে হোক নারী কিংবা পুরুষ তাদের মস্তিষ্ক থেকে কিছু হরমোন বা ক্যামিকেল তৈরি হয়। যেমন-
  • Dopamine
  • Oxtocin
  • Serotonin
  • Norepinephrine
  • A drenaline
আরে ডোপামিন কে বলা হয় হ্যাপিনেস হরমোন। এ হরমোন গুলো মূলত আমাদের সুখ দুঃখ আনন্দ ইমোশনাল এর জন্যই দায়ী।

প্রথমে জেনে নেব কিভাবে বীর্য তৈরি হয়ঃ
  • খাদ্য - ৫ > পুষ্টি - ৫ > রক্ত - ৫ > মাংস = সবগুলো পাঁচদিন করে সময় লাগে
  • মাংস - ১০ > ফেটি টিস্যু = দশ দিন সময় লাগে
  • ফেটি টিস্যু - ২০ > বোন ম্যারো - ২০ > বীর্য = সময় লাগে ২০ দিন করে
মাত্র ১ ফোটা বীর্য তৈরি হতে ৬৪ দিন সময় লাগে। আর এই বীর্যপাত তৈরি শুরু হয় যখন আমরা খাবার খাই সেই খাবার থেকে। আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি সে খাদ্য থেকে পুরুষটিতে পরিবর্তন হতে প্রায় ৫ দিনের মত সময় লাগে। এবং সে পুষ্টি থেকে রক্তে পরিণত হতে আরো পাঁচ দিন সময় লাগে।

মানবদেহের বিশুদ্ধ রক্ত থেকে তৈরি হয় মাংস, এবং এ মাংস থেকে আরো পাঁচ মিনিট সময় লাগে। এবং এ মানবদেহে এই মাংস থেকে তৈরি হয় ফ্যাটি টিস্যু আর এই ফ্যাটি টিস্যু তৈরি হতে আরো দশ দিন সময় লাগে।

এই টিস্যু থেকে তৈরি হয় বোন ম্যারো, এই বোন তৈরি হতে ২০ দিন সময় লাগে। আর এই বোন মেনো থেকে তৈরি হয় বীর্য এবং এই বীর্য তৈরি হতেও বিশ দিন সময় লাগে। এই মোট ৬৪ দিন সময় লাগে এক ফোটা বীর্য তৈরি হতে। এই বিজয় পৃথিবীর একমাত্র জিনিস যে একটি নতুন জীবন তৈরি করতে পারে।

আরো অবাক করা কথা হলো যে ৩২ কেজি সাধারণ খাবার থেকে মাত্র 700 মিলি রক্ত তৈরি হতে পারে। আর এই ৭০০ মিলি রক্ত থেকে মাত্র ১৫ মিলি মানে, তিন চামচ বীর্য তৈরি হয়। তাহলে একবার আপনি ভেবে দেখুন এই জিনিসটা কতটা দামি তাহলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে বীর্য ক্ষয় করা উচিত নয়।

আপনি ছেলে এখন অথবা মেয়ে হন যদি প্রতিনিয়ত হস্তমৈথুন করেন তাহলে আজকের এই বিষয়গুলো আপনার জীবনকে পাল্টিয়ে দেবে।

হস্তমৈথুন করলে কি হয়ঃ

অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে মানসিক সমস্যা যৌন সমস্যা ও শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হস্তমৈথুনের সমস্যাগুলো ছেলে ও মেয়েদের আলাদা হয়ে থাকে।

ছেলেদের ক্ষেত্রে- (১)অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে ছেলেদের দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা এবং লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা হতে পারে। একটা জিনিস খেয়াল করুন লিংকে কিন্তু কোন হার থাকে না। তো কিভাবে এত শক্ত হয়ে যায় ভেবে দেখেছেন। যখন যৌন চাহিদা বৃদ্ধি পায় তখন লিঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। মূলত রক্তের সঞ্চালনার কারণে পেনিস শক্ত হয়।

পেনিসের মধ্যে রয়েছেস মাসেল, নার্ভ ও রক্ত নালিকা যার মাধ্যমে পেনিস শক্ত হয়। অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে রক্ত গুলো ওনার গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার ফলে দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়।

(২) অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে পেনিস ফ্যাকচার হতে পারে। অর্থাৎ পেনিসের মাংসপেশিগুলো ভেঙ্গে যেতে পারে। যখন কোন পুরুষের জন্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় তখন তার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

টেস্টোস্টেরন একটি হরমোন যা আমাদের শরীরে মাংস পেশি গঠন করে। যার অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে তাদের টেস্টোস্টেরন কমে যায় এবং মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যায়।

মেয়েদের ক্ষেত্রে- অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে সেক্সুয়াল সেনসিটিভিটি কমে যায়। স্বাভাবিক যৌনতা সে সুখ অনুভব হয় না। যার কারণে প্রতিদিন অর্গাজম হতে সময় লাগে। এছাড়াও তার সঙ্গীর প্রতি অসন্তুষ্ট থাকে।

আপনি যদি প্রতিদিন একবার করে বা প্রতি সপ্তাহে একবার করে মাস্টারবেশন হস্তমৈথুন করেন তাহলে আপনার শরীর শুকিয়ে যাবে এবং হস্তমৈথুন এর ফলে আপনার চেহারা খারাপ হয়ে যাবে। এছাড়া আপনি শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়বেন।

এর জন্য বীর্য ক্ষয় না করার কথা সকল গ্রন্থ যেমন- কুরআন, বাইবেল ইত্যাদি বলা হয়েছে। আপনি যদি একবার হস্তমৈথুন করেন তাহলে আপনার শরীর থেকে প্রায় ১৫০ কিলো ক্যালরি ক্ষয় হয়। আর একজন নারী ক্ষেত্রে ক্ষয় হয় ১০১ কিলো ক্যালরি শক্তি।

আর আপনি যদি বলে থাকেন যে স্বপ্নদোষিত হয়। তাহলে জেনে নেই স্বপ্ন দোষে মাত্র ৭৫ ক্যালোরি শক্তি খরচ হয়ে থাকে। আর স্বামী স্ত্রীর সহবাসে হস্তমৈথুনের থেকেও অনেক কম ক্যালরি খরচ হয়। তাহলে তো বুঝতে পারছেন এত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আপনি খুব সহজে নষ্ট করে ফেলছেন।

এছাড়া আপনি জানলে অবাক হবেন বেশি হস্তমৈথুন করার ফলে আপনার বীর্যের পরিমাণ কমে যায় যার ফলে বাচ্চা হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে যায়। আশা করি আপনি এই বিষয় থেকে বুঝতে পেরেছেন হস্তমৈথুন করলে কতটা ক্ষতি হতে পারে।

হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিক

অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার ফলে শরীরে যে সকল ক্ষতি হয়। হস্তমৈথুন এর সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। পুরুষ ও নারীর উভয় ক্ষেত্রে এটি একটি দেহের ক্রিয়া-কলাপ। আর এগুলো তাদের যৌন তৃপ্তিকের সন্তুষ্ট করতে সাহায্য করে থাকে।

তবে এই হস্তমৈথুন এমন একটি অভ্যাস বা রোগ যে অভ্যাসটি একবার হয়ে গেলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। আর এই নেশা একবার হলে সে নেশা থেকে বের হতে সহজে পারবে না।

অতিরিক্ত মাত্রায় হস্তমৈথুন করলে মনতো দুই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে যেমন- মানসিক সমস্যা এবং শারীরিক সমস্যা। আপনি যদি এই হস্তমৈথন ওদেরকে করে থাকেন তাহলে আজ থেকেই উপস্থিত বাদ দিয়ে দিন। সময় থাকতে নিজেকে বদলে ফেলুন নাহলে পরবর্তী সময়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের যে ছয়টি সমস্যা হতে পারে সেগুলো হল-

ইমিউনিটি পাওয়ার কমে যাওয়াঃ মাত্র অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের জন্য যৌনাঙ্গের পাশাপাশি সহজে অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার কারনে শরীরের দুর্বল হয়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, কারণ এটি নার্ভাস সিস্টেম, হার্ড, ডাইজেস্টিভ সিস্টেম, ইউরিনারী সিস্টেম ইত্যাদিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে শরীরের জন্ম নেই বিভিন্ন রোগ।
  • মানুষের সমস্যার জন্ম নেইঃ পুরুষ কিংবা নারী দুজনার ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত হস্তমৈথুন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর অনেক খারাপ প্রভাব ফেলে। হস্তমৈথুনের ফলে কখনো কখনো বিকৃত মানসিকতার জন্ম নেয়। আরে হস্তমৈথুন স্মৃতি শক্তি অনেক দুর্বল করে তোলে।
  • চোখের সমস্যাঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে চোখের ক্ষতি হয় এবং চোখের দৃষ্টি পরিস্কার হওয়ার বিপরীতে চোখ ঘোলাটে হয়ে যায়। অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে শরীরে বিভিন্ন স্থানে ব্যথা সৃষ্টি হয় এবং বেশিরভাগ পায়ে ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়া মাথা ও চোখের মধ্যে অসহ্য যন্ত্রণা দেখা দেয়।
  • বন্ধুত্ব দেখা দেয়ঃ মাত্র ধিক্ত হস্তমৈথুন করলে শুক্রাণুর সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়। যার ফলে দেখা দিতে পারে মেল ইন ফার্টিলিটি বা পুরুষ বন্ধ্যাত্ব । কারণ একজন পুরুষ যখন সহবাস করে তখন তার যে বীর্য বের হয় তার পরিমাণ প্রায় ৪২ কোটি। আর অতিরিক ছাড়া হস্তমৈথুন করেন তাদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা কমে গিয়ে মাত্র 2 কোটি নিচে নেমে যায়। চিকিৎসকের মধ্যে যে পুরুষের ২০ কোটি কম শুক্রানু বের হয় সেই পুরুষ সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হয়।
  • অকাল বীর্যপাতঃ যারা ঘন ঘন হস্তমৈথুন করেন তাদের ক্ষেত্রে সঙ্গীর সাথে যৌন মিলনের সময় খুবই অল্প সময়ে বীর্য বের হয়ে যায়। যার কারণে স্বামী স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হয়ে পড়ে। এবং এই থেকে অনেক বৈবাহিক জীবনে সমস্যা দেখা দেয়।
  • হজম ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়ঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে, শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোনের উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে যার কারণে এটি হজম ক্ষমতা কে দুর্বল করে ফেলে।
এছাড়াও আপনার শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য অবশ্যই হস্তমৈথুন থেকে দূরে থাকুন। নিজেকে পর্ন ভিডিও থেকে দূরে রাখুন এবং সুস্থ থাকুন।

হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়

হস্তমৈথুন মূলত বিভিন্ন সেক্সুয়ালিটি ভিডিও, পর্নোগ্রাফি এবং বিভিন্ন সেক্টর ফটো দেখে হয়ে থাকে। হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার শুধুমাত্র এই একটি উপায় হল পর্নোগ্রাফি ভিডিও বা ফটো থেকে দূরে থাকা। একটি পথ যদি আপনার মাইন্ড কে চেঞ্জ করে ফেলে এবং আপনি এমন হস্তমৈথুন করতে আসক্তি হয়ে যান।

যখন আপনি ফেসবুক বা ইউটিউব বা গুগলে কোন কিছু সার্চ করবেন আপনার সামনে সেই গুলাই শো করবে। কেমন আপনি যদি ভালো কিছু সার্চ করেন তো ভালো সাথে সাথে আপনাকে খারাপ কিছু দেখাতে পারে। 

এখন হঠাৎ করে সেই খারাপ জিনিসের দিকে চোখ পড়ার পরে আপনার খারাপ মানসিকতা ও সেই হরমোন গুলো আপনাকে আকৃষ্ট করবে সেই ভিডিওটা দেখার জন্য এভাবে আপনি এক পর্যায়ে হস্তমৈথুনের আবদ্ধ হয়ে পড়েন।

আমি মূলত কয়েকটি টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব হয়তো এটি একটি গুলো ফলো করলে আপনি পর্নোগ্রাফি থেকে বা হস্তমৈথুন থেকে বাঁচতে পারবেন। এবং এটা পুরোটাই ইসলামিক দৃষ্টিতে কি একটু বলে বলা হবে।

১) দৃষ্টিকে সংযুক্ত করুনঃ আপনার দৃষ্টিতে সংযুক্ত করুন। একজন বিশ্বাসী ব্যক্তি একজন খাঁটি মুসলিম বা মুসলিমা সে চাইলেই খারাপ জিনিসের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধিত করতে পারেনা। একজন মমিন শুধু সেদিকে তাকাইতে পারে যে বিষয়গুলো দেখা আল্লাহ তাআলা তার জন্য যেগুলো বৈধা করে দিয়েছে।

এজন্যই আপনি কোথায় তাকাচ্ছেন বা কোন দিকে তাকাচ্ছেন এদিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখতে। হয় খারাপ সকল কিছু থেকে দূরে থাকবেন যখনি আপনার সামনে খারাপ কিছু আসবে সাথে সাথে সেদিন ডিলিট করে দিবেন।

এক মুহূর্তের জন্য যেন সেই দিকে তাকি না থাকে যদি আপনি বুঝতে পারেন যে খারাপ সে দিকে তাকাবেন না। এক বৃষ্টি হলো সব সূত্রের সূত্রপাত। এই বৃষ্টিকে যদি আপনি সংযুক্ত করতে পারেন তাহলে আপনি এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।

২) কোন কিছুতে ক্লিক করাঃ কখনোই কোনো পর্ন ম্যাটেরিয়াল কোন লিংকে ক্লিক করা যাবে না। ভিডিও টাইটেল বা ভিডিও দেখে যদি আপনার মনে হয় এটি খারাপ কোন ভিডিও তাহলে ওখানে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকেন। আপনি সেখান থেকে সরে পড়বেন।

কখনো আপনার এর চিন্তা করা যাবে না যে এটা দেখে তো কি যদি খারাপ হয়ে থাকে তাহলে বের হয়ে যাব। এ সকল চিন্তা করেও ভুলেও ক্লিক করবেন না। যদি খারাপ মনে হয় সাথে সাথে সেখান থেকে সরে পড়েন।

৩) এবং এই টিপসটি হলো যে আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ,, মোবাইল ফোন কিংবা আইপ্যাডে স্ক্রিনের উপরে লিখে রাখবেন Allah Is Watching Me! এক্ষেত্রে যখন আপনি আপনার ট্যাব খুলছেন বা মোবাইল বা ল্যাপটপ খুলছেন তখন এই লেখাটি দেখে অবশ্যই আপনি অনেকটাই খারাপ ভিডিও বা লিংক থেকে দূরে থাকবেন।

যখন এই লেখাগুলো দেখে আপনার মনে পড়বে আল্লাহ আপনাকে দেখছে। আল্লাহ সব সময় আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। আপনি যে কাজগুলো করছেন বা দেখছেন সকল কিছু আল্লাহ তায়ালা দেখতে পাচ্ছে। তখন অটোমেটিক আপনি এ সকল কাছ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

৪) এছাড়া আপনি যখন এ সকল বিষয় থেকে বেড়ে হয়ে আসতে পারছেন না তখন আপনি একাকি না থেকে অন্যদের সাথে থাকা শুরু করুন। অন্যদের সাথে টাইম কাটানো শুরু করুন। এবং যখন শুতে যাবেন তখনই শুধু মাত্র আপনি একা শুয়ে পড়ুন এবং সাথে সাথে ঘুমানোর চেষ্টা করেন।

কারণ যখন আপনি একাকী থাকেন তখন শয়তান আপনাকে বিভিন্ন কাজে প্রতি আগ্রহ করতে হবে এবং আপনি সে কাজটি করা চিন্তাভাবনা করে ফেলবেন। আর যখন অনেক মানুষের মধ্যে মেলামেশা করবেন তখন আপনার এই চিন্তা ভাবনা আসবে না এবং খারাপ কাজও করতে পারবেন না।

হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার দোয়া

হস্তমৈথুন এমন একটি খারাপ নেশা যেটি একবার হলে কেউ সহজে ছাড়তে পারে না। এবং আপনি কিভাবে ইসলামে দৃষ্টিতে এই হস্তমৈথুন থেকে বাঁচবেন এবং কোন দোয়া পড়লে আপনি হস্তমৈথুন থেকে বাঁচতে পারবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে সূরা জুমআ। এ দোয়াটি কোন হাদিস থেকে নেওয়া এটাই খুবই পাওয়ারফুল এবং কোরআন থেকে নেওয়া হয়েছে। সূরা জুমআ আয়াত নাম্বার ৪ আরেকটি হলো

ذلك فضل الله يؤتيه من يشاء والله ذو الفضل العظيم

জালিকা ফদলুল লহি ইউতিহি মাইয়্যাশা ওললহু যুল ফাজলুল ‍আজিম

এই আয়াতটি বেশি বেশি করে পাঠ করবেন এবং যখন শুক্রবারের দিন হবে তখন অজুরত অবস্থায় এই আয়াতটি একটি সাদা কাগজের মধ্যে লিখে যেখানে আপনার খাবারের সব সরঞ্জাম রাখা হয় বা খাবার রাখা হয় সেই স্থানে রাখতে হবে।

মূলত যেখানে ধান কম ইত্যাদি আবার উঠে সেই ড্রামের মধ্যে রাখতে হবে।আর এই খাবারগুলো যদি কেউ খায় তাহলে আল্লাহ তায়ালার রহমতে হস্তমৈথুন কোন কাজের মধ্যে জড়িত হবে না।এভাবে যদি আপনি আমল করেন তাহলে ইনশাল্লাহ হস্তমৈথুনের মত খারাপ জায়গা থেকে ফিরে আসতে পারবেন।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় গ্রাহক আশা করি আপনি এই আর্টিকেল থেকে খুব ভালো হবে বুঝতে পেরেছেন হস্তমৈথুন করার ফলে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।এজন্য অবশ্যই ইসলামের আলোকে আপনাকে এই রোগ থেকে বাঁচতে হবে ।

আপনি যদি সম্পূর্ণটা ভালোভাবে পড়ে না থাকেন অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ভালোভাবে একবার করে পড়ে নেবেন।এবং আপনার ফ্রেন্ড সার্কেল দেওয়ার কেউ এগুলো পড়তে বলবেন তাহলে অবশ্যই অনেকটা ভালো হবে।

আজকে আর্টিকেল কি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এবং আপনার মতামত কমিটির মাধ্যমে জানান। ছাড়া যদি আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে অবশ্যই আমাদের কে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url