মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় - মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়
আপনার মুখের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে গেছে বা আপনার মুখে কালো ছোপ ছোপ দাগ হয়েছে? আর
আপনি কি মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজছেন? আপনাকে আর কোথাও খোঁজাখুঁজি করতে
হবে না। আপনি কিভাবে খুব সহজ পদ্ধতির মাধ্যমে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারবেন,
এছাড়া খুব সহজে মুখের সকল দাগ দূর করতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ স্বচ্ছ উজ্জ্বল তক বা মসৃণ ত্বক কার না চায়।
বেশিরভাগ ছেলে বা মেয়েদের ত্বকের দাগ লেগে যাওয়া, ত্বক নষ্ট হয়ে যাওয়া,
ত্বকের বিভিন্ন প্রকার ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি সমস্যার মধ্যে পড়ে। এই
আর্টিকেল থেকে আপনি খুব সহজে আপনার মুখ উজ্জ্বল বৃদ্ধি করতে পারবেন, মুখে ব্রণ
হলে কিভাবে ভালো করবেন, এছাড়া মুখের ভিতর সাদা ঘা হলে কি করবেন। আসুন আজকের এই
আর্টিকেল থেকে মুখে ঘা, মুখে ব্রণ, মুখের দাগ, ইত্যাদি সমস্যা সমাধান জানা যাক।
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
আমার, আপনার, সকলের একটি আশা ‘যে আমাদের মুখ যেন উজ্জ্বল এবং সুন্দর হয়’। অনেক
কারণে আমাদের মুখ কালো হয়ে যায়। আপনি কিভাবে এই কালো মুখ সুন্দর এবং উজ্জ্বল
করবেন এই পোস্টটি পুরোটা পড়লে বুঝতে পারবেন। মুখ উজ্জ্বল করার অনেক প্রক্রিয়া
রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়
এ সকল প্রক্রিয়ার মধ্যেও আপনার ঘরে হাতের আশেপাশে কিছু উপাদান দিয়ে মুখ উজ্জ্বল
করতে পারেন। অথবা ডিসপেন্সার দোকান থেকে বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে বা মুখে মেখে আপনার
মুখ উজ্জ্বল করতে পারেন। আজকে মূলত দুইটি প্রক্রিয়ায় আমি দেখাবো।
এ দুইটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আপনি যে কোন একটি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মুখে উজ্জ্বল
করতে পারেন। (১) ঘরোয়া পদ্ধতিতে এবং (২) বিভিন্ন ক্রিম বা ওষুধ।
মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর মূল পয়েন্ট হলো
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
- ঘনঘন পানি পান করা
- নিয়মিত বিভিন্ন ব্যায়াম করা
- সাবান ব্যবহার না করা
- ঘুমানোর আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করা
- কোন দুশ্চিন্তা না করা
- এবং আপনার মনকে শান্ত রাখা
(১) ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুখ উজ্জ্বল
আপনার হাতের আশেপাশে যে উপাদান রয়েছে এই উপাদান গুলো দিয়ে খুব সহজে আপনার মুখ
উজ্জ্বল করতে পারেন। এবং আপনার মুখ প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা হবে এই পদ্ধতির
মাধ্যমে।
যে উপাদান দিয়ে মুখের দাগ কমবে এবং মুখে উজ্জ্বলতা বাড়বে সেগুলো হলো -
লেবু, অ্যালোভেরা, হলুদ, মধু, টমেটো, বেসন, মসুরের ডাল, টক দই। মূলত এই
উপদানগুলো দিয়ে আপনি খুব সহজে আপনার মুখে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
লেবু
দিয়ে মুখ উজ্জ্বলতাঃ
লেবুর মাধ্যমে খুব সহজে আপনার ত্বক উজ্জ্বল করতে পারবেন। কিন্তু লেবু ত্বকে
ব্যবহার করার জন্য কিছু নিয়মাবলী রয়েছে সেগুলো হল-কখনোই লেবু খালি মুখে দেবেন
না। লেবুর সঙ্গে কোন কিছু মিশ্রিত করে মুখে লাগাবেন।
সরাসরি লেবুর ব্যাপারে বলে আপনার মুখে জালা জালা ভাব হতে পারে এবং মুখ পুড়ে যেতে
পারে। ফলে হিটে বিপরীত হয়ে যাবে এজন্য অবশ্যই লেবুর সঙ্গে কোন কিছু মিশ্রিত করে
মুখে মেসার্স করবেন।
- প্রথমে আপনার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেন
- এবার আপনি একটি পাত্র নিন
- পাত্রের মধ্যে এক চা চামচ লেবু দিন
- এবং এক চা চামচ চিনি দিন
- এবার লেবু ও চিনে ভালোভাবে মিশ্রণ করুন
- মিশ্রণ করার শেষে আপনার মুখে লাগিয়ে দেন
- এবং ভালোভাবে মেসার্স করুন
- চিনির দলা মিশে গেলে মুখ ভালো হবে পরিষ্কার করে ফেলুন
এভাবে আপনি খুব সহজে লেবু ও চিনি মিশ্রনের মাধ্যমে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
করতে পারেন। এ নিয়ম ব্যবহার করে আপনি প্রতিদিন একবার করে ত্বকের যত্ন নিতে
পারেন। অতিরিক্ত কোন কিছুই ঠিক না এর জন্য অবশ্যই নিয়ম মেনে ত্বকের যত্ন নেবেন।
অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতাঃ অ্যালোভেরা ত্বকের যত্নে অনেক উপকারী
একটি গাছ।অ্যালোভেরা তে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল যা ত্বককে গ্লাস
বা উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। শুধু যে অ্যালোভেরা ত্বকের উজ্জ্বল করবে তা নয় এর
সাথে দাগ দূর করবে, ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করতে, ত্বকে মসৃণ করতে ইত্যাদি সাহায্য
করে।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে অ্যালোভেরা প্যাক
অ্যালোভেরা দিয়ে আপনি খুব সহজে আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারবেন। তো চলুন
জেনে নেওয়া যাক আপনি কিভাবে অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা পারেন।
- প্রথমে আপনি আপনার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে এবং শুকিয়ে নিন
- এবার একটি বাটি এবং একটি চামচ নিন
- অ্যালোভেরা একটি ডাল নিন
- প্রথমে অ্যালোভেরা ডালগুলো মাফ করে কেটে ফেলুন
- এবার অ্যালোভেরা কসগুলো মুছে নিন
- বাটির মধ্যে কিছু পানি দিয়ে অ্যালোভেরা গুলো কিছু সময়ের জন্য ভিজিয়ে রাখুন
- ভেজানোর পরে পানিগুলো ফেলে দিন এবং অ্যালোভেরা জেলগুলো চামচের মাধ্যমে ছাড়িয়ে নিন
- এবার অ্যালোভেরা সাথে আপনি দুই সামান্য পরিমাণে কাঁচা দুধ এড করে নিতে পারেন
- এবার এ দুইটি উপাদানকে খুব ভালোভাবে মিশ্রিত করে নিন
- এবারে মিশ্রণগুলো আপনার মুখে দশ মিনিটের মত মাসার্স করুন
- এবং কিছু সময়ের জন্য রেখে দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন
এভাবে আপনি খুব সহজে অ্যালোভেরা দিয়ে আপনার মুখ উজ্জ্বল করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে
যদি আপনি মুখে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মুখে, হেলদি-ইসমুত-দাগ হীন এছাড়া
উজ্জ্বল ত্বক করতে সাহায্য করে।
হলুদ দিয়ে মুখে উজ্জ্বলতাঃ যে আমাদের সকলের স্কিনের জন্য কতটা উপকারী না
জানলে বুঝতে পারবেন। হলুদ যেমন আপনি খেলে উপকার পান, একইভাবে আপনার ত্বকে ব্যবহার
করার ফলে আপনার ত্বকে অনেক উপকার পাবেন।
আপনার ত্বকে যদি দানাদানা হয় বা ঘামাচি হয় ত্বক রৌদ্রে পুড়ে যায় তাহলে হলুদ
ব্যবহারের ফলে এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। কারণ হলুদের মধ্যে রয়েছে
এন্টিব্যাকটিক্যাল প্রপার্টিজ যেটা আপনার স্কিনের যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধান করে
দিবে।
এই হলুদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে। তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক
কিভাবে আপনি সঠিক উপায়ে এবং সঠিক মাধ্যমে হলুদ ব্যবহার করবেন।
- প্রথমে একটি বাটি ও চামচ নিন
- এবার বাটির মধ্যে দুই চিমটি পরিমাণে হলুদের গুঁড়া নেন
- এবার শসার অ্যাক্টিভ মাস নিয়ে হলুদের সাথে ভালোভাবে মিশ্রণ করুন
- উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশ্রনের পরে, এক চা চামচ গোলাপ জল দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ করুন
- মিশ্রণগুলো যখনই পাতলা ঘনত্বে আসবে তখন আপনার মুখে ব্যবহার করার উপযুক্ত হবে
- এবার আপনার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন এবং শুকিয়ে নিন
- তারপরে এই মিশ্রণগুলো আপনার মুখে খুব ভালোভাবে লাগিয়ে দিন
- ১০ মিনিটের মধ্যে মুখে লাগিয়ে রাখুন
- ১০ মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে আপনি এ মার্কস তুলে ফেলুন
এভাবে খুব সহজে আপনি হলুদ দিয়ে কিছু মিশ্রণের মাধ্যমে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধির পাশাপাশি মুখের দাগ ও ভালো করতে পারেন।
আপনার প্রিয় পোস্টের তালিকায় হতে পারে
মধু দিয়ে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ মধুতে রয়েছে অনেক গুণাবলী। আপনার
উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে মধুর কোন বিকল্প নেই। মধু আপনার ত্বকে উজ্জ্বলই নয়
আপনার ত্বকের ব্রণ দূর এবং ত্বকের নানা ব্যাকটেরিয়া দমন করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ ব্রণ দূর করতে মধুর ব্যবহার
আপনারা অনেকেই মুখে মেসার্স করতে পার্লারে যান। কিন্তু আপনার ঘরের আশেপাশে এ সকল
উপাদান দিয়ে খুব সহজেই আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারেন। তো চলুন কিভাবে
আপনি মধু দিয়ে আপনার মুখে উজ্জ্বলতা বাড়াবেন জেনে নেয়া যাক
মধুর ফেসিয়ালটি আপনাকে চারটি প্রক্রিয়াতে করতে হবে
প্রথম প্রক্রিয়াঃ প্রথম প্রক্রিয়ার জন্য আমাদের লাগবে কাঁচা দুধ, এবং
মধু। একটি পাত্র নিন এবং পাত্রের মধ্যে ২ চামচ কাঁচা দুধ দিন। এবার কাঁচা দুধের
সাথে এক চা চামচ মধু মিশ্রণকরণ।
এখন একটি তুলার সাহায্যে আপনার মুখটা এই মিশ্রণ দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এই
মিশ্রণটি আপনার মুখের ত্বকের ধুলো, ময়লা এছাড়া গভীর থেকে মুখে তৈলাক্ত ভাব দূর
করে দেবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ এবার দ্বিতীয় প্রক্রিয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি বাটিতে
এক চা চামচ মধু দিতে হবে। এবারে মধুর মধ্যে এক চা চামচ চিনি যোগ করে দিন। এবার এ
উপাদানের মধ্যে দিয়ে দিন এক চা চামচ চালের গুড়া।
এই উপাদান গুলো খুব ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিন। মিশ্রণ করার পরে, আপনার ত্বকে
ভালোভাবে মেসার্স করে নেন। চার থেকে পাঁচ মিনিট ধরে একইভাবে মেসার্স করার পরে,
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
তৃতীয় ধাপঃ তৃতীয় ধাপে আমাদের প্রয়োজন হবে টক দই ও মধু। প্রথমে একটি
বাটিতে দুই চা চামচ পরিমাণ টক দই নিন। এবার টক দইয়ের মধ্যে এক চা চামচ মধুর
দিয়ে দিন। এরপর এক থেকে দুই চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে উপাদান গুলো
মিশ্রণ করে নিন।
এবং আপনার ত্বকের উপর দিয়ে মেসার্স করুন। মেসেজ করার পরে 20 মিনিটের মত অপেক্ষা
করে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
চতুর্থ ধাপঃ চতুর্থ প্রক্রিয়ায় আপনাকে প্রথমে দুই চা চামচ বেসন নিতে
হবে। এরপরে বেসনের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে এক চা চামচ পরিমাণ মধু। এবং এক চা চামচ
পরিমাণ লেবুর রস। এবং এ উপাদান গুলো খুব ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিতে হবে।
এবার এই প্যাকটি আপনার পুরো মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। মুখে লাগানোর মিনিট 20
মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে খুব সহজ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আপনার মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারেন। এবং
মধুতে রয়েছে অনেক পরিমাণে উপকারিতা। যে আপনার ত্বকের দাগ, বয়স্ক বয়স্ক ভাব,
চামড়া কুচরে যাওয়া, রোদে পুড়ে দেওয়া ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করে।
টমেটো দিয়ে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ টমেটো মাধ্যমে আপনার মুখে খুব সহজেই
দাগ বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। ত্বকের মধ্যে
ডাল ভাত দূর করবে এবং ত্বককে খুব সুন্দর ভাবে ফর্সা করবে।
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনার ত্বকে টমেটো ব্যবহারের ফলে ত্বক ফর্সা এবং
উজ্জ্বল হবে।
প্রথম ধাপঃ প্রথমে আপনাকে টমেটো নিতে হবে এবং টমেটো অবশ্যই ভালো হতে হবে।
টমেটোর সাথে যে উপাদান লাগবে সেটা হল চিনি।
টমেটো সাথে চিনি নিয়ে মুখে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট মেসার্স করতে হবে। এর ফলে আপনার
ত্বকের মলটা পরিষ্কার করবে এবং ত্বকের উজ্জ্বল ও তোকে নরম করতে সাহায্য করবে।
পাঁচ থেকে ছয় মিনিট মেসেজ করার পরে আপনার মুখটি ঠান্ডা পানি দিয়ে এবং একটি
কাপড় দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
দ্বিতীয় ধাপঃ প্রথমে আপনাকে টমেটো নিতে হবে এবং টমেটোগুলো ছোট ছোট করে
কেটে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবারে টমেট এর মধ্যে দুই চা চামচ বেসন দিতে হবে। দুই
চা চামচ বেসনের মধ্যে পরিমাণ মতো টমেটোর পেস্ট নিতে হবে।
এবার এই উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশাতে হবে। এবার এই উপাদানগুলো আপনার ত্বকের
লাগিয়ে দিন। এবং সেখানে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুখিয়ে গেলে টক ঠান্ডা পানি
দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে খুব সহজে আপনি টমেটোর মাধ্যমে আপনার ত্বককে ফর্সা করতে পারেন। এ
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টমেটোর প্যাকেজ ব্যবহার করলে আপনার ত্বক প্রসার পাশাপাশি
মুখের দাগ ব্রনের দাগ এবং বিভিন্ন জ্বালাপোড়া দাগ দূর করে দিবে।
বেসন দিয়ে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বেসনের মাধ্যমে
আপনার মুখে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তুলতে পারেন। মুখে ফর্সা এবং উজ্জ্বলতার
পাশাপাশি মুখের দাগ দূর করে থাকে। তো চলুন কিভাবে আপনি আপনার মুখে ফেসিয়াল করবেন
বেসন দিয়ে।
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে হালকা কুসুম গরম পানি করে নিন
- গরম পানির মধ্যে হাফ চা চামচ লবণ দিন (মুখে কোন ইনফেকশন, ইনফ্লামেশন জন্য লবণ দিলাম)
- এবার একটি তোয়ালের মাধ্যমে পানিতে ভিজে মুখটি বারবার মুছে নিন
- ভালোভাবে মোছার পরে এবার সামান্য পরিমাণে নারকেল তেল এর সাথে দূর থেকে চার ফোঁটা লেবু নিতে হবে
- এবার নারকেলের তেল ও লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে দিতে হবে (লেবুর রস মুখের যেটি দাগগুলো দূর করে দেয়)
- তিন থেকে চার মিনিট পরে একটি তোয়ালি দিয়ে মুখটি ভালোভাবে মুছে নিন
দ্বিতীয় ধাপঃ
- প্রথমে একটি পাত্র নিয়ে পাত্রের মধ্যে কিছু পানি দিন
- পানি দেয়ার পরে তার ভেতরে দুই চা চামচ চিনি দিন
- এবার জাল দিন জাল দিয়ে পানির ঘনত্ব বাড়িয়ে আনুন
- ঘনত্বের আসার পরে এবং হালকা হালকা গরম থাকবে এর মধ্যে দুই চিমটি হলুদ দিন
- এবারে উপাদানগুলো অনেক ভালোভাবে মিশিয়ে নিন
- এবারের মিশনের মধ্যে দুই থেকে তিন চামচ বেসন মিশ্রন করুন
- এপারে এ মিশ্রণগুলো আপনার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন
- শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন
এভাবে খুব সহজেই বেসনের একটি প্যাক বানিয়ে আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন যার
ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হবে। আর অবশ্যই আপনার ত্বকে ব্যবহার করার
পূর্বে আপনার ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
মসুরের ডাল দিয়ে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে বসে ডাল
দিয়ে আপনার মুখে উজ্জ্বলতা এবং ফর্সা করতে পারেন। এখন আর পার্লারে নয় ঘরে বসেই
করুন মুখের রূপচর্চা। চলুন জেনে নিন কিভাবে আপনি মসুরের ডাল দিয়ে রূপচর্চা
করবেন।
- প্রথমে একটি পাত্র নিন এবং পাথরের মধ্যে পানি দিয়ে নিন
- এবার সেই পাত্রের মধ্যে হাফ কাপ পরিমাণ মসুরের ডাল ভিজিয়ে রাখুন
- এবার একটি কমলাপুর নিয়ে কমলালেবুর খোসাটা ছাড়িয়ে নিন
- এবং কমলালেবুর খোসাটা টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে নিন
- এবার ডালের মধ্যে কমলা লেবুর খোসাটা দিয়ে দিন
- এবার একটি ব্লেন্ডারের মাধ্যমে কমলালেবু এবং ডাল ভালোভাবে ব্লাইন্ড করে নিন
- উপাদানগুলো ব্লাইন্ড করার পরে একটি পাত্রে উপাদান গুলো রাখুন
- এবার দু থেকে তিন চার চামচ এর মত টক দই এবং এক চা চামচ মধু ও সামান্য নারিকেল তেল দেন
- এবার সকল উপাদান গুলো ভালোভাবে মিশ্রণ করুন
- আপনার মুখে দেয়ার জন্য এটি প্রস্তুত হয়ে গেছে
এভাবে আপনি খুব সহজে ডাল দিয়ে একটি ক্রিম বানিয়ে মুখে দিতে পারেন। ফলে আপনার
মুখে উজ্জ্বলতা ভাব, মুখের দাগ রাখ ইত্যাদি সমস্যা সমাধান করে।
টক দই দিয়ে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ টক দই দিয়ে আপনি যদি ফেসিয়াল করেন
তাহলে খুব দ্রুত আপনার মুখ ফর্সা এবং উজ্জ্বল হয়ে যাবে। আপনার ত্বকে মসৃণ করে
দেবে। টক দই দিয়ে একটি ফেসিয়াল প্যাক বানিয়ে আপনার মুখে দিন। তো চলুন কিভাবে
ফেসিয়াল প্যাক বানাবেন দেখে নেওয়া যাক।
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে একটি পরিষ্কার বাটি নিন
- এবার বাটির মধ্যে এক চা চামচ টক দই দিন
- টক দইয়ের পাশাপাশি হাফ চা চামচ নারকেলের তেল দিন
- এবারের দুইটি উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে নিন
- এবারে এই মিশ্রণগুলো আপনার মুখে দিয়ে ভালোভাবে লাগিয়ে মেসার্স করুন
- চার থেকে পাঁচ মিনিট পরে একটি তোয়ালি দিয়ে মুখটি ভালোভাবে মুছে
দ্বিতীয় ধাপঃ
- আবারো একটি বাটি নিয়ে তার মধ্যে হাফ চা চামচ টক দই নিন
- এবং টক দইয়ের সাথে এক চামচ চিনি নিয়ে একসাথে মিশ্রণ করুন
- এবং এই মিশ্রণটির আপনার ত্বকে ভালোভাবে মেসার্স করুন
- এভাবে এক থেকে দুই মিনিট মেসার্স করার পরে ভালোভাবে মুছে ফেলবেন
তৃতীয় ধাপঃ
- প্রথমে একটি বাটির মধ্যে এক চা চামচ টক দই দিন
- এবার এর মধ্যে এক চা চামচ চালের গুড়া দিন
- এবার এ উপাদানের মধ্যেও এক চা চামচ মধু দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রন করুন
- এবার এই মিশ্রণগুলো আপনার মুখে মেখে শুকানোর অপেক্ষা করুন
- শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে মুছে ফেলুন
এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই টক দই দিয়ে মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে
পারবেন। আশা করি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
এখানে যেগুলো উপাদান কথা বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আপনি চয়েস করে নিয়ে যে কোন
একটি ব্যবহার করতে পারেন কিংবা আপনি নিয়ম মেন্টেন করে সবগুলোই আস্তে আস্তে
ব্যবহার করতে পারেন।
মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত
প্রতিটা কিশোর কিশোরীদের ক্রোনের সমস্যা দেখা যায়। ব্রণ এটি মূলত বয়সন্ধিকালের
একটি সমস্যা। বয়সন্ধি বাহিরেও বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষের এই ব্রণের সমস্যা
দেখা দেয়।হলে আপনার চিন্তিত হবার কোনই কারণ নেই। কিছু উপাদানের মাধ্যমে আপনার
ব্রণ খুব সহজে দূর করা সম্ভব।
ত্বকে ভেষজ ব্যবহারের সুবিধা হল এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না।এবং একটি
সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আরও বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।ব্রণের সমস্যা দূর
করতে কিছু রয়েছে ভেষজ ওষুধ যেগুলো ত্বকের পাশাপাশি অন্যান্য উপকারে আসে।
- মেথি শাকের পাতা পাতা ব্রণে ৩০ মিনিট রেখে দেয়ার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এক মাস ব্যবহার করুন। দেখবেন খুব সহজে আপনার পূরণের দাগ দূর হয়ে গেছে।
- দারুচিনি পিষে এক টেবিল চামচ নিয়ে তার সাথে লেবুর রস দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে এর ফলাফল পাবেন।
- মধুতে রয়েছে অনেক গুণাবলী, আর মধু ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, এজন্য মধু লাগাতে পারেন ব্রণে।দেখবেন খুব সহজে আপনার ব্রণের দাগগুলো দূর হয়ে গেছে।
- একটি ডালেমের খোসা ভেঙ্গে এবং তার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্লেন্ডারের মাধ্যমে ফেস তৈরি করে ড্রনে লাগাতে পারেন। দেখবেন আপনার ব্রণ ভালো হয়ে গেছে।
- নিয়মিত পাকা টমেটো রস ব্রণে লাগাতে পারেন। পাকা টমেটো রস ঘন্টাখানেক ব্রণে রেখে দিন এবং কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। টমেটোর মধ্যে থেকে ভিটামিন এ এবং সি ত্বকের বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
- দুধ ও জায়ফল এক ক্ষেত্রে মিশিয়ে ব্রনের ওপর লাগিয়ে রাখুন। এভাবে ১৫ দিন ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার ব্রণ ভালো হয়ে গেছে।
- কমলার খোসা এবং পানি দিয়ে ব্লেন্ডার করে ব্রণে ২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এভাবে দিন ব্যবহার করলে দেখবেন আপনার ব্রণ ঠিক হয়ে।
- কাঁচা হলুদ গ্রন্থের করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এরজন্য কাঁচা হলুদ বেটে রস বের করে কিংবা ব্লেন্ডারের মাধ্যমে পেস্ট করে মুখে লাগাতে পারেন।তাহলে আপনার ব্রণের পাশাপাশি বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংস হয়ে যাবে।
- আপনি চাইলে পাকা কলা ব্র্যান্ডের মাধ্যমে পেস্ট করে ব্রণনে লাগাতে পারেন।তাহলেও আপনার ব্রণ ভালো হয়ে যাবে।
- রসুন ও লং মিশিয়ে পেস্ট বানান এবং ঘুমানোর আগে মেখে ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে দেখবেন আপনার ব্রণ ভালো হয়ে গেছে।এভাবে নিয়মিত ঘুমান।
আপনি এ সকল প্রক্রিয়া ব্যবহার করে খুব ভালোভাবে আপনার ব্রণ দূর করতে পারবেন, এবং
ব্রণ হওয়ার পরে এ সকল উপাদান মেখে খুব সহজে ব্রণ দূর হয়ে যাবে। আশা করি বুঝতে
পেরেছেন যদি বুঝতে কোন সমস্যা হয় অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়
আপনার মুখের কালো দাগ কিভাবে ভালো করবেন এইটা নিয়ে চিন্তিত। আসুন আজকে আমি
আপনাকে দেখাবো যে আপনি আপনার মুখে কালো দাগ খুব সহজে ঘরা পদ্ধতির মাধ্যমে ভালো
করবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ডিস্পেন্সার দোকান থেকে বিভিন্ন ক্রিম বা মলম
ব্যবহার করতে পারেন।
এই পোস্টটা থেকে আপনি দুইটা বিষয়ে জানতে পারবেন। কিভাবে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতির
মাধ্যমে বরণের কালো দাগ দূর করবেন এবং বিভিন্ন ওষুধ বা জেল ব্যবহার করে কালো দাগ
দূর করবেন। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক কালো দাগ দূর করার পদ্ধতি।
ঘরোয়া পদ্ধতিঃ প্রথমে যে যে উপকরণ লাগবে সেগুলো হল- হলুদ গুঁড় (১/২ চা
চামচ) , লেবুর রস,কাঁচা দুধ,আলুর রস,বেসন,মধু।
এবারে জেনে নেন কিভাবে মিশ্রণটি বানাবেন- এবারে জেনে নেন কিভাবে মিশ্রণটি বানাবেন
-কাঁচা দুধ 2 চা চাম,কাঁচা হলুদ ১/২ চা চাম,বেসন ১ চা চামচ,আলোর রস ১ চা
চামচ,লেবুর রস ১ চা চামচ, যদি আপনার ড্রাই স্কিন হয়ে থাকে তাহলে আপনি ১ চা চামচ
মধু ব্যবহার করতে পারেন।
এ সকল মিশ্রণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। এই মিশ্রন্তি তৈরি হওয়ার পরে
আপনার মুখে খুব ভালোভাবে লাগাবেন।এই মিশ্র তে এক মিনিট আপনার মুখে মেসার্স
করবেন।মিশ্রণটি ভালোভাবে লাগানোর পরে আপনাকে 20 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
২০ মিনিট পরে যখন আপনার মুখ শুকিয়ে যাবে তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুক্তি
পরিষ্কার করে নিবেন। আশা করি আপনার মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে ।আর অবশ্যই
আপনাকে প্রতি সপ্তাহে তিনবার করে এটি ব্যবহার করতে হবে।নিয়মিত ব্যবহার করলে
দেখবেন আপনার খুব দ্রুত ব্রণ বা রোদের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় গ্রাহক আশা করি আজকে আর্টিকেল থেকে আপনি মুখ জানতে পেরেছেন যে কিভাবে
মুখের কালো দাগ দূর করতে হয়, কিভাবে আপনি আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াবেন, ব্রণ
হলে মুখে কি ব্যবহার করতে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এই আর্টিকেল থেকে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্টের
মাধ্যমে জানান। এমন আরো সুন্দর পোস্ট পেতে হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে
রাখতে হবে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
A2Z ফিউচারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url